মানুষ মরণশীল এটা আমরা সকলেই জানি। আমরা যতই বড় বড় আবিষ্কার করি না কেন আমরা যতই পৃথিবীর বাইরে মহাকাশে রাজত্ব অর্জন করি না কেন এখন পর্যন্ত অমরত্ব হাসিল করতে পারে এমন কোন মানুষ নেই। আল্লাহ তাআলা প্রত্যেকটি জীবনকে এমন ভাবে তৈরি করেছেন যে প্রত্যেকটি জীবনকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে এবং সেই মৃত্যুর একটি বড় উছিলা হচ্ছে অসুস্থতা। তাই অসুস্থ হলে অতিরিক্ত ভয় পাওয়ার কিছু নেই অবশ্যই আল্লাহ তায়ালার কাছে প্রার্থনা করতে হবে সুস্থতার জন্য তার কারণ হচ্ছে তিনি যদি আপনাকে সুস্থ না করেন তাহলে আপনি কোনভাবেই সুস্থতা অর্জন করতে পারবেন না।
বিভিন্ন সময় অসুস্থতার কারণে আমাদের বিভিন্ন ঔষধ খেতে হয় ঠিক যেমন আজকের এই ওষুধটি আমি নিজেও খেয়েছি বিভিন্ন সমস্যার কারণে। Relentus 2mg ট্যাবলেট হচ্ছে অত্যন্ত ভালো মানের একটি ট্যাবলেট যেটা বেক্সিমকো ফার্মাসিটিক্যাল লিমিটেড তৈরি করে। যেখানে টিজানিডিল ২ মিলিগ্রাম ব্যবহার করা হয়েছে। সাধারণত এই ওষুধ এর কি কার্যকারিতা রয়েছে সে সম্পর্কে আজকে আমরা জানবো এর পাশাপাশি জানার চেষ্টা করব এই ঔষধ সেবন পরিমাপ সম্পর্কে।
Relentus 2mg ট্যাবলেট সাধারণত কি কাজ করে
বিভিন্ন সময় রোগীদের খেতে দেখা যায় যে মাংসপেশির বেদনাদায়ক স্প্যাম চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয় এই ঔষধ। আমরা যদি সহজ ভাষায় বলতে চাই তাহলে মেরুদন্ডের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা যেমন নাম্বার নাম্বার সিনড্রোম সারভাইকাল সিনড্রোম এই ধরনের সমস্যার কারণে এই ওষুধটি ব্যবহার করা যেতে পারে। কাশেরুকার অন্তরবর্তী ডিস্ক এর হার্নিয়া বা কোমরের অস্থিসন্ধির বাতের কারণে অশোপাচারের পর ব্যবহার করা হয়। আমরা হয়তো বুঝতে পেরেছি যে আমাদের মেরুদন্ডের আশেপাশে যে ব্যাথাজ্বলিত সমস্যা হয় বা সিরাজনিত সমস্যা হয় তাহলে এই ঔষধ সেখানে প্রয়োগ উপযোগী।
এছাড়াও চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় বলতে গেলে মাল্টিপল স্ক্লেক্লেরোসিস ,ক্রনিক মাইলোপ্যাথিক, ডিজেনারেটিভ স্নায়বিক সমস্যা ইত্যাদির কারণে এই ওষুধটি ব্যবহার করা হয়। আপনি যেই অসুখের বিরুদ্ধে এই ওষুধটি খান না কেন অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া আপনি খাবেন না তার কারণ হলো এই ঔষধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে যেটা আপনাকে যেকোনো সময় সমস্যায় ফেলতে পারে।
Relentus 2mg ট্যাবলেট এর সঠিক খাওয়ার নিয়ম
স্বাভাবিক বা মাত্রায় মাংসপেশীর যতই কোন সমস্যা থেকে থাকে তাহলে স্বাভাবিক ডোজ হচ্ছে দৈনিক তিনবার দুই থেকে চার মিলিগ্রাম ট্যাবলেট খাওয়া। যদি আপনার অবস্থা অতিরিক্ত গুরুতর হয় তাহলে ২ মিলিগ্রাম অথবা চার মিলিগ্রামের একটি অতিরিক্ত ডোজ আপনি খেতে পারবেন। তবে অবশ্যই প্রত্যেকটি ডোজ বিভক্ত মাত্রায় আপনাকে খেতে হবে তা না হলে এখানে সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে।
এছাড়াও শিশি রোগীদের ক্ষেত্রে ১৮ বছরের কম বয়সের রোগীদের ক্ষেত্রে ব্যবহারের অভিজ্ঞতা সীমিত তাই এই অবস্থাতে এই জিনিস ব্যবহারের কোন অনুমতি নেই বলে আমি মনে করি। যাদের বয়স কেবলমাত্র ১৮ বছরের ওপরে তারাই এই ওষুধটি ব্যবহার করতে পারবেন বলে আমি মনে করি। এছাড়াও যকৃতের বৈকল্য রোগীদের ক্ষেত্রে এই ওষুধটি ওপরের মাথায় ব্যবহার করা যেতে পারে তবে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী, সে মাত্র পরিবর্তন বা বৃদ্ধি করা যায়।
যাদের স্নায়বিক সমস্যা জনিত মাংসপেশীর অনৈচ্ছিক আক্ষেপ রয়েছে তাদের জন্য সাধারণত দৈনিক প্রয়োগ মাত্রা হচ্ছে তিনটি করে পৃথক ডোজ যেখানে ৬ মিলিগ্রাম সর্বোচ্চ হবে। সহজ ভাষায় বলতে গেলে দুই মিলিগ্রাম করে দিনে তিনটি ট্যাবলেট খেতে হবে। এইভাবেই ধারাবাহিকভাবে আপনি ওষুধটি খেতে পারেন যদি আপনার ওষুধ খেয়ে উন্নতি হয় তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধটি বাড়ানো অথবা কমানো যেতে পারে।
গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদান কালে এই ওষুধটি খাওয়ানোর পক্ষে অবশ্যই যথেষ্ট জ্ঞান অর্জন করতে হবে। গবেষণা করে দেখা গেছে যে গর্ভবতী মায়েদের ট্রিটানিডিন ব্যবহারের পর্যাপ্ত তথ্য পাওয়া যায়নি তাই গর্ভাবস্থার ইহা ব্যবহারে যদি নিঃসন্দেহে ঝুঁকির চেয়ে উপকার বেশি না হয় তবে ইহা ব্যবহার করা উচিত নয়।