সাধারণত সুস্থ হওয়ার জন্য আমরা যে ওষুধগুলো ব্যবহার করি সেই ওষুধগুলো আলাদা শরীরে কতটা কার্যকরী এবং সেই ওষুধ আমাদের শরীরে কি কাজ করছে সেটা জানতে চাওয়া সকলের অধিকার। কিন্তু আপনি সঠিক তথ্য কোথায় পাবেন এই প্রশ্ন আপনি করতে পারেন। বর্তমান যুগে বাংলাদেশের চিকিৎসায় যে পরিমাণ দুর্নীতি হচ্ছে সেখানে একজন সাধারণ মানুষ হয়ে এই সকল তথ্য সঠিকভাবে জানতে পারাটা অত্যন্ত কষ্টসাধ্য একটি ব্যাপার।
তারপরেও আসার কথা হচ্ছে আপনি সঠিক তথ্য অবশ্যই পাবেন এর জন্য আপনাকে সঠিক জায়গাতে যেতে হবে যেখানে সঠিক চিকিৎসা দেওয়ার জন্য ডাক্তার নার্স ২৪ ঘন্টা অপেক্ষা করছে। আজকে যেই গুরুত্বপূর্ণ ঔষধ উপাদান নিয়ে কথা বলব সেটা হচ্ছে ক্লোরফেনিরামিন ম্যালিয়েট। চলুন আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে জানার চেষ্টা করি এই ওষুধের সঠিক ব্যবহার এবং এটা কোন কোন উপসর্গের জন্য ব্যবহার করা হয়। এই ওষুধ ব্যবহারে কোন ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রি আপনার শরীরে দেখা দিবে কিনা সেটা জানতে পারা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ চলুন সকল বিষয়ে আলোচনা করা যাক।
ক্লোরফেনিরামিন এর সঠিক কাজ কি
আপনার শরীরের ছুলি জাতীয় কিছু বের হয়েছে এই সমস্যার বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য ক্লোরফেনিরামিন ব্যবহার করা হয়। আপনার কাশি হয়েছে অথবা সাধারণ ঠান্ডা লেগেছে এই ধরনের রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য ব্যবহার করা হয় ক্লোরফেনিরামিন। এছাড়াওজনিত বমি এবং অন্যান্য এলার্জি অথবা রায়ডাইটিস এই সকল রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে এই ওষুধটি যেটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ঔষধ আমাদের জন্য।
তবে হ্যাঁ যখন রোগ সম্পর্কে আপনাদের জানা হয়ে গেছে তখন একটা জিনিস আপনাদের কাছে অনুরোধ থাকবে নিজে থেকে ওষুধ কোনভাবেই সেবন করবেন না। যে মাত্রা সম্পর্কে সব থেকে ভালো বলতে পারবে আপনার সামনে থাকা উপস্থিত ডাক্তার অর্থাৎ আপনার শরীরের কন্ডিশনের উপর নির্ভর করে তিনি আপনাকে ঔষধ নির্দেশ করবেন। কোনভাবেই নিজে থেকে ওষুধ খাওয়ার প্রবণতা দূরে রাখুন। এটা হচ্ছে এক ধরনের অ্যালকাইল এমাইন্টিহিস্টামিন। যেটা সেবন নির্দিষ্ট মাত্রা রয়েছে চলছে মাত্রা সম্পর্কে আমরা জানার চেষ্টা করি।
ক্লোরফেনিরামিন সেবন মাত্রা
সাধারণত প্রাপ্তবয়স্ক যারা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে ৪ মিলিগ্রাম প্রতি ৪ থেকে ৬ ঘন্টা পর পর ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে তাদের গুরুতর সমস্যা আছে বা সাধারণত এই পরিবার ঔষধের কাজ হচ্ছে না তারা চাইলে ২৪ মিলিগ্রাম সর্বোচ্চ দৈনিক গ্রহণ করতে পারেন ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী। অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা যাবে না ঔষধের ক্ষেত্রে তার কারণ হচ্ছে ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া যে কোন সময় আপনার শরীরে সংসার সৃষ্টি করতে পারে।
শিশুদের কথা বলতে গেলে ৬ থেকে ১২ বছরের মধ্যে যে ধরনের রোগীগুলো রয়েছে তাদের ২ মিলিগ্রাম প্রতি ৪ থেকে ৬ ঘন্টা পরপর দিনে সর্বোচ্চ ১২ মিলিগ্রাম খাওয়ার অনুমতি দেওয়া আছে। যাদের বয়স মূলত ২-৫ বছরের মধ্যে তাদের এক মিলিগ্রাম প্রতি ৪ থেকে ৬ ঘন্টা পর পর সর্বোচ্চ দিনে ৬ মিলিগ্রাম খাওয়ার অনুমতি রয়েছে। এছাড়াও এক থেকে ২ বছরের মধ্যে যারা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে এক মিলিগ্রাম দৈনিক ২বার করে খাওয়ার অনুমতি রয়েছে। এটি হলো এই ওষুধ খাওয়ার সঠিক দোষ তারপরেও আপনার পরিবেশ পরিস্থিতি অথবা রোগীর পরিবেশ পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে ডাক্তারেরা ওষুধ কম বেশি করতে পারে যার জন্য আপনাকে একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে।
ক্লোরফেনিরামিন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
প্রত্যেকটি ওষুধে রয়েছে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া বুঝতে পারলে খুব ভালো। সাধারণত এই ওষুধের অতিরিক্ত ব্যবহার আপনার শরীরের বেশি জীবনে বা দুর্বলতা সৃষ্টি করতে পারে অথবা পৌষ্টিকতন্ত্রের সমস্যা তৈরি করতে পারে যেটা আপনাকে সঙ্গে সঙ্গে বুঝতে হবে। গর্ভাবস্থায়ও স্তন্যদানকারী মায়েদের ক্ষেত্রে ক্লোরফেনিরামিন এর ব্যবহার পরিহার করা উচিত। এই অবস্থাতে কোনভাবেই আপনি এই ওষুধ সেবন করতে পারেন না।