জীবনে চলার পথে আমরা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকি। তাই এই রোগগুলো থেকে মোকাবেলা পাওয়ার জন্য সবসময় আমাদের ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করতে হবে। আপনারা হয়তো অবগত আছেন আমরা কি ধরনের পোস্ট আপলোড করি তার ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে আজকে আমরা ফ্লামেক্স ট্যাবলেট নিয়ে আলোচনা করব। অবশ্যই একজন সুস্থ ব্যক্তির কোন ঔষধের প্রয়োজন পড়ে না কিন্তু আপনি যদি অসুস্থ হন তাহলে অবশ্যই ওষুধ খেতে হবে।
Flamex 40 ট্যাবলেট টি কি কাজে ব্যবহার হয় বা এই ঔষধের কার্যকারিতা সম্পর্কে জানতে আমাদের পরবর্তী অংশটুকু ভালো ভাবে লক্ষ্য করুন। অবশ্যই এই ওষুধটি অত্যন্ত ভালো মানের ওষুধ এবং এসিআই লিমিটেড এই ওষুধটি বর্তমানে বাজারজাতকরণ করেছে। এখানে আইবুপ্রোফেন নামক ঔষধ ব্যবহার করা হয়েছে। তাই এই বিষয়ে সতর্কতার সঙ্গে আপনাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে চলুন নিচের অংশ থেকে জানার চেষ্টা করি এই ওষুধ কি কাজে আসে।
Flamex 40 ট্যাবলেট এর কাজ কি বা এটা কি কাজে আসে
প্রত্যেকটি ওষুধের রয়েছে এক এর অধিক কাজ তাই আপনাদের জানতে হবে প্রত্যেকটি ঔষধ সম্পর্কে এবং এর খুঁটিনাটি কাজগুলো সম্পর্কে। মূলত আজকের এই ঔষধ মাইগ্রেনের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে আপনার কাজে আসবে। যাদের দীর্ঘদিন ধরে কোমর ব্যথা আছে তারা এই ওষুধটি খেতে পারেন অথবা ডাক্তার এই ওষুধটি নির্দেশ করতে পারে। এছাড়া ও জ্বর বা ডিসমেনড়িয়া থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য এই ওষুধটি আপনি লিখতে পারেন।
এর পাশাপাশি যাদের নরম কোষ কলার আঘাত প্রাপ্ত রয়েছে বা যে রোগীগুলোর দাঁত ও পেশীর প্রধান ইত্যাদির ক্ষেত্রে এই ওষুধটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। আমার কিছুটা সরাসরি ভাবে বুঝতে পারছি যে এটা সাধারণত একটি ব্যাথার ওষুধ তারপরও বিভিন্ন ধরনের ব্যথাতে এটা কাজ করে। এছাড়াও আর্থাইটিস বিভিন্ন ধরনের আর্থাইটিস প্রতিরোধে বা সেখানে আরাম দিতে এই ওষুধটি ব্যবহার করা হয়।
Flamex 40 ট্যাবলেট এর সঠিক খাওয়ার পরিমাপ
প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে ৪০০ মিলিগ্রাম দৈনিক তিনবার করে ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে দৈনিক মাত্রা সর্বোচ্চ ২৪০০ মিলিগ্রাম পর্যন্ত করা যায় রোগীর অসুস্থ্যের কথা ভেবে। এখানে ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোনভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা যাবে না রোগীকে এতটা ওষুধ খাওয়ানো যাবে কিনা। এছাড়াও শিশুদের ক্ষেত্রেও এই ঔষধ ব্যবহার করা যাবে চলুন শিশুদের ক্ষেত্রে কি পরিমাণ ওষুধ খাওয়া যাবে সেটা জানি।
আমরা সাধারণত জানি ছয় মাসের নিচের শিশুদের জন্য প্রত্যেকটি ঔষধের পরিমাপ নির্বাচন করা হয় সেই শিশুর ওজনের উপর নির্ভর করে। শিশুর ওজন যত বেশি তার জন্য ওষুধের পরিমাণও তত বেশি। এই ওষুধটি এক থেকে হাফ চামচ অর্থাৎ ২.৫ মিলিটার দৈনিক তিনবার দৈনিক সর্বোচ্চ 30 মিলিগ্রাম পর্যন্ত ব্যবহার করা যেতে পারে তিন থেকে চার মাত্রায় প্রতি কেজিতে।
এছাড়াও ৬ মাস থেকে এক বছরে শিশুদের জন্য হাফ চা চামচ দৈনিক ৩ থেকে ৪ বার এবং ১-৪ বছর বয়সী শিশুদের জন্য এক চা চামচ অর্থাৎ ৫ মিলিটার দৈনিক তিনবার এবং ৭ থেকে ১০ বছরের শিশুদের জন্য ২ চামচ ১০ মিলিলিটার দৈনিক তিনবার খাওয়ানো যেতে পারে। এর পাশাপাশি যে শিশুদের বয়স ৪-৭ বছর তাদের জন্য ৭.৫ মিলি লিটার অর্থাৎ দেড় চামচ দৈনিক তিনবার খাওয়াতে হবে। যাদের বয়স ১০ থেকে ১২ বছরের মধ্যে তাদের জন্য তিন চামচ অর্থাৎ ১৫ মিলিলিটার দৈনিক তিনবার খাওয়াতে হবে। এখানে প্রত্যেকটি ঔষধ ভাগ ভাগ করে অর্থাৎ তিন বেলা অথবা ২ বেলা ভাগ করে আপনাকে খাওয়াতে হবে।
গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদান কালে সন্তানের ওপর বিরূপ প্রতিকার সম্ভাবনা বাতিল করা যায় না। তাই এখানে যথেষ্ট ঝুঁকি রয়েছে গর্ভাবস্থায় এই ওষুধটি সেবন কালে তবে এখানে যদি ঝুঁকির অপেক্ষা মায়ের সুস্থতা বড় হয়ে দাঁড়ায় তাহলে ওষুধটি ব্যবহার করা যেতে পারে।