সাধারণত এই ওষুধ আমাদের কাছে অত্যন্ত পরিচিত একটি ঔষধ তার কারণ হচ্ছে এই উপাদানের ব্যবহারের ফলে মানব শরীরে বিভিন্ন ধরনের গুরুতর সমস্যা সমাধান করা যায়। বর্তমানে আমরা খাবারের সঙ্গে যে ভেজাল এবং ক্ষতিকারক পদার্থ খাচ্ছি সেটা আমাদের শরীরে গিয়ে রক্তে বসবাস শুরু করছে। রক্তের প্রয়োজনীয় পদার্থের তুলনায় এই ধরনের ক্ষতিকারক পদার্থের পরিমাণ যখন বৃদ্ধি পাচ্ছে তখন রক্ত তার কাজের সক্ষমতা হারাচ্ছে এবং তার বৈশিষ্ট্য পরিবর্তন করছে যার কারণে আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের এলার্জি তৈরি হচ্ছে।
আজকে আমরা সিটিরিজিন হাইড্রোক্লোরাইড সম্পর্কে আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করব আশা করছি আপনারা শেষ পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে থেকে জানার চেষ্টা করবেন এই উপাদানের গুরুত্ব। বিভিন্ন কোম্পানি বিভিন্নভাবে এই সিটিরিজিন হাইড্রোক্লোরাইড মাধ্যমে ট্যাবলেট তৈরি করছে এবং বিভিন্নভাবে নামকরণ করছে। আপনি অবশ্যই আমাদের এখান থেকে আজকে এই উপাদানের সঠিক তথ্য সম্পর্কে অবগত হবেন। আমরা এই ওষুধের সঠিক ব্যবহার সম্পর্কে জানার চেষ্টা করব এবং সঠিক কি পরিমান বা কি মাত্রায় খেলে সঠিক সুস্থতা পাওয়া যাবে সেটাও জানবেন আমাদের এখান থেকে।
সিটিরিজিন হাইড্রোক্লোরাইড কি কাজ করে
আমরা উপরে আপনাদের প্রাথমিক একটি ধারণা দিয়েছি যেখানে আপনারা বুঝতে পেরেছেন সাধারণত বিভিন্ন ধরনের এলার্জির কারণে এই ওষুধের ব্যবহার করা হয়। এখানে বিভিন্ন ধরনের এলার্জির মধ্যে রয়েছে সিজনাল এবং প্যারিনিয়াল এলার্জিক রাইনাইটিস। সিজনাল এর মধ্যে বিশেষ করে শীতকালে আমাদের সাধারণত যে ধরনের এলার্জি হয় সেই ধরনের অ্যালার্জির কারণে সিটিরিজিন হাইড্রোক্লোরাইড ঔষধ অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। এর পাশাপাশি যেগুলো নন-সেজনাল অর্থাৎ যে কোন সময় হতে পারে যেমন হাঁচি কাশি এই ধরনের বিভিন্ন এলার্জির রিএকশন থেকে বাঁচার জন্য অত্যন্ত কার্যকরী ট্যাবলেট হচ্ছে এটি।
এখানেই শেষ নয় ক্রনিক ইডিওপ্যাথিক আরটিক এরিয়া তকিও লক্ষণসম নিরাময়ে এলার্জিজনিত অ্যাজমা এর চিকিৎসায় এটা বহু আগে থেকেই ব্যবহার হয়ে আসছে। আপনার যদি এমন ধরনের কোন সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে সবার প্রথমে আপনাকে উপযুক্ত একজন ডাক্তারের কাছে যেতে হবে এবং তার সব পরামর্শ অনুযায়ী আপনাকে সিটিরিজিন হাইড্রোক্লোরাইড ঔষধ সেবন করা শুরু করে দিতে হবে। এখন আপনি যদি জানতে চান কি পরিমাণে ওষুধ খাবেন তাহলে অবশ্যই আমাদের নিচের অংশটুকু লক্ষ্য করুন যেখানে একজন সুস্থ মানুষের পক্ষে কতটুকু ঔষধ খাওয়া প্রয়োজন সেটা আলোচনা করা হয়েছে।
সিটিরিজিন হাইড্রোক্লোরাইড খাওয়ার সঠিক মাত্রা
সাধারণত যে সকল রোগীদের বয়স ৬ বছর অতিক্রম করেছে তাদের সকলের ক্ষেত্রে দৈনিক একটি ট্যাবলেট বা দুই চা চামচ সিরাপ খেতে হবে। এখানে বিভিন্ন ধরনের রোগের বিরুদ্ধে প্রায় একই মাত্রা নির্ধারণ করা হয় এবং এটা কতদিন পর্যন্ত খেতে হবে সেই বিষয়টি নির্ভর করছে রোগীর শারীরিক অবস্থা এবং রোগীর শারীরিক উন্নতির উপর তাই এই বিষয়ে জানতে অবশ্যই ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে।
আর যাদের বয়স এর থেকে আরো কম তাদের বেলায় অর্থাৎ দুই থেকে ছয় বছরের মধ্যে যে ধরনের শিশুদের এই সমস্যা হবে তাদের দৈনিক এক চা চামচ করে একবার অথবা হাফ চা চামচ করে দুইবার খাওয়াতে হবে। অনেকের ক্ষেত্রে ছয় মাস থেকে দুই বছরের বাচ্চাদের জন্য এই ঔষধ খাওয়ার প্রয়োজনীয়তা পড়তে পারে সেই ক্ষেত্রে দৈনিক হাফ চা চামচ করে একবার খাওয়ানো যেতে পারে। এই বিষয়ে অবশ্যই ডাক্তার আপনাকে ভালো পরামর্শ দিতে পারবে।
সিটিরিজিন হাইড্রোক্লোরাইড দাম ও পার্শ্ব প্রতিক্রি
এটা এমন একটি ঔষধ যেখানে খুব বেশি পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা যায় না তবে মাঝেমধ্যে দীর্ঘ সময় ধরে এই ঔষধ খাওয়ার কারণে অনেকের ঘুমের প্রবণতা বাড়তে পারে এবং দিনের মধ্যে জীবনী ভাব আসতে পারে। দামের প্রসঙ্গে বলতে গেলে বিভিন্ন কোম্পানি এই ঔষধ তৈরি করছে এবং তাদের তথ্য অনুযায়ী মূল্য ২ টাকা থেকে ৩ টাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ রয়েছে।