থিওভিট এর কাজ কি

কষি প্রধান দেশে বাংলাদেশের কৃষকদের যতটা মূল্যায়ন করা হয় না অন্যান্য দেশে কৃষকদের তারা এতটাই বেশি মূল্যায়ন করা হয়। আমরা আমাদের অতীতকে ভুলে যায় আমরা জানি না বা বুঝিনা আমাদের পূর্বপুরুষরা কি নিয়ে জীবন যাপন করতো। একজন ভালো মানুষ হিসেবে সব সময় কৃষকদের সম্মান করা উচিত বলে আমি মনে করি। তারা হচ্ছে মাটির মানুষ তারা কোন ধরনের ভেজাল পছন্দ করেনা তারা শুধুমাত্র নিজের কাজ মুখ বুজে করে যায় এবং নিজের পরিবারকে আগলে রাখতে শেখে।

এমন ধরনের পরিবার যাদের এখনও রয়েছে তাদের বলবো আমি অনেক ভাগ্যবান তার কারণ হচ্ছে এরকম পরিবেশ বর্তমানে গ্রাম বাংলাতে ছাড়া অন্য কোথাও খুঁজে পাওয়া যায় না। আজকে আমরা জানার চেষ্টা করব সত্যি যেটা আমরা সরাসরি আমাদের সবজিতে প্রয়োগ করি । আপনারা কি জানেন এই ওষুধটি দেশ ছাড়া ঔষধ কোম্পানি সিনজেনটা বাজারজাতকরণ করে? সিনজেনটা কোম্পানির প্রত্যেকটি ঔষধ অত্যন্ত ভালো মানের হয়ে থাকে তাই নিঃসন্দেহে এটা একটি ভালো ওষুধ তবে অনেকে জানে না এই ওষুধের প্রয়োজন এবং কেন এই ওষুধ ব্যবহার করা হয় ।

থিওভিড এর কার্যকারিতা কি এবং সঠিক প্রয়োগ মাত্রা

বিভিন্ন ধরনের ফসলে এই ওষুধটি ব্যবহার করা যায় বলতে গেলে প্রত্যেকটি ফসলেই এই ওষুধ ব্যবহার করা হয়। এখন আমরা আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করব এখানে কোন ফসলের ওপর কি পরিমান এই ওষুধটি প্রয়োগ করা যাবে। আমরা আপনাদের সহজ ভাবে বুঝিয়ে দেবো কোন ফসলের ওপর কি রোগের বিনিময়ে লড়াই করার জন্য কতটুকু এই ওষুধ প্রয়োগ করা যাবে তাহলে চলুন জানার চেষ্টা করি।

থিওভিড মূলত সালফার দ্বারা তৈরি একটি ঔষধ যেটা ধানের লিভ স্ক্যাল্ড নামক রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। আপনার যদি আবাদি ধান থাকে তাহলে অবশ্যই এই জিনিসটি হাতের কাছে রাখবেন এবং এটার প্রত্নতরা বলতে গেলে ২.৫ কেজি প্রতি হেক্টরে প্রয়োগ করতে হবে। আশা করছি আপনারা পরিষ্কার ভাবে বুঝতে পেরেছেন ধানে কি পরিমাণ এই ওষুধটি প্রয়োগ করতে হবে।

থিওভিট যদি লাউ এবং পটলের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয় তাহলে অবশ্যই থিউভেট ঔষধটি পাউডারি মিডডিউ সমস্যা বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করবে। এখানে প্রতি হেক্টরে আপনি ২.৫ কেজি ব্যবহার করতে পারবেন। আশা করছি সকল লাভ এবং পটল চাষকারী কৃষকরা আমার কথাটি বুঝতে পেরেছেন।

যারা নিজের আবাদি জমিতে শসা চাষ করেন অথবা কুমড়া চাষ করেন তাদের জন্য ঠিক একই হারে থিওভিট ঔষধ প্রয়োগ করার নিয়ম রয়েছে। এছাড়াও করোলা এবং লেবুর ক্ষেত্রেও একইভাবে আপনি প্রয়োগ করতে পারবেন। যাদের জমিতে ঝিঙ্গা এবং চিচিঙ্গা চাষ করা হয় এবং যারা তরমুজ চাষ করেন তাদের ক্ষেত্রেও একই রোগের বিরুদ্ধে একই পরিমান প্রয়োগ করতে হবে। আমরা উপরে যেই শস্য গুলোর কথা বললাম প্রত্যেকটি আমাদের পছন্দের খাবারের তালিকায় থাকে এবং এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে আমাদের বাজারে। এই প্রত্যেকটি ফসল এর পাউডারি মিলডিউ সমস্যার কারণে প্রতি হেক্টরে ২.৫ কেজি করে প্রয়োগ করা যেতে পারে।

যাদের টমেটো বাগান আছে এবং টমেটো চাষ করে যারা জীবিকা নির্বাহ করে তাদের টমেটোর আগা ঢলে পড়া এই রোগ প্রতিরোধের জন্য আপনারা থিওভিড ওষুধটি ব্যবহার করতে পারেন। সিনজেনটা কোম্পানির ঔষধটি আপনারা প্রতি হেক্টরে ২ দশক পাঁচ কেজি করে ব্যবহার করতে পারবেন।

এছাড়াও পাঠ এর ক্ষেত্রে হলুদ ও লালমাকরা অর্থাৎ পার্ট এর গাছ যখন বড় হয় তখন সেই গাছে যদি হলুদ ও লাল মাখরার আক্রমণ দেখা যায় তাহলে অবশ্যই ৩.৩ কেজি প্রতি হেক্টরে ব্যবহার করতে হবে।

বাংলাদেশের অর্থকরী ফসল হচ্ছে চা এবং সেই চায়ে যদি কোন ধরনের মার্কার আক্রমণ দেখা যায় তাহলে অবশ্যই চা পাতা নষ্ট হয়ে যাবে এবং চা বাগানে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যাবে। সকল চা বাগানেতে দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলছি আপনারা চা এ মাকড় এর আক্রমণ থেকে বাঁচার জন্য সিনজেনটা কোম্পানিতে থিওভিড ওষুধটি ২.৫ কেজি প্রতি হেক্টরে ব্যবহার করে দেখুন।