Flexibac 10 এর কাজ কি ফ্লেক্সিবেক ১০ মি.গ্রা. ট্যাবলেট

সবার প্রথমে চলুন এই ওষুধকে ভালোভাবে চেনা যাক এবং ঔষধ সম্পর্কে জানা যাক। আপনি যেই ওষুধটি খাচ্ছেন সেটা সম্পর্কে যদি না জানেন তাহলে হয়তো আপনার মনে দ্বিধা দ্বন্দ্ব থাকবে। কিন্তু ওষুধ সম্পর্কে আপনি যখন জানবেন এবং ওষুধ প্রস্তুতকারক সম্পর্কে আপনি যখন জানবেন অবশ্যই আপনার মনে কোন দ্বিধা দ্বন্দ্ব থাকবে না ঔষধ এর কার্যকারিতা নিয়ে।

আজকের যে ট্যাবলেট নিয়ে আমরা কথা বলবো সেটা হচ্ছে Flexibac নামক একটি ঔষধ। এই ওষুধটিতে যে উপাদান ব্যবহার করা হয়েছে সেটা হচ্ছে ব্যাক্লোফেন উপাদান। এখানে আপনি এই ওষুধটি ট্যাবলেট ফরমেটে পাবেন মোট ৩টি ভেরিয়ান্টে। প্রথমে আপনি পাবেন Flexibac ৫ মিলিগ্রাম এর একটি ট্যাবলেট এবং আপনার কাছে অপশন থাকবে Flexibac ১০ মিলিগ্রামের ট্যাবলেট নেওয়ার  । সর্বশেষ ধরন হচ্ছে 25 মিলিগ্রামের ট্যাবলেট। এখানে কোন রোগীকে কোন ট্যাবলেট দেওয়া হবে সেটা ডাক্তার নির্ভর করবেন এর পাশাপাশি এখানে সিরাপ সলিউশন এই ট্যাবলেট পাওয়া যেতে পারে।

Flexibac 10 মিলিগ্রাম ট্যাবলেট এর সঠিক নির্দেশনা

প্রত্যেকটি ঔষধ রয়েছে আলাদা আলাদা অশোকের জন্য এবং শুধুমাত্র যে একটি ঔষধ একটি অসুখের বিরুদ্ধে লড়াই করবে এমন নয়। চিকিৎসা জ্ঞানের ভাষায় এই ওষুধগুলো কি কি কাজে লাগে তার একটি ছোট্ট তালিকায় এখন আমরা আপনাদের সামনে তুলে ধরব। Flexibac 10 মিলিগ্রাম ট্যাবলেট এর কার্যকারিতা সম্পর্কে কোন যদি সন্দেহ থাকে তাহলে আপনারা আমাদের প্রশ্ন করতে পারেন।

সাধারণত মাল্টিপল এক্সপ্লেরোসিস দ্বারা সৃষ্ট ইসপারটিসিটি রোগের কারণে এই Flexibac 10  ঔষধ দেওয়া হয়। এর পাশাপাশি যাদের কাশেরুকাতে কাটে আঘাত এবং কাশেরুকাতে  অন্যান্য সমস্যা আছে তাদের জন্য এই ঔষধ দেওয়া হয়। এছাড়াও ব্রেনের অন্যান্য সমস্যার কারণে মূলত এই ওষুধটি ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করা যাবে।

Flexibac 10 ট্যাবলেট এর মাত্রা ও সেবন বিধি

পূর্ণবয়স্ক এবং ১০ বছরে ঊর্ধ্বে রোগীদের জন্য ৫ মিলিগ্রাম দিনে ৩বার খাবার আগে খেতে বলা হয়। আরেকটি বিষয় হলো প্রত্যেকটি ঔষধের পরিমাপ বাড়ানো যেতে পারে এবং এটা বাড়ানোর ক্ষেত্রে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। পূর্ণবয়স্কদের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১০০ মিলিগ্রাম করে খাওয়া যেতে পারে দিনে তবে এটা ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোনভাবে খাওয়া যাবেনা।

যাদের বয়স ১০ বছরের নিচে তাদের প্রাথমিকভাবে ২.৫ মিলিগ্রাম দিনে ৪বার এবং পরবর্তীতে প্রয়োজন অনুযায়ী মাত্রা বৃদ্ধি করতে হবে তবে এই ক্ষেত্রে ডাক্তার ছাড়া কোন ভাবে এটা করা যাবে না। যাদের বয়স ২ বছর থেকে ৬ বছরের মধ্যে তাদের জন্য ২০ থেকে ৩০ মিলিগ্রাম অর্থাৎ ২০ থেকে ৩০ মিলিলিটার ঔষধ খাওয়া যেতে পারে। এছাড়াও যাদের বয়স ৬ বছর থেকে ১০ বছরের মধ্যে রয়েছে তাদের জন্য ৩০ থেকে ৬০ মিলিগ্রাম অথবা ৩০ থেকে ৬০ মিলিটার দৈনিক খাওয়া যেতে পারে। এছাড়াও যাদের বয়স ১২ মাস থেকে ২ বছরের মধ্যে রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে ১০ থেকে ২০ পেলেগ্রাম দৈনিক অথবা ১০ থেকে ২০ মিলিটার দৈনিক ঔষধ খেতে হবে। প্রত্যেকটি ঔষধ পরিবর্তনের ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ এবং প্রত্যেকটি ওষুধ বাদ দেওয়ার ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে।

গর্ভ অবস্থায় যদি এই ওষুধটি সেবন করতে বলা হয় তাহলে সেটা খাওয়া যাবে কিনা সে সম্পর্কে জানব। মূলত প্রেগনেন্সি ক্যাটাগরির d-3 গর্ভাবস্থায় ব্যবহার করার জন্য নিরাপদ নয়। তাই ঝুঁকি নিতে হলে অবশ্যই সেখানে দেখতে হবে যে সেটা গর্ভবতী মায়ের জীবননাশের কারণ হচ্ছে কিনা তা না হলে কোনভাবে ব্যবহার করা যাবে না। সহজ ভাষায় বলতে গেলে ঝুঁকির থেকে উপকার বেশি হলে আপনি এটা ব্যবহার করতে পারেন। তাছাড়া কোনোভাবেই গর্ভ অবস্থায় এই ওষুধটি সেবন করা যাবে না এবং অন্যান্য সময় অতিরিক্ত সেবন করা যাবে না এতে করে যে কোন ধরনের 500 প্রতিকার সৃষ্টি হতে পারে।