ডক্সিক্যাপ সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানিনা। ডক্সিক্যাপ ঔষুধটি মূলত কি কাজে ব্যবহার করা হয় এবং এই ওষুধটি আমাদের শরীরে কি উপকারে আসে সেই সম্পর্কে জানতেই আজকের আর্টিকেল। আপনারা যারা নিয়মিত আমাদের আর্টিকেল ভিজিট করেন তারা অবশ্যই জানেন আমরা কিভাবে আপনাদের চাহিদা সম্পন্ন তথ্যগুলো উপস্থাপন করি। আমরা সব সময় ব্যতিক্রম ধর্মীভাবে আপনাদের সামনে গুরুতর তথ্যগুলো তুলে ধরে যাতে করে আপনারা খুব অল্প সময়ের মধ্যে এ বিষয়গুলো ভালোভাবে বুঝতে পারেন।
একজনকে দেখে নেওয়া যাক আজকের আর্টিকেল থেকে আপনারা কি সংগ্রহ করতে পারবেন। আপনারা জানতে পারবেন ডক্সিক্যাপ ক্যাপসুল এর নির্দেশনা অর্থাৎ এই ক্যাপসুল কি কাজ করে বা কোন রোগের বিনিময়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারে। এরপরে আপনারা ডক্সিক্যাপ ক্যাপসুল এর সেবন বিধি অর্থাৎ বয়স এবং ওজনের উপর নির্ভর করে কে কতটুকু এই ওষুধ সেবন করতে পারেন সেটা জানাবো।
এছাড়াও ডক্সিক্যাপ ঔষধ সেবন করলে কোন পার্শ্ব প্রতিক্রি আপনার শরীরে দেখা দেবে কিনা এবং শুধু যদি সেটা দেখা দেয় তাহলে সেটা কি এবং আপনি কিভাবে সেটা বুঝবেন তা আমরা জানাবো। আমি মনে করি এই ছোট্ট আর্টিকেলের পক্ষে এতগুলো তথ্য যথেষ্ট হবে আপনার সময় নষ্ট না করার জন্য।
ডক্সিক্যাপ ট্যাবলেট এর সঠিক নির্দেশনা
ডক্সিক্যাপ ট্যাবলেট রেনাটা লিমিটেড বাজারজাতকরণ করে বাংলাদেশের বাজারে। এখানে ব্যবহার করা হয়েছে ডক্সিসাইক্লিন হাইড্রোক্লোরাইড উপাদান এবং এই ওষুধটির ৫০ মিলিগ্রাম এবং ১০০ মিলিগ্রাম ক্যাপসুল ফরম্যাটে পাওয়া যায়। এখন এই ক্যাপসুলটি কোন রোগের বিপরীতে সঠিকভাবে কাজ করবে সেটা জানব। সহজ ভাষায় বলতে গেলে নিউমোনিয়া ইনফ্লুয়েঞ্জার সাইনোসাইটিস এই ধরনের রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে ডক্সিক্যাপ অত্যন্ত পারদর্শী।
এছাড়াও টনসিলাইটিস ও ট্র্যাকিআইটিস নামক অসুখের বিরুদ্ধে আপনাকে সাহায্য করবে এই ডক্সিক্যাপ ঔষধটি। এছাড়াও যাদের কলেরা আছে এবং যাদের ট্রাভেলার্স ডায়রিয়া রয়েছে তাদের জন্য এই ওষুধটি অত্যন্ত উপকারী। এছাড়া লিটাকোসিস ও ট্রাকোমা নামক রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে এই ওষুধটি অনেক পারদর্শী। এছাড়াও এর ব্যতিক্রম ধর্মে কিছু সংক্রমণ এর বিপরীতে লড়াইয়ের জন্য এই ওষুধটি অত্যন্ত পারদর্শী।
ডক্সিক্যাপ ক্যাপসুল এর সঠিক মাত্রা
আমরা সকলে অবগত আছি যে রোগীর পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে এবং তার বয়স ও ওজনের ওপর নির্ভর করে মূলত একটি ঔষধ নির্ধারণ করা হয়। সেই ওষুধটি রোগে কতটুকু খাবে এবং কি পরিমানে খাবে সেটাও নির্ধারণ করা হয় এই বিষয়গুলোর উপর নির্ভর করে। ডক্সিক্যাপ ক্যাপসুল এর ক্ষেত্রে স্বাভাবিক মাত্রা এবং অস্বাভাবিক মাত্রা কি হতে পারে সেটা এখন জানব।
ডক্সিক্যাপ এর সাধারণ দোষ হিসাবে প্রথম দিনে ২০০ মিলিগ্রাম এবং তারপরে ৭ থেকে ১০ দিনের জন্য প্রতিদিন ১০০ মিলিগ্রাম করে খাওয়া যেতে পারে। এছাড়া গুরুতর যাদের সংক্রমণ রয়েছে তাদের জন্য ১০ দিনের ২০০ মিলিগ্রামের একটি নিয়ম বেঁধে দিতে পারে ডাক্তার সাহেব। যাদের অতিরিক্ত ব্রণের প্রবণতা রয়েছে তাদের জন্য প্রতিদিন ১০০ মিলিগ্রাম খাওয়ার কথা বলবেন ডাক্তার। আপনি যদি এই নিয়মগুলো মেনে সঠিকভাবে ঔষধ খেতে পারেন আশা করা যায় আপনি সুফল পাবেন।
ডক্সিক্যাপ ক্যাপসুল এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
ডক্সিক্যাপ ক্যাপসুল এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আছে এটা শুনে অনেকেই হয়তো হতবাক হয়ে গেছেন। আরে ভাই হতবাক হওয়ার কিছুই নেই ডক্সিক্যাপ ক্যাপসুল অন্যান্য ঔষদের মতনই ঔষধে তাই এটার প্রতিক্রিয়া আছে এটা একেবারে স্বাভাবিক ব্যাপার। তবে আপনাকে জানতে হবে কি পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আছে এবং এটার জন্য আপনার কোন ক্ষতি হবে কিনা।
আপনি ডক্সিক্যাপ ঔষধ খাওয়ার পরবর্তী সময় যদি আপনার বমি বমি ভাব হয় অথবা বমি হয় এছাড়া অতিরিক্ত ডায়রিয়া হয় তাহলে আপনি ভাবতে পারেন এই ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার কারণে এটা হচ্ছে। এছাড়াও ত্বকে ফুসকুড়ি এবং আরো অন্যান্য এলার্জিক রিএকশন হতে পারে ডক্সিক্যাপের ফলে তাই এই বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।