বিভিন্ন ধরনের ঔষধ বিভিন্নভাবে কাজ করে আমাদের শরীরে। আজকে যে ট্যাবলেট নিয়ে আমরা আপনাদের সঙ্গে কথা বলব সবার প্রথমে সেই ট্যাবলেটের পরিচয় আপনাদের সামনে তুলে ধরতে চাই যাতে করে আপনি সঠিকভাবে এই ট্যাবলেট সম্পর্কে জানতে পারেন। সাধারণত এই ট্যাবলেটের শুধুমাত্র যে ৫০ মিলিগ্রামের ভাষণ বাংলাদেশের রয়েছে এমন নয় এর পাশাপাশি আপনি ১৫০ মিলিগ্রাম থেকে শুরু করে ২০০ মিলিগ্রাম পর্যন্ত ট্যাবলেট পাবেন। এছাড়াও রয়েছে ৫ মিলিগ্রামের একটি সাসপেনশন বিভিন্ন রোগের ক্ষেত্রে বিভিন্নভাবে এই সাস্পেনশন বা ওষুধ গুলো ব্যবহার করা হয়।
স্কয়ার ফার্মাসিটিক্যালস লিমিটেড এই পণ্য তৈরি করে এবং এই বর্ণ তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছে ফ্রুকোনাজল বিপি। বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসায় এটা ব্যবহার করা হয় আমরা জানার চেষ্টা করব এর সঠিক চিকিৎসার মাধ্যম এবং কিভাবে এই ওষুধ সঠিক মাত্রায় খেতে হবে সে সম্পর্কে। অতিরিক্ত মাত্রায় ঔষধ সেবন করলে সেটা আপনার শরীরের কোন ক্ষতি করবে কিনা সে সম্পর্কেও জানার চেষ্টা করব আশা করছি শেষ পর্যন্ত আপনারা আমাদের সঙ্গে থেকে সঠিক তথ্য সংগ্রহ করতে পারবেন।
ফ্লূগার্ল ৫০ কি কাজ করে
আমরা আপনাদের এখানে কিছু সমস্যার কথা বলব যে সমস্যাগুলো হলে আপনি অবশ্যই এই ওষুধ খেতে পারেন। সাধারণত বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা যেমন বলতে হয় মুখ গলা গাল ফুসফুস কোষের পাশাপাশি অন্যান্য অঙ্গের চেঁচানো সংক্রমণ রয়েছে। এই ধরনের বিভিন্ন সংক্রমণ বা বিভিন্ন ফাংগাল আক্রমণ থেকে বাঁচানোর জন্য সাধারণত এটা ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও আমরা আরো জানতে পেরেছি যে এই ঔষধ সাধারণত বিভিন্ন ধরনের থেরাপি অথবা কেমোথেরাপি চলাকালীন অবস্থাতে ডাক্তারেরা ব্যবহার করে থাকেন।
চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় যদি আমরা বলতে চাই তাহলে ভেজায়নাল ক্যান্ডিডিয়াসিস রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে এই ঔষধ। এছাড়াও ক্রিনিয়া পেটিস থেকে শুরু করে ক্রিনিয়া কুরিস নামক বিভিন্ন জটিল রোগের বিরুদ্ধে এই ওষুধটি কাজ করতে পারে। তাই আপনার যেকোনো ধরনের সমস্যা হলে সবার প্রথমে একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে যাবেন এবং তার পরামর্শ অনুযায়ী অবশ্যই ওষুধ সেবন করবেন যাতে করে কোন ধরনের ভুল সিদ্ধান্ত না গ্রহণ করা হয়।
ফ্লূগার্ল ৫০ খাওয়ার নিয়ম
সাধারণত প্রাথমিক অবস্থাতে একজন রোগীকে দৈনিক ৫০ মিলিগ্রাম ঔষধ খাওয়ার অনুমতি দেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে তবে কিছু কিছু রোগের ক্ষেত্রে দেখা যায় যে জটিল আকার ধারণ করলে সেটা সর্বোচ্চ দিনে ১৫০ মিলিগ্রাম দেওয়া যাবে। মূলত এখানে বিভিন্ন মাত্রায় বা বিভক্ত মাত্রায় ঔষধ দেওয়া হয় তাই অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সঠিক মাত্রা আপনাকে নির্ধারণ করে নিতে হবে। কিছু কিছু রোগের ক্ষেত্রে এটা আরো গুরুতর আকার ধারণ করে যেমন সিস্টেমেটিক ক্যান্ডিয়াসিস এবং এই ধরনের জটিল রোগের ক্ষেত্রে দেখা গেছে যে প্রথমে ৪০০ মিলিগ্রাম এবং পরে ২০০ মিলিগ্রাম দৈনিক প্রয়োজনে মাত্রা বাড়িয়ে দৈনিক ৪০০ মিলিগ্রাম পর্যন্ত দেওয়া হয়।
মূলত আমরা এখানে যে মাত্রাগুলোর কথা বলছি সে মাত্রাগুলো ডাক্তার সব থেকে ভালো নির্ধারণ করতে পারে এবং শিশুদের ক্ষেত্রে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে জানো ৫ থেকে 13 বছরের বয়সের শিশুদের জন্য এটা ব্যবহার করা হয় এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী এটা ব্যবহার করা হয়। কোনভাবে ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া এই ঔষধ ব্যবহার করা ঠিক হবে না এটা অবশ্যই ক্ষতিকারক হতে পারে ।
ফ্লূগার্ল ৫০ দাম ও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
আমরা সকলে অবগত আছি বিভিন্ন ধরনের ঔষধের বিভিন্ন ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে তবে এখানে একটি বিষয় লক্ষ্যনীয় আপনি যদি সঠিক মাত্রায় ওষুধ সেবন করেন তাহলে খুব কম পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া শরীরে দেখতে পাবেন তবে অতিরিক্ত মাত্রায় ওষুধ সেবন করলে বেশি পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা যেতে পারে। যেমন মনে করুন পেটের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা থেকে শুরু করে শরীরের বিভিন্ন জায়গাতে বিভিন্ন ধরনের এলার্জি রিএকশন আপনি দেখতে পারেন এই ওষুধের অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে।