ইসোমিপ্রাজল এর কাজ কি Esomeprazole

আপনাদের সকলকে স্বাগতম জানাই আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে। আজকের আর্টিকেলে আমরা এমন একটি ঔষধ সম্পর্কে আলোচনা করতে এসেছি যে ওষুধটি সচারাচর প্রত্যেকটি মানুষেরই প্রায় প্রতিদিনে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। বর্তমানে বেশিরভাগ মানুষের একটি কমন সমস্যা হল গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা। প্রতিটি খাবারদাবারে ভেজালের জন্য আমাদের স্বাস্থ্যের যেমন ক্ষতি হয়ে থাকে ঠিক তেমনি গ্যাসটিকের সমস্যাটি দিন দিন যেন বেড়েই চলেছে।

আর এই গ্যাসের সমস্যাটি খুবই বিরক্তিকর একটি সমস্যা। এর জন্য আমরা সকলেই প্রায় বিভিন্ন ধরনের গ্যাসের ঔষধ সেবন করে থাকি। এর মধ্যে একটি জনপ্রিয় ওষুধ হল ইসোমি প্রাজল। এই ওষুধটির সাথে আমরা প্রায় সবাই পরিচিত। এই ওষুধটি আমাদের গ্যাস্টিকের সমস্যা থেকে অনেক আরামদায়ক দিতে পারে। এছাড়াও এই ওষুধটির খুচরা মূল্য বাজারে অনেকাংশেই কম।

তাই সকল ধরনের মানুষ গ্যাস্টিকের সমস্যার কারণে এই ওষুধটি সেবন করে থাকেন। আপনারা যারা কমেন্টের মাধ্যমে এই ওষুধটি সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন এবং এই ওষুধের কাজ সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন তাদের জন্যই আমরা আজকে নিয়ে এসেছি আমাদের আর্টিকেলটি। এই ওষুধ সম্পর্কে জানার জন্য আমাদের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

ইসোমিপ্রাজল এর কাজ কি

ইসমে প্রাজল হচ্ছে একটি প্রোটন পাম ইন হিবিটর যা এটিপি পিসকে নিভৃত করার মাধ্যমে গ্যাস্ট্রিক এসিড নিঃসরণ কমিয়ে ফেলে। এসিড সম্পর্কিত ডিওডেনাল অথবা গ্যাস্ট্রিক আলসার সিনড্রোম এর চিকিৎসায় এটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। বেশিরভাগ মানুষ মূলত গ্যাস্ট্রিকের সমস্যার জন্য ইসোমিপ্রাজল সেবন করে থাকেন। ইসোমি প্রাজল ট্যাবলেট টি সুনির্দিষ্টভাবে গ্যাস্টিক প্যারাইটাল কোসে অবস্থিত ধোটন পাম্প প্রতিরোধক। এটি মূলত এনজাইমকে নিতহ করার মাধ্যমে মাত্রা নির্ভর অ্যাসিড নিঃসরণ বিরোধী কার্যক্রম শুরু করে।

ইসোমি প্রাজল খাওয়ার নিয়ম

ইসোমি প্রাজল ট্যাবলেট টি মানুষ যেহেতু গ্যাস্ট্রিকের সমস্যার জন্যই খেয়ে থাকেন তাই এই ট্যাবলেটটি খাওয়ার ৩০ মিনিট থেকে এক ঘন্টা পূর্বে খেয়ে নিতে হবে। তবে হ্যাঁ রোগের ধরন অনুযায়ী সুপারিশকৃত মাত্রা প্রয়োগ করতে হবে। তাই আপনি যখন গ্যাসটিকের সমস্যা অথবা অম্ল জাতীয় কোন সমস্যার কারণে এই ওষুধটি সেবন করতে যাবেন তার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে এর মাত্রা সঠিক পরিমাণে নির্দেশিত করে নিয়ে তারপর সেবন করবেন। তাহলে অবশ্যই আপনি আপনার রোগ নিরাময়ে এই ঔষধটি সেবন করার ফলে তার প্রকৃত ফলাফল পাবেন।

ইসোমি প্রাজল সাসপেনশন প্রস্তুত প্রণালী

একটি কাপে 15 মিলিমিটার বিশুদ্ধ পানিতে প্যাকেটের সম্পূর্ণ দানা মিশিয়ে ভালোভাবে নারুন এবং দুই তিন মিনিট রেখে দিন পুনরায় আবার ভালোভাবে নাড়ন এবং সম্পূর্ণ মিশ্রণটি একবারে সেবন করুন। সাসপেনশন নাসো গ্যাস্ট্রিক বা গ্যাস্ট্রিক টিউব দ্বারা প্রয়োগ করতে হলে অবশ্যই ১৫ মিলিমিটার পানিতে মেশাতে হবে।

এক্ষেত্রে অন্য কোন পানি বা খাদ্য ব্যবহার করা একেবারেই উচিত নয়। মিশ্রণটি ভালোভাবে নাড়ার পর দুই থেকে তিন মিনিট রেখে দিতে হবে। এরপর পুনরায় ভালোভাবে নাড়ার পর উপযুক্ত মাপের সিরিঞ্জ ব্যবহার করে ৩০ মিনিটের মধ্যে টিউবে প্রবেশ করাতে হবে। টিউবের ভেতরের সাসপেনশন টি পুনরায় পানি দিয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে। ব্যাস এভাবেই খুব সহজেই ইসোমি প্রাজল সাসপেনশন প্রস্তুত করে নিতে পারবেন।

ইসোমি প্রাজল এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

ইসোমিপ্রাজল গ্যাস্ট্রিক আলসারে ব্যবহারের পূর্বে অবশ্যই ম্যালিগন্যান্সির সম্ভাব্যতা যাচাই করে নিতে হবে। তা না হলে ইসোমিপ্রাজল রোগের ঘন সমূহকে ঢেকে দিয়ে রোগ নিরপনে বিলম্ব ঘটাতে পারে। এছাড়াও প্রোটন পাম্প ব্যবহারের সাথে নিতম্ব ভেঙে যাবার ঝুঁকি রয়েছে। এছাড়াও কিছু কিছু ক্ষেত্রে ডায়রিয়া হওয়ার ঝুঁকিও থেকে যায়। তাই অবশ্যই ওষুধ কি সেবন করার আগে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করতে হবে। মনে রাখতে হবে সব ওষুধেরই কিছু কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থেকে যায়।

আশা করি আপনারা আমাদের আর্টিকেল পড়ে জেনে নিতে পেরেছেন ইসোমি প্রাজল এর কাজ সম্পর্কে এবং ইসোমি প্রাজল সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্যগুলো।