সেফুরক্সিম এর কাজ কি Cefuroxime

আমরা অনেক সময় একটি কথা সকলে বলে থাকি সেটা হচ্ছে একজন রোগী যখন অসুস্থ অবস্থায় ডাক্তারের কাছে যায় তখন সে ডাক্তারের মুখের কথা এবং তার দেওয়া ভরসার ওপর নির্ভর করে মূলত সে রোগীটি অর্ধেকের বেশি সুস্থ হয়ে যায়। এখানে অবশ্যই মনোবলের প্রয়োজন রয়েছে তার কারণ হচ্ছে মানুষ সব থেকে বেশি অসহায় তখনই হয় যখন সে অসুস্থ হয় এবং সে অবস্থায় ডাক্তারেরা যারা কিনা তাকে চিকিৎসা প্রদান করছে সেই ডাক্তারি যদি রোগীকে মনোবল যোগায় তাহলে অবশ্যই সে নিজের শরীরকে রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য প্রস্তুত করতে পারবে।

ঠিক তেমন যদি ডাক্তারেরা আপনাকে কোন ওষুধ খেতে বলে এবং সেই ঔষধ সম্পর্কে আপনার যথেষ্ট জ্ঞান থাকে তাহলে অবশ্যই সেই ঔষধ খাওয়ার ফলে আপনার শরীরে কি পরিবর্তন হবে বা আপনি করতো তাড়াতাড়ি সুস্থ হতে পারবেন সেটা আপনি জানবেন। যার ফলে আপনার মনোবল আরও বেশি বৃদ্ধি পাবে এবং সুস্থ হওয়ার প্রতি আপনার শরীর আরো বেশি কাজ করবে আর এর ফলেই আপনি সুস্থ হতে পারবেন। এরকম কিছু ছোট্ট ছোট্ট উদ্দেশ্যকে একত্রিত করে মূলত আমাদের এই ওয়েবসাইট তৈরি করা আশা করছি আজকের আর্টিকেল থেকে আপনারা যথেষ্ট তথ্য সংগ্রহ করতে পারবেন সেফুরক্সিম এক্সেটিল এর সম্পর্কে।

সেফুরক্সিম ট্যাবলেট এর সঠিক কার্যকারিতা কি

এটা হচ্ছে ওষুধ মূল উপাদান তাই আমরা এই ওষুধ তড়িৎ মূল উপাদানের কিছু গুরুতর বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জানব এবং এই বৈশিষ্ট্য গুলো কিভাবে ব্যাকটেরিয়া ধ্বংসতে আমাদের শরীরে কার্যকরী হয়ে ওঠে সেই সম্পর্কে জানার চেষ্টা করব। সেফুরক্সিম ট্যাবলেট একটি ব্যাকটেরিয়া ধ্বংসকারী দ্বিতীয় প্রজন্মের এন্টিবায়োটিক যা বিটা ল্যাকটাস উৎপাদন করে প্রজাতি সহ বিভিন্ন ধরনের সংবেদনশীল গ্রাম পজিটিভ এবং গ্রাম নেগেটিভ জীবাণুর বিরুদ্ধে কার্যকরী। এখান থেকে মূলত আমরা পরিষ্কারভাবে বুঝতে পারছি মূলত এই ঔষধ বা এই উপাদান দিয়ে যে ওষুধগুলো তৈরি করা হয় তার প্রধান কাজ কি।

যদি বৈজ্ঞানিক ভাষায় বলতে যাই তাহলে জিনিসটা আরো বেশি কঠিন হয়ে যাবে তারপরও বলতে হয় যে এই ওষুধটি এমন একটি পদ্ধতি ব্যবহার করে যেখানে মানব শরীরে ট্রান্সপেটটাইডেশন পদ্ধতিকে ব্যাঘাত ঘটানোর মাধ্যমে ব্যাকটেরিয়া কোশ প্রাচীর সংশ্লেষণ বাধা প্রদান করে এতে করে ব্যাকটেরিয়া আর বেড়ে উঠতে পারে না এবং তারা আস্তে আস্তে ধ্বংস হয়ে যায়। এছাড়াও আমরা সরাসরি যদি বলি তাহলে টনসিলাইটিস বা ফ্যারেনজাইটিস এই ধরনের সংক্রমণ যদি কারও রোগীর শরীরে দেখা দেয় তাহলে সেখানে এই ওষুধটি অত্যন্ত কার্যকরী।

এছাড়া আরো বলা যেতে পারে যে বিভিন্ন ধরনের হিমোফিলাস ইনফ্লুয়েন্সি এবং একইউট ব্যাকটেরিয়াল ওটাইটিস মিডিয়া ধ্বংসের জন্য অত্যন্ত কার্যকরী এই ঔষধ তাই এই ধরনের উপসর্গ যদি একজন রোগীর শরীরে থাকে এবং ডাক্তার সেটা বুঝতে পারে তাহলে ঝটপট এই ওষুধ তাকে দেবে। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের বেটা ল্যাকটোমেজ উৎপাদনকারী প্রজাতিসমূহ অথবা আরো অন্যান্য দ্বারা ত্বকের সৃষ্ট বিভিন্ন সংক্রমনের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে এই ওষুধটি। ই কলায় অথবা ক্লেবশিয়াল নিউমনি দ্বারা সৃষ্ট মূত্রনালীর সংক্রমনের বিরুদ্ধে অত্যন্ত কার্যকরী এই ঔষধ।

সেফুরক্সিম ট্যাবলেট খাওয়ার সঠিক পরিমাপ

ঔষধ কোন হাতের মোয়া নয় যে আপনাকে এর স্বাদ ভালো লাগল এবং আপনি পেটপুরে এই ঔষধ খেয়ে ফেললেন। তার জন্যই হতো ওষুধে কোন স্বাদ দেওয়া হয় না স্বাদ দেওয়া হলে হতো মানুষ ঔষধ ভাতের মতো খেত। আর এইভাবে ওষুধ খেলে সে সুস্থ হওয়ার ক্ষেত্রে আরও বেশি অসুস্থ হয়ে যাবে। আজকে আমরা জানার চেষ্টা করব যাদের বয়স ১৩ বছর বা তার ঊর্ধ্বে তাদের ক্ষেত্রে কতটুকু ওষুধ খাওয়ার নিয়ম আছে।

সাধারণত দিনে ২৫০ মিলিগ্রাম করে 2বার খাওয়া যেতে পারে এবং এর সময়সীমা ৫ থেকে ১০ দিন যেটা ডাক্তারেরা নির্ধারণ করে দেবে। অনেকের ক্ষেত্রে ২৫০ মিলিগ্রাম থেকে ৫০০ মিলিগ্রাম করে দিনে সর্বোচ্চ 2 বার এবং এই চিকিৎসার মেয়াদও 5 থেকে 10 দিন যেটা ডাক্তাররা নির্ধারণ করে দিতে পারবে।