ফেক্সো ১২০ কি কাজ করে fexo 120 mg

ফেক্সোফেনাডিন হাইড্রোক্লোরাইড নামের ঔষধ গুলো মূলত কি কাজ করে এবং এই ওষুধগুলো সেবন করার পরে রোগীর শরীরে কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা যায় কিনা সে সম্পর্কে আজকের আর্টিকেল। অদূর ভবিষ্যতে কখনো দেখা যাবে যে মানুষ অসুখ হলে ওষুধ খেলে সেটা সুস্থ হতে পারছে না শুধুমাত্র অতিরিক্ত ওষুধ খাওয়ার কারণে। আপনি যদি একটু খোঁজাখুঁজি করেন তাহলে আপনার আশেপাশে সুস্থ মানুষ পাবেন অবশ্যই এবং সেই সুস্থ মানুষের বৈশিষ্ট্য যদি আপনি একটু ভালোভাবে লক্ষ্য করেন সে তার পুরো জীবনে ঔষধ খাওয়ার প্রবণতা অনেক কমিয়ে রেখেছিল।

আমাদের মধ্যে অনেকে রয়েছেন যারা একটু জ্বর জ্বর ভাব হলে টুক করে একটি নাপা খেয়ে ফেলেন জ্বর থেকে বাঁচার জন্য। সত্যি কথা বলতে এটা যে কতটা খারাপ অভ্যাস সেটা আপনি কল্পনাও করতে পারবেন না। সকলের মধ্যে একটি ধারণা আছে যে ব্যথার ওষুধ বেশি খেলে কিডনিতে সমস্যা হয় কিন্তু এটা শুনে আপনি অবাক হবেন এই মুড়ির মতো নাপা ওষুধ খেলেও একদিন আপনার কিডনি ড্যামেজ হতে পারে। তাহলে কি দরকার অযথা ওষুধ খাওয়া যদি আপনার জ্বর আসে তাহলে অবশ্যই জ্বর মাপুন তারপরে আপনার শরীরের ওজনের ওপর নির্ভর করে একটা ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী নাপা ট্যাবলেট খান।

ফেক্সো ১২০ ট্যাবলেট এর সঠিক ব্যবহার নির্দেশনা

আজকে আমরা ফেক ও ১২০ ট্যাবলেট নিয়ে আলোচনা করব যেই ট্যাবলেটটি বাজারজাতকরণ করছে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড। বরাবরের মতো স্কয়ার ফার্মাসিটিক্যালস লিমিটেড একটি নির্দেশনা প্রকাশ করেছে যে নির্দেশনা অনুযায়ী ডাক্তারেরা বিভিন্ন ধরনের রোগীর ক্ষেত্রে এই ওষুধটি প্রয়োগ করতে পারবেন। তাহলে চলুন মূলত এই ওষুধ কি কাজ করে সেটা জানি।

এলার্জিক রাইনাইটিস এটা হচ্ছে চিকিৎসার ভাষার একটি অসুখের নাম তবে সহজ ভাষায় বলতে গেলে ১২ বছর বা তার বেশি প্রাপ্তবয়স্ক শিশুদের মধ্যে মৌসুমী ও এলার্জিক অন্যান্য রিএকশন যদি দেখা দেয় তাহলে এই ওষুধ প্রয়োগ উপযোগী। সেই ওষুধগুলোর মধ্যে রয়েছে হাঁচি, চুলকানি, চোখ লাল হয়ে যাওয়া, শরীরে ছোট ছোট বের হওয়া এগুলো। এছাড়াও ক্রনিক ভিডিওপ্যাথিক আটিক্যারিয়ার জন্য এই ফিক্সোফেনাডিন ১২০ ব্যবহার করা হয়। আশা করছি ফেক্সোফেনাডিন এর কার্যকারিতা সম্পর্কে আপনারা ভালো ধারণা পেলেন।

ফেক্সো ১২০ ট্যাবলেট সেবনের মাত্রা এবং পরিমাপ

স্কয়ার ফার্মাসিটিক্যালস লিমিটেড কোম্পানির এই ওষুধটি আপনার শরীরে অনেক উপকারী একটি ঔষধ হতে পারে। আপনারা যারা নিয়মিত এই ওষুধটি সেবন করবেন বলে ভাবছেন তারা আর দেরি না করে ঝটপট এই ওষুধটি সেবন করার পূর্বে জেনে নিন আমাদের এখানে দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। মূলত এই ওষুধ প্রাপ্তবয়স্ক এবং 12 বছরের বেশি রোগীদের জন্য ৬০ মিলিগ্রাম দৈনিক দুইবার করে অর্থাৎ ১২০ মিলিগ্রাম পর্যন্ত খাওয়া যেতে পারে। যদি কারো বৃক্কীয় কার্যকারিতা কমে যায় তাহলে ৬০ মিলিগ্রাম করে দৈনিক একবার খাওয়া যেতে পারে।

বয়স যত কমে আসবে ঔষধের পরিমাণও তত কমে আসবে মনে করুন ৬ থেকে ১১ বছর বয়সে শিশুদের জন্য প্রতিদিন ৩০ মিলিগ্রাম করে দৈনিক সর্বোচ্চ ৬০ মিলিগ্রাম খাওয়ানো যেতে পারে এখানেও বৃত্তীয় কার্যকারিতার জন্য প্রায় ৩০ মিলিগ্রাম করে দৈনিক খাওয়া যেতে পারে। এছাড়াও দুই থেকে ১১ বছর বয়সের শিশুদের জন্য সাসপেনশন রয়েছে অর্থাৎ যেটাকে আমরা বাংলাতে সিরাপ বলে । শিশুদের ক্ষেত্রে এটা অত্যন্ত কার্যকরী একটি ঔষধ যেখানে ৩০ মিলিগ্রাম অথবা পাঁচ মিলি লিটার এক চা চামচ দৈনিক দুইবার খাওয়ানো যেতে পারে একটি শিশুকে। শিশুর যদি বৃত্ত কার্যকামিতা কমে যায় তাহলে ৩০ মিলিগ্রাম অথবা 5 মিটার অথবা এক চা চামচ দৈনিক একবার খাওয়ানো যেতে পারে।

একটা কথা না বললেই নয় এখানে আমরা যতটুকু তথ্য দিতে চলেছি তার ওপর নির্ভর করে রোগের শারীরিক অবস্থা পরিবর্তন হতে পারে। তাই রোগীর শারীরিক অবস্থা পরিবর্তন সাপেক্ষে যে কোন সময় যে কোন ঔষধ খাওয়ার জন্য একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে গিয়ে মতামত নিলে সব থেকে ভালো হয় বলে আমরা মনে করি।