আপনারা যারা সূর্যগ্রহণ সম্পর্কে গর্ভবতী মায়ের কি করা উচিত এবং কি করা উচিত নয় এ বিষয়ে ইসলাম কি বলে সে সম্পর্কে জানতে চান তাদেরকে বলব আপনাদের সবাইকে স্বাগতম আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে। আমরা প্রতিনিয়ত শুধুমাত্র আপনাদের সুবিধার্থে আমাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে নিয়ে আসেন নতুন নতুন আর্টিকেল।
আশা করি আমাদের আর্টিকেল গুলো পড়ে আপনারা অনেকটাই উপকৃত হতে পারেন। এছাড়াও আপনারা যারা প্রতিনিয়ত আমাদের আর্টিকেল গুলো পড়েন এবং কমেন্টের মাধ্যমে বিভিন্ন রকমের প্রশ্নের উত্তর জানতে চান আমরা তাদের জন্য চেষ্টা করি সেই প্রশ্নের উত্তর গুলো এক একটি আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাদের কাছে পৌঁছানোর জন্য।
ঠিক সেরকমই আজকেও আপনারা জানতে চেয়েছেন সূর্যগ্রহণের সময় গর্ভবতী মায়েদের ক্ষেত্রে ইসলাম কি বলে সে সম্পর্কে। তাইতো আমরা আজকে চলে আসলাম আপনাদের সাথে আলোচনা করতে সূর্যগ্রহণ সম্পর্কে গর্ভবতী মায়েদের কিছু তথ্য নিয়ে ইসলামের পরিপ্রেক্ষিতে আপনাদের সাথে আলোচনা করতে। তো চলুন মূল আলোচনায় যাওয়া যাক।
সূর্যগ্রহণে গর্ভবতী মায়েরা কিছু খেতে পারবে কিনা এর ইসলামী বিধান কি রয়েছে
আমাদের সমাজে সূর্যগ্রহণ এবং গর্ভবতী মায়েদের সম্পর্কে এ সময়ে বিভিন্ন ধরনের কুসংস্কার রয়েছে যেগুলো মেনে চলা ইসলাম একেবারেই সমর্থন করে না। আমাদের ভিতরে প্রচলিত এমন অনেক কথা রয়েছে যেগুলো গর্ভবতী মায়েরা সন্তান গর্ভে থাকা অবস্থায় যদি সূর্যগ্রহণ বা চন্দ্রগ্রহণ হয় তাহলে তাহারা খাওয়া-দাওয়া করলে গর্ভবতী মহিলার গর্ভের সন্তান বিকলাঙ্গ হয় বা বিভিন্ন সমস্যা হয়ে জন্মাতে পারে।
এরকম বিভিন্ন ধরনের কু-প্রথাগুলো আমাদের সমাজে এখনো প্রচলিত রয়েছে তবে এগুলো সবই কুসংস্কার এগুলো মেনে চলা একেবারেই ঠিক নয়। এগুলো সাধারণত হিন্দু সমাজের লোকেরা মেনে থাকে তবে আমাদের মুসলিমেরা এসব কিছু মেনে চলেনা এবং এসব কিছু মেনে চলা যাবেও না। কারণ এসব কুসংস্কার গুলো আমাদের ইসলাম যেহেতু সমর্থন করে না সেহেতু এগুলো থেকে দূরে থাকাই আমাদের কর্তব্য।
সূর্যগ্রহণে গর্ভবতীরা কিছু খেতে পারবে ইসলামী বিধান
সূর্যগ্রহণ অথবা চন্দ্রগ্রহণ এর বিষয়ে মানুষ যুগে যুগে অন্ধবিশ্বাস করে আসছে। তবে এখন কিছু কিছু সমাজের লোকেরা রয়েছে যারা আগের তুলনায় অনেকটা সচেতন হয়েছে ঠিক সেই জন্যই তারা এখনই সূর্যগ্রহণ এবং গর্ভবতী মায়েদের প্রতি যে প্রভাব পড়বে এগুলো একেবারে মেনে চলেন না।
কিন্তু কিছু কিছু সমাজের লোকেরা রয়েছে যারা বহুকাল থেকে এগুলো মেনে আসছে এবং এখনো এগুলো মেনে চলে তাদের অবশ্যই জেনে রাখা দরকার যে এ বিষয়ে ইসলাম কি বলে এবং ইসলামের বিধান কি রয়েছে। তাদের জন্যই মূলত আমাদের আর্টিকেলেরে অংশটুকু।
চন্দ্রগ্রহণ বা সূর্যগ্রহণ এর বিষয়ে মানুষ যা বিশ্বাস করে আসছে সেগুলো একেবারেই ভুল। চন্দ্রগ্রহণ বা সূর্যগ্রহণ সম্পর্কে ইসলামের বিধানে এমন কিছু নির্ধারিত করে বলা নেই। আসলে এটি একটি প্রচলিত কথা, যা কুসংস্কার হিসেবে গণ্য করা হয়ে থাকে। আর একুশংস্কার নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আমলেও ছিল।
নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ছেলে যখন মারা গেল তখন লোকজন বলাবলি করছিল যে এই চন্দ্রগ্রহণের কারণে তার ছেলে মারা গিয়েছে তখন নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম বলেছেন যে কারোর জন্ম বা মৃত্যুর সাথে চন্দ্রগ্রহণ বা সূর্যগ্রহণের কোন সম্পর্ক নেই বা থাকতে পারেনা। চন্দ্রগ্রহণ বা সূর্যগ্রহণ এটা আল্লাহর নিদর্শন মাত্র। আল্লাহ যেমন অনেকগুলো নিদর্শন রয়েছে ঠিক তেমনও চন্দ্রগ্রহণ বা সূর্যগ্রহণ ও একটি আল্লাহর নিদর্শন।
যুগের পর যুগ মানুষজন যে চন্দ্র ও সূর্যের পূজা করে আসছে যার কারণে আল্লাহ তাআলা এই চন্দ্রগ্রহণ এবং সূর্যগ্রহণ করিয়ে দেখিয়ে দেয় যে চন্দ্র বা সূর্যের কোন ক্ষমতা নেই। যা ক্ষমতা রয়েছে সব আমার আল্লাহর আমি এদের পরিচালনা করে থাকি। এ বিষয়ে কোরআনেও উল্লেখ করা আছে। তাই একজন গর্ভবতী মা এবং একজন মুসলিমের উচিত এই চন্দ্রগ্রহণ এবং সূর্য গ্রহণের সময় বেশি বেশি নামাজ আদায় করা বেশি করে ইবাদত করা। এছাড়াও এ সময়ে যত সম্ভব পারা যায় তত সম্ভব দান সদকা করা এবং আল্লাহর জিকির করা। এছাড়া একজন গর্ভবতী মায়ের সূর্যগ্রহণের সময় কিছু করণীয় থাকে না।