প্রিগাবালিন এর কাজ কি Pregabalin

আপনাদের সকল স্বাগতম জানাচ্ছি আমাদের আজকের এই অনুচ্ছেদে যেখান থেকে আপনারা একটি গুরুত্বপূর্ণ ঔষধের খুঁটিনাটি সকল তথ্য জানতে পারবেন। আমরা কেন আপনাদের এই আর্টিকেলগুলো পড়তে অনুরোধ জানায় তার কারণ হচ্ছে আপনারা যতটা সহজ ভাবে একটি ওষুধ সম্পর্কে জানতে পারবেন আমাদের ওয়েবসাইট থেকে অন্য কোথাও থেকে ততটা সহজ ভাষায় জানতে পারবেন না। চলুন জানার চেষ্টা করে আজকের মূল আলোচনার ঔষধ যেখানে প্রেগাবালিন নামক উপাদান ব্যবহার করে ওষুধ তৈরি করা হয়েছে।

প্রেগাবালিন এমন একটি উপাদান যে উপাদানটি সাধারণত ইনহিবিটরি নিউরোট্রান্সমিটার যা গামা এমিনোবিউটরিক এসিডের একটি গাঠনিক ডেরিভেটিক। সাধারণত এটি খিচুড়ি বিরোধী প্রভাবের জন্য দায়ী বলে প্রাণীদের ওপর পরীক্ষা জানা গেছে। আজকে আমরা এই ঔষধ সম্পর্কে জানার চেষ্টা করব এবং আপনারা এই ওষুধের ২৫ মিলিগ্রাম এবং ৭৫ মিলিগ্রাম এর ক্যাপসুল পাবেন বাজারে বিভিন্ন কোম্পানির মোড়কে। চলুন আমরা জানার চেষ্টা করি এই ওষুধের সঠিক কার্যকারিতা সম্পর্কে।

প্রিগাবালিন ক্যাপসুল এর সঠিক কার্যকারিতা

আজকে আমরা এই ওষুধের বেশ কয়েকটি কার্যকারিতা সম্পর্কে আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করব আশা করছি ধৈর্য সহকারে আপনারা আমাদের সঙ্গে থাকবেন। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় ডায়াবেটিক বেরিফেরাল নিউরোপ্যাথিক dna এর সাথে সংশ্লিষ্ট নিউরোপ্যাথিক ব্যাথা নির্মূলের জন্য মূলত এই ঔষধ ব্যবহার করা হয়। এর পাশাপাশি স্পাইনাল কর্ডের আঘাতের সাথে সংশ্লিষ্ট নিউরোপ্যাথিক ব্যথার কারণে। যদি কেউ স্পাইনাল করে আঘাতপ্রাপ্ত হন তাহলে অবশ্যই সেই জায়গাতে ব্যথার সৃষ্টি হবে এবং সেই ব্যথা নিরাময়ের জন্য এই ঔষধ ব্যবহার করা হয়।

এর পাশাপাশি দেখা গেছে যে একমাস ও এর বেশি বয়সীদের ক্ষেত্রে পার্শিয়াল আনসেট সিজারের সহায়ক চিকিৎসা হিসাবে ব্যবহার করা হয় এই ঔষধ। যেহেতু জটিল রোগের বিনিময়ে এই ঔষধ ব্যবহার করা হয় তাই সবসময় ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী এই ঔষধ খাবার চেষ্টা করুন তা না হলে হিতের বিপরীত হতে পারে। এছাড়াও এই ঔষধ এর আরো একটি ফ্রম যেরকম প্রিগাবালিন সিআর সেগুলোর ব্যবহার রয়েছে আলাদা আলাদা।

প্রিগাবালিন ওষুধ খাওয়ার সঠিক মাত্রা

যারা প্রাপ্তবয়স্ক আছে তাদের ক্ষেত্রে ক্রিয়েটিনাইন ক্লিয়ারেন্স ৬০মিলি প্রতি মিনিটের চেয়ে বেশি তাদের জন্য এই ওষুধটি সর্বোচ্চ নির্দেশিত ১০০ মিলিগ্রাম করে দিনে ৩বার। যদিও ওষুধটি শুরু করার সময় ৫০ মিলিগ্রাম করে ৩বার খাবার কথা আছে আস্তে আস্তে এটা বৃদ্ধি করা যেতে পারে। এরপরে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে উপস্থিত ডাক্তার তার কারণ হচ্ছে ওষুধটি রোগী যখন খাবে তারপরে রোগীর সুস্থ নির্ভর করে এই ওষুধের পরিমাপ বৃদ্ধি করা যেতে পারে।

এছাড়াও যে সকল রোগীদের ক্রিয়েটিনাইন ক্লিয়ারেন্স ৭ মিলি প্রতি মিনিটের চেয়ে বেশি তাদের জন্য এই ওষুধটি নির্দেশিত মাত্র হচ্ছে ৭৫ মিলিগ্রাম থেকে ১৫০ মিলিগ্রাম করে দিনে ২বার অথবা ৫০ মিলিগ্রাম থেকে ১০০ মিলিগ্রাম করে দিনে ৩বার। ওষুধটি যখন খাওয়া শুরু করা হবে তখন প্রজেক্টর মিলিগ্রাম করে তিনি ২বার অথবা ৫০ মিলিগ্রাম করে দিনে ৩বার দিয়ে আস্তে আস্তে ওষুধটি শুরু করতে হবে। পরবর্তীতে রোগীর সুস্থতার উপর নির্ভর করে যদি এই ঔষধ পরিবর্তন করতে হয় তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন।

সরাসরি মুখে এই ঔষধ খেতে হয় এই ওষুধ খাওয়ার জন্য আপনাকে ডা খাবারের আগে পরে যে কোন একটি সময় দেওয়া হবে খাওয়ার জন্য। সাধারণত এই ঔষধ এর আরেকটি ফার্ম আছে সেটা রাতে খাবারের পরে সেবন করতে হয় এবং এই ঔষধ চূর্ণ-বিচূর্ণ করে খাওয়া যাবে না সরাসরি পানি দিয়ে গিলে খেতে হবে তাই সাবধানতা অবলম্বন করুন। পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার কথা যদি বলি তাহলে অবশ্যই এর ভালো কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে তার মধ্যে প্রথম হলো মাথা ঘোরা। এছাড়াও শুষ্ক মুখোপাধ্যায় এবং হাত-পা ফুলে যাওয়া ঝাপসা দেখাও এই ঔষধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার মধ্যে কয়েকটি।