প্রত্যেকটি মেয়ের জীবনে গর্ভাবস্থার সময়টি হল একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়। একজন মেয়ে মা হওয়ার জন্যই তার জীবনের পরিপূর্ণতা ফিরে পায়। তবে গর্ভবতী হওয়ার কিছু লক্ষণ রয়েছে যে লক্ষণগুলো একজন মেয়ের শরীরে দেখা দিলে সে বুঝে নিতে পারবে যে, সে গর্ভবতী।
আপনারা অনেকেই জানতে চেয়েছেন গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ গুলো কি কি সে সম্পর্কে তাই আমরা আজকে আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি নতুন একটি আর্টিকেল যার মাধ্যমে আমরা আলোচনা করব গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ সম্পর্কে যাবতীয় সকল তথ্য।
একজন মেয়ের পিরিয়ড ছাড়াও নানা শরীর বৃত্তির ঘটনা রয়েছে যা গর্ভধারণের ইঙ্গিত প্রকাশ করে। গর্ভধারণ করলে বিভিন্ন রকমের লক্ষণ গুলি মায়ের শরীরে ফুটে ওঠে আমরা আজকে সেই লক্ষণগুলো সম্পর্কে আপনাদের সাথে আলোচনা করতে আসছি।
গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ সমূহ
গর্ভবতী হওয়ার প্রধান লক্ষণ হচ্ছে পিরিয়ড মিস হওয়া। একজন মা যখন গর্ভবতী হন তখন সবার আগে তার পিরিয়ড বন্ধ হয়ে যায়। তাই বিশেষজ্ঞরা এটিকে প্রধান লক্ষণ হিসেবেই পরিচিতি দিয়েছেন। তবে পিরিয়ড মিস হওয়ার পাশাপাশি আরো কিছু লক্ষণ রয়েছে যেগুলো দেখে বোঝা যাবে যে সে মা গর্ভবতী কিনা। তো চলুন জেনে নেওয়া যাক।
মর্নিং সিকনেস
একজন মা যখন গর্ভবতী হয়ে থাকেন তখন সে মা প্রথম থেকে অনুভূত করতে পারেন যে মর্নিং সিকনেস বা সকালে ঘুম থেকে উঠে দুর্বল ও ক্লান্তি বোধ করাটা। সকালে উঠে ক্লান্তি বোধ করা এবং বমি বমি ভাবটি গর্ভধারণের গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ হিসেবেই ধরা হয়ে থাকে।
এটি সাধারণত সব মায়ের ক্ষেত্রে হয়ে থাকে। দিনে বা রাতে যে কোন সময় এমন হতে পারে। শুধু বমি বমি ভাব নয় কিছু কিছু মায়ের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত বমিও হতে পারে। সাধারণত গর্ভধারণের একমাস পর থেকে এ সমস্যাগুলো লক্ষ্য করা যায়। তবে যেসব মায়ের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত বমি হয়ে থাকে এবং ক্লান্তি ভাব বেশি হয়ে থাকে মা অসুস্থ হয়ে যান সেসব মায়েদের ঘরে বসে না রেখে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া প্রয়োজন।
সাধারণত গর্ভধারণের চার থেকে ছয় সপ্তাহ পর বমি শুরু হয় এ সময় এস্ট্রোজেন ও প্রোজিস্টেরনের ইজ স্তর বৃদ্ধি পাওয়ার জন্য সকালে উঠে বমি ভাব হয়ে থাকে। তবে শুধুই যে সকালে বমি হবে তা কিন্তু নয় দিনের যেকোনো সময় একাধিকবার বমি হতে পারে।
স্তনে ব্যথা অনুভব করা
গর্ভধারণের আরেকটি বিশেষ লক্ষণ হল স্থানে ব্যথা অনুভব করা এবং ভুলে যাওয়া বা ভারী হওয়া। কারোর কারোর ক্ষেত্রে গর্ভধারণের প্রথম বা দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে স্থানে ব্যথা অনুভূত হওয়া শুরু হয়ে যায়। এ সময়ে কিছু কিছু মায়েদের ক্ষেত্রে গর্ভবতী মায়েদের ভ্যাজাইনাল ডিসচার্জ হয়ে থাকে। গর্ভধারণের প্রথম তিন মাসে সমস্যা গুলো বিশেষভাবে লক্ষ্য করা যায় তবে এসব সমস্যাগুলো হরমোনের পরিবর্তনের ফলেই হয়ে থাকে। এই সমস্যাগুলো নিয়ে চিন্তার কোন কারণ নেই এগুলো সাধারণ গর্ভাবস্থার লক্ষণ সমূহ।
শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়া
গর্ভাবস্থার আরেকটি লক্ষণ হল শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়া। এ সময় নানা কারণে শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে গর্ভধারণকালে প্রোজেস্টেরনের স্তর বৃদ্ধি পাওয়ায় এমনটি হয়ে থাকে। গর্ভধারণের প্রাথমিক পর্যায়ে পিরিয়ড বন্ধ না হলেও ক্লান্তি ও দুর্বলতা অনুভব করলে প্রেগনেন্সি টেস্ট করে দেখে নিতে হবে। এই ক্লান্তি বা দুর্বলতা অনেক সময় গর্ভধারণের ইঙ্গিত দিয়ে থাকে।
মুড সুইং
গর্ভধারণকালে মুড সুইং ও মাথা ঘোরা খুবই সাধারণ একটি লক্ষণ। গর্ভধারণের সময় হরমোনের নানা পরিবর্তনের কারণে এখন শিখ ভাবে মায়েদের ক্ষেত্রে হঠাৎ করে কান্না অথবা হঠাৎ করে রেগে যাওয়া অথবা হঠাৎ করে আনন্দিত হওয়া এসব লক্ষণগুলোই হয়ে থাকে। প্রেগনেন্সির শুরুর দিকে মাথা ব্যথা অনুভূত হতে পারে গর্ভাবস্থার প্রাথমিক পর্যায়ে রক্ত সঞ্চালনও হরমোনের স্তর বৃদ্ধির কারণেই এমনটি হয়ে থাকে। এছাড়াও গর্ভধারণের আরেকটি প্রধান লক্ষণ হল ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া।