ফেক্সো ট্যাবলেট এর কাজ কি Fexo 120mg Tablet

ফেক্সোফেনাডিন হাইড্রোক্লোরাইড এই ওষুধটি দ্বারা তৈরি করা হয় বিভিন্ন ধরনের এন্টিহিস্টামিন। বিভিন্ন কোম্পানি এর নামকরণে পরিবর্তন করে নিজস্ব নাম দিয়ে তাকে বাজারজাতকরণ করছে। আজকে আমরা গুরুত্বপূর্ণ ফেক্সো ট্যাবলেট নিয়ে আলোচনা করব যার মূল উপাদান হচ্ছে ফেক্সোফেনাডিন এবং আজকের যে ট্যাবলেটটি নিয়ে আমরা আলোচনা করব সেখানে আপনি বেশ কয়েক ধরনের ট্যাবলেট পাবেন। সাধারণত ৬০ মিলিগ্রামের ট্যাবলেট পাওয়া যায় যাদের বয়স কম তাদের ক্ষেত্রে ব্যবহারের জন্য। যারা প্রাপ্তবয়স্ক তাদের নিয়মিত ব্যবহারের জন্য ফিক্সোফেনাডিন হাইড্রোক্লোরাইড ১২০ মিলিগ্রাম দিয়ে তৈরি ফ্লেক্সো ১২০ মিলিগ্রাম ট্যাবলেট বর্তমানে বাজারে অ্যাভেলেবল রয়েছে।

এ ছাড়াও স্কয়ার ফার্মাসিটিক্যালস লিমিটেডের এই ট্যাবলেট আপনি ১৮০ মিলিগ্রামের ধরনের বাজারে পাবেন। এছাড়াও এই ফেক্সোফেনাডিন হাইড্রোক্লোরাইড দ্বারা তৈরি সিরাপ গুলো বাচ্চাদের ক্ষেত্রেও প্রয়োগ উপযোগী। তাই আপনি ৫ মিলি সিরাপ বাজারে অ্যাভেলেবল পাবেন। আজকে আমরা এই ঔষধের সঠিক কার্যকারিতা সম্পর্কে জানবো আশা করছি সম্পূর্ণ আর্টিকেল জুড়ে আপনারা আমাদের সঙ্গেই থেকে সে বিষয় সম্পর্কে অবগত হতে পারবেন।

ফেক্সো ট্যাবলেট এর সঠিক কাজ কি

ফেক্সোফেনাডিন হাইড্রোক্লোরাইড বিপি সাধারণত এলার্জিক রাইনাইটিস এর বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারা অত্যন্ত উন্নত মানের একটি ঔষধ। কয়েক বছর আগেও এই ঔষধের এতটা ব্যবহার ছিল না কিন্তু এর কার্যকারিতা অত্যন্ত ভালো হওয়ায় এখন প্রায় এই ধরনের রোগীদের ক্ষেত্রে ডাক্তার এরা সবার আগে ফেক্সোফেনাডিন রেফারড করছেন। এলার্জিক রাইনাইটিস বলতে সাধারণত কোন রোগগুলোকে বলা হয় সে সম্পর্কে অবশ্যই জানতে হবে। অনেকের ক্ষেত্রে মৌসুমী এলার্জি রাইনাইটিস হয়ে থাকে ঠিক তেমন সারা বছর একজন ব্যক্তি ভালো থাকে কিন্তু যখনই শীত আসে তখন তার প্রচুর পরিমাণে হাঁচি হয় এবং হাঁচির পরিমাণ এতটাই বৃদ্ধি পেয়ে যায় যে সে তার কারণে অসুস্থ হয়।। হাজির পাশাপাশি চোখ লাল হতে পারে এছাড় াও হাসির কারণে নাক দিয়ে পানিও পড়তে পারে। এই ধরনের মৌসুমে এলার্জিক রাইনাইটিস এর বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য ডাক্তারেরা রোগীদের ট্যাবলেট খাওয়ার পরামর্শ দেন।

ঠিক এরকমই মৌসুমী এলার্জিক রাইনাইটিস এর কারনে তালু চুলকানো থেকে শুরু করে নাক কান চুলকানোর সমস্যা অনেকের মধ্যে দেখা দেয় এবং সেই ধরনের রোগীদের ক্ষেত্রে ডাক্তাররা ঠিক একই পরামর্শ দেবেন। এইতো গেল মৌসুমী সমস্যা কিন্তু যাদের সারা বছর ধরেই এই সমস্যাগুলো রয়েছেন তাদের ক্ষেত্রেও হেক্সো ট্যাবলেট ডাক্তারেরা পরামর্শ দেন তবে এই ক্ষেত্রে দীর্ঘস্থায়ী ব্যবহারের জন্য যথেষ্ট নিয়ম এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী এই ঔষধ ব্যবহার করতে হবে।

এর বাইরে সকল ধরনের রোগীদের জন্য টনিক ভিডিওপ্যাথিক আরটি ক্যারিয়ার সমস্যা সমাধানের জন্য ট্যাবলেট ব্যবহার করা হয়। রুবিনা যদি ডাক্তারের কাছে যায় তাহলে অবশ্যই ডাক্তার তার সমস্যা সম্পর্কে জানতে চাইবে এবং রোগীদের মতামত অনুযায়ী যদি এই ধরনের রোগের লক্ষণ তার শরীরে দেখা দেয় তাহলে অবশ্যই খাওয়ার পরামর্শ দেবেন একজন ডাক্তার। বিভিন্ন ধরনের ছত্রাকের লক্ষণ এবং চাকার সংখ্যা কমাতে অত্যন্ত কার্যকরী একটি ট্যাবলেট।

হেক্সো ট্যাবলেট খাওয়ার সঠিক নিয়ম

যারা প্রাপ্তবয়স্ক আছে তাদের ক্ষেত্রে এই ট্যাবলেট প্রতিদিন ১২০ মিলিগ্রাম করে খাওয়ার অনুমতি আছে। এখানে ১২০ মিলিগ্রাম আপনি একবারেও খেতে পারেন অথবা ৬০ মিলিগ্রাম করে দুই বেলাতে মোট ১২০ মিলিগ্রাম ওষুধ খেতে পারেন। প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে দৈনিক ১৮০ মিলিগ্রাম খাবারও পরামর্শ দিতে পারেন ডাক্তার তবে সেটা ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী আপনাকে খেতে হবে। এছাড়া অন্যান্য সমস্যার জন্য ব্যবহারের ক্ষেত্রেও ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

এছাড়াও যারা শিশু আছে তাদের ৩০ মিলিগ্রাম এর সিরাপ অথবা ৩০ মিলিগ্রামের ক্যাপসুল খাওয়ানো যেতে পারে দৈনিক একবার থেকে দুইবার। শিশুদের ক্ষেত্রে কোন ভাবে কোন অবহেলা করা চলবে না তাই আমার পরামর্শ হচ্ছে আপনার শিশু যদি কোন সমস্যা হয় তাহলে নিকটস্থ একজন শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে যান। শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে গেলে আপনি খুব সহজে বুঝতে পারবেন আপনার শিশুর কি সমস্যা হয়েছে এবং ডাক্তার কি পরিমাণ ওষুধ খেতে বলল।