মলদ্বারের ব্যথা কমানোর উপায়

সাধারণত আমাদের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের ব্যথা দেখা যায়। ব্যথার কারণে আমরা অনেক ছটফট করি কিন্তু আমরা একটা জিনিস বারবার ভুল করি সেটা হচ্ছে ব্যথার সঠিক কারণ খুঁজতে ভুল করি। এটার পেছনে আমাদের উদাসীনতা এবং অধৈর্য দায়ী রয়েছে তার কারণ হচ্ছে আমরা ধৈর্য ধরতে পারি না ব্যথা নিরাময়ের জন্য ছটফট করি এবং ঝট করে একটি ব্যথার ওষুধ খেয়ে ফেলে। এটা খুব খারাপ দিক। ব্যথার ক্ষেত্রে অবশ্যই সবার প্রথমে আপনাকে খুঁজতে হবে কেন হয়েছে ব্যথা সেটা হতে পারে শরীরের যে কোন অঙ্গে।

মলদ্বারের কেন ব্যথা হয়েছে এটার কারণ যদি আপনি আগে খুঁজে না বের করতে পারেন তাহলে কোন ভাবে তার সঠিক চিকিৎসা আপনি দিতে পারবেন না। এর জন্য অবশ্যই সবার প্রথমে আপনাকে খুঁজে বের করতে হবে কেন ব্যথা হয়েছে সাধারণ ব্যাথা হিসেবে কোষ্ঠকাঠিন্য এক ধরনের কারণ হতে পারে। আপনি যদি কষ্ট কাঠিন্যর কারণে ব্যথা অনুভূত করেন তাহলে অবশ্যই কোষ্ঠকাঠিন্যর সমাধান করতে আপনাকে চেষ্টা করতে হবে।

আপনারা যদি কারণ খুঁজে সমাধান বের করতে পারেন তাহলে সেটা বেটার। আমরা নিচে প্রত্যেকটি কারণের পেছনে যে চিকিৎসা ব্যবস্থা রয়েছে এবং তার সমাধান করার উপায় রয়েছে সেগুলো নিয়ে আলোচনা করব তাই আপনারা অবশ্যই আমাদের সঙ্গে থাকুন বিষয়গুলো ভালোভাবে বুঝতে।

মলদ্বারের টিউমারের চিকিৎসা

এ বিষয়ে সবার প্রথমে আপনাকে নিশ্চিত হতে হবে মলদ্বারে টিউমার হয়েছে কিনা। আপনি যদি সঠিকভাবে নিশ্চিত হতে পারেন মলদ্বারে টিউমার হয়েছে তাহলে অবশ্যই আপনাকে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। এই ক্ষেত্রে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে সঠিক চিকিৎসা তার কারণ হচ্ছে এই টিউমারের চিকিৎসায় যদি একটু দেরি হয় তাহলে সেটা ক্যান্সার হয়ে যেতে পারে। আমরা সকলে অবগত আছি যে বিভিন্ন ধরনের টিউমার এ ক্যান্সারের ভাইরাস থাকে তাই আমরা প্রথমে যদি সে টিউমার গুলোর চিকিৎসা করাতে পারি তাহলে সেটা সবথেকে ভালো।

আমি যতটুকু জানি টিউমার কে আপনি শরীরের মধ্যে রেখে কোন লাভ পাবেন না আপনাকে চেষ্টা করতে হবে অপারেশন করে সেটা শরীর থেকে বের করতে। এজন্য আপনি একজন ভালো চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন এবং তার শরণাপন্ন হতে পারেন এবং তার পরামর্শ অনুযায়ী অপারেশন করিয়ে সেটা সম্পূর্ণ আপনার শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করে নিতে পারেন এটাই হবে সবথেকে ভালো চিকিৎসা পদ্ধতি।

মলদ্বারের পাইলসের চিকিৎসা

মলদ্বারের পাইলসের চিকিৎসার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে অপারেশন। এমন অনেক রোগী পাওয়া যায় যারা জীবনে এক থেকে দুইবার অপারেশন করার পরেও পাইলস থেকে পুরোপুরি মুক্তি পেতে পারেননি তাদের ক্ষেত্রে এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই তাই আপনাকে এমন প্রতিষ্ঠান বা এমন চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে যেখান থেকে আপনি নিশ্চিতভাবে পায়েল থেকে মুক্তি পাবার গ্যারান্টি পাচ্ছেন অপারেশনের মাধ্যমে।

তবে অনেকে ওষুধের মাধ্যমে এটা ঠিক করার চেষ্টা করে বিশেষ করে হোমিওপ্যাথি ওষুধ তবে এর মাধ্যমে কতটুকু এটা পুরোপুরি ভালো হয় সে সম্পর্কে আমার কোন ধারণা নেই। যাদের ওষুধ সেবন এর মাধ্যমে পাইলস পুরোপুরি ভালো হয়েছে তারা যদি এখানে আমাদের এই আর্টিকেল পড়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন আপনার অভিজ্ঞতা।

তার কারণ হচ্ছে আপনারা যতটা আমাদের এ বিষয়গুলো সম্পর্কে অবগত করবেন আমরা ততটাই জনসচেতনতা বৃদ্ধি করার চেষ্টা করব যাতে করে অদূর ভবিষ্যতে এই বিষয়গুলো সম্পর্কে আমাদের সকলের জ্ঞান থাকে। যেকোনো ধরনের সমস্যাতে বাড়িতে বসে থাকা আমাদের বদ অভ্যাস তাই আমরা চেষ্টা করব এই অভ্যাসকে ত্যাগ করতে এবং সাধারণ জ্ঞান নিজের মধ্যে রাখতে যার মাধ্যমে আমরা নিজে থেকে প্রথমে সমস্যার আভাস ধরতে পারি। অবশ্যই চিকিৎসার মাধ্যমে যে কোন রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায় তবে সেটা হতে হবে সঠিক সময়ের চিকিৎসা।