Ketifen এর কাজ কি

সাধারণত কিটোটিফেন্ট ফিউমারেট এই উপাদানের সমন্বয়ে তৈরি করা হয়েছে Ketifen 1mg ট্যাবলেট। এটা একমি ল্যাবরেটরীজ লিমিটেডের একটি পণ্য। আজকে আমরা এই ট্যাবলেট সম্পর্কে জানার চেষ্টা করব। সাধারণত একজন রোগী যখন কোন সমস্যা নিয়ে ডাক্তারের কাছে যায় ডাক্তার কোন কোন উপসর্গ তার শরীরে পেলে মূলত এই ট্যাবলেট খাবার পরামর্শ দেবেন সে সম্পর্কে জানার প্রয়োজন রয়েছে। আমরা চেষ্টা করব সেই ট্যাবলেটের এ বিষয়গুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরতে পাশাপাশি আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আছে।

অতিরিক্ত মাত্রায় এই ট্যাবলেট খাওয়ার ফলে কোন ধরনের ক্ষতি আপনার হতে পারে এর পাশাপাশি আরও কি সমস্যা হতে পারে সে সম্পর্কে জানার চেষ্টা করব। তাহলে চলুন কথা না বাড়িয়ে মূল আলোচনার দিকে যাওয়া যাক যেখান থেকে আপনি এই ট্যাবলেটের কার্যকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পাবেন।

Ketifen 1mg কি কাজ করে

হাঁপানি অত্যন্ত জটিল একটি সমস্যা এবং এই হাঁপানির কারণে অনেক মানুষ অনেক কষ্ট করেন। এটা এমন একটি রোগ যেটা সহজে ভালো হবে না এবং আপনাকে সারা জীবন কষ্ট দিতে থাকবে তাই অবশ্যই এই রোগের চিকিৎসার জন্য আপনাকে ভালো ডাক্তারের কাছে যেতে হবে। অবশ্যই ডাক্তার সাহেব আপনার যদি সঠিক রোগ নির্ণয় করতে পারে তাহলে হাঁপানি প্রতিরোধমূলক চিকিৎসায় অন্যান্য ঔষধের সঙ্গে Ketifen 1mg অবশ্যই আপনাকে খাওয়ার পরামর্শ দেবেন।

এছাড়াও আরো গুরুতরক কিছু চিকিৎসার জন্য যেমন এলার্জিক অবস্থা রাইনাইটিস লক্ষণসমূহ চিকিৎসায় এই ঔষধ ব্যবহার করা হয়। অনেকের ক্ষেত্রে নিউরো পাইরোমা , জনিত চুলকানি এবং ব্যথা ও স্পর্শ অসহিষ্ণুতা ইত্যাদি উপসর্গ উপশমে এই ঔষধ ব্যবহার করা হয়। রোগীর শরীরে যদি এই ধরনের উপসর্গ দেখা যায় তাহলে অবশ্যই ডাক্তার অন্যান্য ওষুধের সঙ্গে Ketifen 1mg ঔষধ খাওয়ার অনুমতি দেবেন কারণ এটা অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা পালন করে এই ধরনের সমস্যা সমাধানের জন্য।

এই ওষুধে রয়েছে anti অ্যালার্জির গুণাবলী তাই বিভিন্ন এলার্জি প্রতিরোধ হেতা ব্যবহার করা হয় এছাড়াও হাঁপানের সমস্যা সমাধানও এটা অত্যন্ত ভূমিকা পালন করে । এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের এলার্জি যেমন হেফিভার আর্টিকেরিয়া ইত্যাদি ধরনের এলার্জির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য এই ওষুধটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আশা করছি এই ওষুধের কার্যকরতা সম্পর্কে আপনারা ভালো একটি ধারণা পেলেন আমাদের এই ছোট্ট অংশ থেকে।

Ketifen 1mg খাওয়ার নিয়ম ও মাত্রা

যারা পূর্ণবয়স্ক আছেন তাদের ক্ষেত্রে ১ মিলিগ্রাম করে দিনে দুইবার খাবারের সাথে খাওয়ার নিয়ম রয়েছে। বিশেষ ক্ষেত্রে ২ মিলিগ্রাম করে দিনে দুইবার অর্থ সর্বোচ্চ চার মিলিগ্রাম খাওয়া যাবে তবে এখানে এটা আপনি নিজে থেকে কোন ভাবে করতে যাবেন না আপনাকে একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে। বার্ধক্যে অর্থাৎ পূর্ণবয়স্কদের অনুরূপমাত্রা অথবা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ ব্যবহারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে তার কারণ হচ্ছে এই ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে যদি এটার প্রয়োজন না হয় তাহলে কোনভাবে ওষুধ খাওয়ার দরকার নেই।

বাচ্চাদের ক্ষেত্রে অবশ্যই এই ঔষধ ব্যবহার করা যাবে তবে ডাক্তারের পরামর্শ নিলে সবথেকে ভালো হয়। তিন বছরের অধিক বয়স্ক শিশুদের ক্ষেত্রে এক মিলিগ্রাম করে দিনে দুইবার আহাদের সাথে খাওয়ানো যাবে। যদি এই অবস্থাতে শিশুর প্রচুর ঘুম পায় তাহলে সেটা কমিয়ে এনে রাতের বেলা খাবারের সাথে শূন্য দশমিক ৫ থেকে ১ মিলিগ্রাম অথবা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ খাওয়াতে হবে।

Ketifen 1mg দাম ও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

কথাটার অর্থ চিকিৎসার প্রথম কয়েকদিন কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে যেমন মুখে শুষ্কতা, সামান্য মাথা ঘোরা ভাব ইত্যাদি তবে এগুলো আস্তে আস্তে হারিয়ে যাবে অর্থাৎ নিয়মিত ওষুধের ব্যবহারের ফলে এই পার্শ্বপ্রদেখকে আপনি আর বুঝতে পারবেন না। বর্তমানে এই ট্যাবলেটের দাম 2.50 টাকা। যে ঔষধি সেবন করুন না কেন ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করুন তার কারণ হচ্ছে এটা কোন ছেলে খেলা নয়।