খাদ্য রসিক বাঙালি যখন কোন কিছু খায় তখন অল্প করে খেতে কোন ভাবে পছন্দ করে না চেষ্টা করে পেট পুরে খেতে। খাবারের অভ্যাস থাকা ভালো তার কারণ হচ্ছে আপনি যখন সুস্থ থাকতে চেষ্টা করবেন তখন অবশ্যই আপনাকে নিয়মিত পরিমিত খাবার খেতে হবে। কিন্তু এই খাবারের পরিমাণ যখন অত্যাধিক হয়ে যায় তখন অবশ্যই সেটা আপনার জন্য বিরক্তিকর একটি অভিজ্ঞতা হয়ে দাঁড়ায়। এর পাশাপাশি বর্তমানে বাংলাদেশের খাদ্যের ভেজালের কথা যদি বলি তাহলে হয়তো কোন কিছুকেই বাদ দেওয়া যাবে না।
বাঙালি হিসাবে আমরা সব সময় খাদ্যে প্রচুর পরিমাণে মসলা ব্যবহার করি যেটা গ্যাস্টিকের অন্যতম কারণ। এর পাশাপাশি আমাদের খাদ্যের যে কালচার তৈরি হয়েছে সেখানে প্রচুর পরিমাণে তেল ব্যবহার করা হয় যেটা গ্যাস্টিকের প্রধান কারণ। এছাড়াও আপনি যত চেষ্টা করুন না কেন মনে করুন বাড়ির বাইরে কোন কিছু খাবেন না কিন্তু যখন রাস্তার পাশ দিয়ে হেটে যাবেন এবং দেখবেন রাস্তার পাশেই মুখরোচক ফাস্টফুডের দোকান এবং সেখানে গরম গরম এই ধরনের তৈলাক্ত খাবার তৈরি হচ্ছে তখন আপনি কোন ভাবেই নিজেকে ধরে রাখতে পারবেন না।
এর পাশাপাশি ভেজাল খাদ্যের এত সমাগম হয়েছে যে ভেজাল খাদ্যের মধ্যে আপনি আসল খাদ্যকে খুঁজে পাবেন না। সব মিলিয়ে গ্যাস্টিক বাংলাদেশের একটি জাতীয় রোগে পরিণত হয়েছে এবং বাংলাদেশের বাজারে গ্যাস্টিকের ঔষধ যে পরিমাণে বিক্রি হয় হয়তো এই ধরনের ঔষধ আর অন্য এতটা বিক্রি হয় না। আজকে সেরকম একটি গ্যাস্টিকের ক্যাপসুল নিয়ে আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করব। এক্সাম ক্যাপসুল যেটার প্রস্তুতকারক হচ্ছে রেডিয়েন্ট ফার্মাসিটিক্যালস লিমিটেড। এখানে তারা ব্যবহার করেছে ইসমেপ্রাজল ম্যাগনেসিয়াম ট্রাইহাইড্রেট। চলুন এই ওষুধের সঠিক কার্যকারিতা সম্পর্কে জানি।
Exium 20 এর সঠিক কার্যকারিতা কি
এই ওষুধ সঠিকভাবে যেই সমস্যার বিরুদ্ধে নির্দেশনা দেওয়া হয় সেটা এক কথায় উত্তর দিতে গেলে বলতে হয় গ্যাস্টিকের সমস্যা। তবে শুধুমাত্র গ্যাস্টিকের সমস্যা বা সরাসরি গ্যাস্টিকের বিরুদ্ধে এই ঔষধ লড়াই করে না এর পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের গ্যাস্টিক আছে বা গ্যাস্টিক জনিত বিভিন্ন সমস্যা আছে যাদের বিরুদ্ধে ক্যাপসুল ব্যবহার করা হয়। চলুন জানার চেষ্টা করি সেই সঠিক ব্যবহারগুলো এবং কোন কোন রোগের বিরুদ্ধে এটা মূলত কাজ করে সেটা।
সহজ ভাষায় বলতে গেলে গ্যাস্টিকের বিভিন্ন সমস্যার বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য এটা ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও জলিলজার ইলিশন সিনড্রোম এর চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয় এই Exium 20 ক্যাপসুল। এছাড়াও গ্যাস্ট্রিক আলসারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে Exium 20 ক্যাপসুল। এছাড়াও ইউরোসিপ ইসোফেগাইটিস রোগসমূহ নির্মূলের জন্য ব্যবহার করা হয় EXIUM 20 ও এসিড সম্পর্কিত ডিস্পেশিয়া যদি কোন রোগীর শরীরে দেখা দেয় তাহলে ডাক্তার EXIUM 20 তাকে নির্দেশ করতে পারে। সবমিলে সাধারণত ডাক্তার যদি কোন রোগীর শরীরে এই ধরনের উপসর্গ দেখতে পায় তাহলে অবশ্যই সে এই ওষুধ ব্যবহার করতে পারে।
EXIUM 20 খাওয়ার সঠিক নিয়ম
গ্যাস্টিকের ঔষধ তো আমরা খাই কিন্তু আমরা কয়জন গ্যাস্টিকের ঔষধ খাওয়ার সঠিক নিয়ম জানি? এমন অনেকেই রয়েছে যারা ভাত কম খায় গ্যাস্টিকের ঔষধ বেশি খায় তারাও মূলত সঠিকভাবে গ্যাস্টিকের ওষুধ খাওয়ার নিয়ম জানেনা । আপনি যদি সঠিক নিয়ম মেনে এবং নিয়মিতভাবে গ্যাস্টিকের ঔষধ খান তাহলে অবশ্যই সেখান থেকে সঠিক নিরাময় পাবেন। ইসমে প্লাজম গ্রুপের ঔষধ গুলোর খাওয়ার প্রথম নিয়ম হচ্ছে এটা খালি পেটে খেতে হবে অর্থাৎ আপনি যে খাবার খাবেন সেই খাবার খাবার এক ঘণ্টা পূর্বে আপনাকে এই ক্যাপসুল খেতে হবে।
এখন কি পরিমানে এক্সাম ২০ আপনি খেতে পারেন সেটা কথা যদি বলি তাহলে প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের ক্ষেত্রে EXIUM 20 মিলিগ্রাম থেকে 40 মিলিগ্রাম দৈনিক একবার করে ৪ থেকে ৮ সপ্তাহ ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে এখানে দৈনিক ২০- ৪০ মিলিগ্রাম দুইবার করেও ব্যবহার করা হয়। সব মিলিয়ে ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোনভাবেই কোন ঔষধ অধিক অতিরিক্ত হারে খাওয়া উচিত নয়।