গর্ভবতী কার্ড করতে কি কি লাগে

আপনারা যারা গর্ভবতী কার্ড করতে কি কি লাগে এবং গর্ভবতী  কার্ড সম্পর্কে যাবতীয় সকল তথ্যগুলো জানতে চান তাদের জন্যই আমরা আজকে নিয়ে এসেছি আমাদের আজকের আর্টিকেল। অর্থের অভাবে শিশুর মানসিক ও শারীরিক বিকাশ যাতে ব্যাঘাত না হয় সেজন্য বাংলাদেশ সরকার গর্ভবতী মায়ের জন্য সরকারি ভাতা দেওয়ার প্রচলন চালু করেছেন।

বাংলাদেশের সরকার প্রতি মাসে ৮০০ টাকা হারে প্রতি ছয় মাস পরপর চারবার বা 24 মাস গর্ভবতী ভাতা প্রদান করে থাকেন। আপনি যদি গর্ভবতী ভাতা পাওয়ার যোগ্য থাকেন তাহলে আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য।

গর্ভবতী কার্ড করতে যেসব কাগজপত্রের প্রয়োজন পড়ে সেগুলো সম্পর্কে আমরা আজকে আমাদের আর্টিকেলে আলোচনা করব আপনারা যারা জানতে আগ্রহী রয়েছেন তারা আমাদের সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন আশা করি আমাদের আর্টিকেল থেকে আপনারা অনেক উপকৃত হবেন।

গর্ভবতী কার্ড করতে যেসব যোগ্যতার প্রয়োজন

গর্ভবতী কার্ড বা দরিদ্র মায়ের জন্য মাতৃত্বকালের ভাতা প্রদান কর্মসূচি বাস্তবায়ন নীতিমালা ২০১৫ অনুযায়ী বাস্তবায়ন হয়ে থাকে। সেই অনুযায়ী আপনি ভাতা পাওয়ার যোগ্যতা অর্জনের জন্য নিচের দেওয়া ফরমটি পূরণ করতে পারেন। আমরা এখন গর্ভবতী মায়েদের কার্ড করার জন্য যেসব যোগ্যতার প্রয়োজন পড়ে সে যোগ্যতার গুলো সম্পর্কে আপনাদেরকে জানিয়ে দিব।

প্রথমবার দ্বিতীয় গর্ভধারণকাল যেকোনো একবার আপনারা এই কার্ড করে নিতে পারবেন। একজন গর্ভবতী মায়ের জন্য এই কার্ড একবারই করা হয়ে থাকে সেটা ওই মায়ের প্রথম সন্তান হোক বা দ্বিতীয় সন্তান হোক যেকোনো একটি সন্তানের ক্ষেত্রে সে এ কাঠ গ্রহণ করতে পারবে।

যে গর্ভবতী মায়ের জন্য এই কার্ড করা হবে সেই মায়ের বয়স কমপক্ষে ২০ বছর বা তার বেশি হতে হবে। যদি একজন গর্ভবতী মায়ের বয়স ২০ বছরের কম হয় তাহলে সে গর্ভবতী মায়ের জন্য এই কার্ড প্রযোজ্য হবে না।

মোট মাসিক আয় 2000 টাকার নিচে হতে হবে। দরিদ্র প্রতিবন্ধী মা এই কার্ডের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার বেশি পাবেন। এছাড়াও নিজের বা পরিবারের কোন কৃষি জমি বা মৎসল চাষের জন্য যাদের পুকুর নেই সেসব মায়েরা এ কার্ড পাওয়ার উপযুক্ত।

প্রথম ও দ্বিতীয় গর্ভের সন্তান গর্ভাবস্থায় বা জন্মের দুই বছরের মধ্যে মারা গেলে তৃতীয় গর্ভধারণকালে সে গর্ভবতী মা কে এই ভাতা প্রদান করা হবে। একজন ভাতা ভোগে মা জীবনে একবার দুই বছর সময়কালের জন্য মাতৃত্বকালীন ভাতা পাবেন এর বেশি পাবেন না।

গর্ভবতী কার্ড করতে কি কি লাগে

আমরা আমাদের আর্টিকেলের মূল আলোচনায় চলে এসেছি। এখানে আমরা আলোচনা করব গর্ভবতী মায়ের কার্ড করতে কি কি লাগে সে সম্পর্কে সকল তথ্য।

ভাতা ভোগীর বয়স 20 থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে হতে হবে। ২০ বছরের নিচে কোন গর্ভবতী মায়ের জন্য এই কার্ড প্রযোজ্য নয় এছাড়াও যেসব মায়েদের ৩৫ বছরের বেশি বয়স হয়ে গিয়েছে তাদের জন্য এ ভাতা প্রদান করা হবে না।

প্রথমবার দ্বিতীয় গর্ভাবস্থায় হতে হবে। ভাতা ভোগী কে চার থেকে ছয় মাসের গর্ভবতী থাকতে হবে। এপ্লিকেশন পত্রের সহিত ছবি তিন কপি জমা দিতে হবে এছাড়া নাগরিকদের সনদ ও ন্যাশনাল পরিচয় পত্রের সত্যায়িত ফটোকপি সংযুক্ত করতে হবে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা করতে গর্ভবতী প্রস্তুতি প্রত্যয়ন পত্র কবে জমা দিতে হবে।

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

গর্ভবতী মায়েদের কার্ড করার জন্য বিশেষ কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের প্রয়োজন পড়ে সেগুলো সম্পর্কে অবশ্যই আমাদের জেনে নেওয়া উচিত। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা কর্তৃক প্রদত্ত গর্ভধারণের সনদপত্রের প্রয়োজন হবে।

এছাড়াও ইউনিয়ন সহকারে ভূমিক কর্মকর্তা কর্তৃক দুই কপি জন্ম নিবন্ধন সনদ নাগরিক সনদপত্র এবং পাসপোর্ট সাইজের ছবির প্রয়োজন পড়বে। দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি জমা দিতে হবে।

আশা করি আপনারা জেনে নিতে পেরেছেন গর্ভবতী কাজ করতে কি কি লাগে সে সম্পর্কে।