মানব শরীরের বিভিন্ন ধরনের সমস্যার জন্য বিভিন্ন ধরনের ওষুধ পাওয়া যায়। Docopa 200 ট্যাবলেটটি ডক্সফাইলিন নামক ঔষধ দ্বারা তৈরি করা হয়েছে। বাংলাদেশের বাজারে অ্যারিস্টোফার্মা লিমিটেড বর্তমানে এই ওষুধটি বাজারজাতকরণ করছে। আজকে আমরা Docopa 200 ট্যাবলেট নিয়ে আপনাদের সঙ্গে বিস্তার আলোচনা করব। আপনারা যারা এই ওষুধটি নিয়মিত সেবন করতে চাচ্ছেন তাদের অবশ্যই বলব আমাদের আর্টিকেল একবার পড়ে নিতে করে আপনার মনে থাকা অনেক দুশ্চিন্তা দূর হবে।
এই ওষুধ সঠিক কি কাজে লাগে এবং এই ওষুধ একজন ব্যক্তির পক্ষে কতটুকু খেতে বলা হয় সে সম্পর্কে বিস্তার জানতে হলে অবশ্যই আমাদের আর্টিকেল থেকে আপনারা সঠিক তথ্য পাবেন। মূলত প্রত্যেকটি ডাক্তার রোগের সমস্যার উপর নির্ভর করে তাকে ওষুধ লিখে থাকে। সেই ওষুধ খাওয়ার নির্ধারিত পরিমাপ রয়েছে সেটাও আমরা আজকে আপনাদের জানাবো। আপনি যদি কোন সমস্যা নিয়ে ডাক্তারের কাছে যান এবং ডাক্তার এসে প্রেসক্রিপশনে Docopa 200 ট্যাবলেটটি থাকে তাহলে দেরি না করে আমাদের আর্টিকেল ঝট করে পড়ে ফেলুন।
Docopa 200 ট্যাবলেট এর সঠিক কাজ ও নির্দেশনা
একজন ডাক্তার রোগীর সমস্যা উপলব্ধি করতে পারে তার কারণ হচ্ছে তিনি সরাসরি রোগীর সঙ্গে উপস্থিত থাকে। রোগীর অতীতে কি সমস্যা হয়েছে এবং বর্তমানে কি হচ্ছে সেটার উপর নির্ভর করে ডাক্তার তাকে ওষুধ লিখতে পারে। কিন্তু সেই ঔষধ গুলোর কার্যকারিতা নির্ভর করে মূলত তৈরি করার উপর। Docopa 200 ঔষধটি সরাসরি কি রোগের বিরুধ্যে লড়াই করতে পারে সেটা এখন জানবো।
সবার প্রথমে বলতে গেলে অ্যাজমা বিরুদ্ধে লড়াই করে এই ঔষধ। অ্যাজমা এমন একটি রোগ যেটা আমাদের যে কোন বয়সেই হতে পারে এবং এই অ্যাজমা রোগ সম্পর্কে আমরা অতি পরিচিত। এজমা রোগীকে আমি খুব কাছ থেকে দেখেছি এবং অ্যাজমা রোগীর যখন কষ্ট শুরু হয় তখন তাদের যে কতটা কষ্ট করতে হয় সেটা আমি জানি। খুব সতর্ক থাকার পরেও এসবার রোগের কষ্টের সীমা থাকে না তাই অ্যাজমা রোগের বিরুদ্ধে Docopa 200 ট্যাবলেট ব্যবহার করা যেতে পারে।
এছাড়াও ফুসফুসের বিভিন্ন জটিল সমস্যার জন্য এই ওষুধ অনেক কার্যকরী তাই ডাক্তার যদি বুঝতে পারে রোগীর ফুসফুসে জোটের সমস্যা আছে তারা এই ওষুধটি দেবে। বর্তমান বাজারে এই ওষুধের দাম খুব একটা বেশি নয় আপনি যদি প্রতি পিস এই ওষুধ কিনতে চান তাহলে 6.50 টাকায় কিনতে পারবেন। আশা করছি আপনারা Docopa 200 এর সম্পর্কে সঠিক ধারণা করতে পেরেছেন।
Docopa 200 ট্যাবলেট খাওয়ার সঠিক নিয়ম
বয়স্কদের ক্ষেত্রে এই ওষুধ ২০০ মিলিগ্রাম ট্যাবলেট দিনে ২-৩ খাওয়া যেতে পারে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ফুসফুসের সমস্যা বয়স্কদের বেশি হয়ে থাকে তাই অবশ্যই সতর্কতার সঙ্গে এই ওষুধ খেতে হবে যেন কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি না হয় অতিরিক্ত ওষুধ খাওয়ার জন্য। এর বাইরে যারা প্রাপ্তবয়স্ক রয়েছে তাদের জন্য ৪০০ মিলিগ্রাম করে ট্যাবলেট দৈনিক ২-৩ বার খাওয়ার কথা বলতে পারে একজন চিকিৎসক। তাই অতিরিক্ত মাত্রা সেবনের ক্ষেত্রে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে সেবন করুন।
এছাড়াও শিশুদের ক্ষেত্রে ১২ বছরের ঊর্ধ্বে 10 মিলিলিটার সিরাপ অথবা ২০০ মিলিগ্রাম ট্যাবলেট দৈনিক দুই থেকে তিনবার খাওয়া যেতে পারে। এছাড়াও ছয় থেকে বার বছরের শিশুদের জন্য ৯ মিলিগ্রাম প্রতি কেজিতে হিসাব করে দৈনিক দুইবার খাওয়ানো যেতে পারে। মনে করেন বার্তার ওজন ১০ কেজি হলে ৩মিলিলিটার অথবা ৬০ মিলিগ্রাম করে দৈনিক দুইবার অথবা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী খেতে বলতে পারেন।
বিভিন্ন গবেষণা থেকে দেখা গেছে যে প্রাণী প্রজনন গবেষণায় গর্ভাবস্থায় এই ওষুধটি ভ্রুনের অথবা প্রজননের ক্ষমতার ক্ষতি করেনা। তারপরও গর্ভকালীন সময় এর ব্যবহার সীমিত অভিজ্ঞতা রয়েছে শুধুমাত্র একান্ত প্রয়োজন হলে মহিলাদের দেওয়া যেতে পারে তবে এটা সিদ্ধান্ত একমাত্র ডাক্তার নিতে পারে। একটু কষ্ট করে হলেও গর্ভকালীন সময় এই ওষুধটি সেবন থেকে নিজেকে বিরত রাখার চেষ্টা করুন সকল গর্ভবতী মায়েরা।