ওষুধ তৈরিতে যে মূল উপাদান গুলো ব্যবহার করা হয় সেই মূল উপাদানের উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন কোম্পানি মূল ঔষধের নাম দিয়ে থাকে। আজকে আমরা সেই ঔষধ তৈরির মূল উপাদান নিয়ে কথা বলবো অর্থাৎ সিপ্রোসিন ৫০০ মিলিগ্রাম এর যে ওষুধগুলো বাজারে আছে সেই সিপ্রসিল ৫০০ মিলিগ্রাম এর ঔষধের সঠিক কার্যকারিতা জানবো। মূলত এই ঔষধ এর মূল্য বিভিন্ন কোম্পানি বিভিন্নভাবে নির্ধারণ করেছে তাই এখানে আলাদাভাবে মূল্য বলা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়।
বর্তমান বিশ্বে বৈজ্ঞানিকভাবে যতটা নতুন নতুন ওষুধ আবিষ্কার হচ্ছে খুবই দুঃখজনক ব্যাপার যে তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে নতুন নতুন অসুখ বিসুখ আবিষ্কার হচ্ছে। এত কিছুদিন আগের কথা আপনি একটি মহামারীর কথা হয়তো ভুলতে পারবেনা যেখানে হাজার হাজার মানুষ প্রতিদিন মারা যাচ্ছিল। কিন্তু দেখুন সেই মহামারীকে হার মানানোর জন্য ঠিকই মানুষ ঔষধ তৈরি করতে পেরেছে কিন্তু সেই মহামারি এখন পর্যন্ত হার মানেনি সে সবসময় নিজের রূপ পরিবর্তন করে মানুষকে আক্রান্ত করে মানুষকে মৃত্যুবরণ করতে বাধ্য করছে।
সিপ্রোসিন ৫০০ মিলিগ্রাম ট্যাবলেট এর সঠিক কাজ কি
আসলে মূলত এই গুরুত্বপূর্ণ ঔষধের কার্যকারিতা এত ছোট জায়গাতে বলে শেষ করা যাবে না বলে আমি মনে করি। তারপরও কিচ্ছু করার নেই তার কারণ হলো আমরা যদি অতিরিক্ত বড় আর্টিকেল লিখি তাহলে অনেকে ই আর্টিকেল পড়তে চাইবে না তাই আমরা সংক্ষিপ্ত আকারে আপনাদের ভালোভাবে ধারণা দিতে চাচ্ছি সিপ্রোসিন ৫০০ মিলিগ্রাম ট্যাবলেট এর কার্যকারিতা সম্পর্কে।
তীব্র সিস্টেমেটিক সংক্রমণ যেমন ব্যাকটেরিয়ার আক্রান্ত অথবা কঠিন টিউমার সম্মানিত রোগীদের সংক্রমনে এই ধরনের ঔষধ ব্যবহার করা হয়। এ পাশাপাশি শ্বাসতন্ত্র সংক্রমণ যেমন লোবার নিউমোনিয়া থেকে শুরু করে তীব্র ও জটিল ব্রককাইটিস এই ধরনের জটিল সমস্যার জন্য এই ওষুধটি ব্যবহার করা হয়।
এছাড়া ত্বক ও কোমলকোষ কলার সংশোধন। এখানে বোঝাতে হয়েছে ক্ষতের সংক্রমণ অর্থাৎ আপনার শরীরে কোন ক্ষত হলো এবং সেই ক্ষত আস্তে আস্তে বৃদ্ধি পাচ্ছে সেটা নির্ভর করতে মূলত এই ঔষধ ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও সংক্রমণযুক্ত আলসার থেকে শুরু করে সংক্রমিত ক্ষত ইত্যাদি ভালো করতে মূলত এই ঔষধ ব্যবহার করা হয়।
বৈজ্ঞানিক ভাষায় বলতে গেলে বিভিন্ন ধরনের রোগের বিনিময়ে লড়াই করতে গেলে যেমন চোখ নাক কান ও গলায় সংক্রমণ হলে এই ওষুধটি প্রচুর পরিমাণে ব্যবহার করা হয়। আমরা হয়তো অবশ্যই গনোরিয়া রোগ সম্পর্কে অনেকেই শুনেছি গনোরিয়া রোগের জীবাণু ধ্বংস করার জন্য মূলত সিপ্রোসিন ৫০০ মিলিগ্রাম ট্যাবলেট ব্যবহার করা হয়।
এছাড়াও আরো বিভিন্ন ধরনের সমস্যা যেমন পেলভিক সংক্রমণ অস্থি ও অস্থি সন্ধি হোক সংক্রমণ মাইক্রো বায়োলজি ইত্যাদি সমস্যা সমাধানের জন্য সিপ্রোসিন ৫০০ মিলিগ্রাম ট্যাবলেট বহুভাবে ব্যবহৃত। মূলত আমি যতটুকু জানি এই ওষুধ প্রায় ২০০ আসুখ এর বিরুদ্ধে লড়াই করতে সবসময় কাজ করছে তাই এটা অবশ্যই একটি অনেক বড় ঔষধ বলে আমরা মনে করি।
সিপ্রোসিন ৫০০ মিলিগ্রাম ট্যাবলেট এর খাবার পরিম
সাধারণত এটা এন্টিবায়োটিক এবং এন্টিবায়োটিক ব্যবহারের ক্ষেত্রে অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে যে কোনভাবেই এটা ব্যবহারে অবহেলা করা যাবে না। সিপ্রোসিন ৫০০ মিলিগ্রাম ট্যাবলেট প্রাপ্ত বয়স্ক রোগীদের ক্ষেত্রে সাধারণত মাত্রা ১০০ গ্রাম থেকে ৭৫০ মিলিগ্রাম দৈনিক 2বার। এছাড়াও নিম্নস্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ অথবা উর্ধ্ব স্বাসতন্ত্র সংক্রমণের জন্য এর তীব্রতা অনুযায়ী ২৫০ থেকে ৭৫০ মিলিগ্রাম দৈনিক 2বার খাওয়া যেতে পারে।
আমরা যেহেতু উপরেই আপনাদের জানিয়েছি প্রায় 200 রোগের বিরুদ্ধে এই ওষুধটি কাজ করতে পারে তাই এখানে আলাদাভাবে প্রত্যেকটি রোগের পরিমাপ আপনাদের বলা যাবে না তবে সহজ ভাষায় বলতে গেলে প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ১০০ মিলিগ্রাম এবং দৈনিক সর্বোচ্চ ৭৫০ মিলিগ্রাম সিপ্রোসিন খাওয়ানো যেতে পারে। শিশুদের ক্ষেত্রে সিপ্রোসিন ট্যাবলেট সবসময় ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী খাওয়াতে হবে তার কারণ হচ্ছে সেখানে শিশুর সংক্রমণের হাড় এবং শিশুর ওজন ও শরীরের অবস্থা সব থেকে ভালো উপস্থিত ডাক্তার জানাতে পারবে।