অনেকেই সাধারণত এই সমস্যায় পড়ে থাকেন কিন্তু বুঝতে পারেন না এই সমস্যা কেন হচ্ছে এবং এই সমস্যার সমাধান কি। আমি বলবো আপনি যদি সঠিক সময়ে এই জিনিসটা চিহ্নিত করতে পারি তাহলে অবশ্যই তার সমাধান করতে পারবেন খুব সহজেই। সাধারণত হার্টবিট কেন বেশি হয় সেটা জানার চেষ্টা করব আমরা এবং এই হার্টবিট বেশি হলে কি কি সমস্যা হতে পারে সে সম্পর্কেও জানার চেষ্টা করব। আপনারা যারা আমাদের সঙ্গে থাকবেন তারা অবশ্যই হার্টবিট বেড়ে যাওয়ার কারণ এবং হার্টবিট বেড়ে যাওয়ার ফলাফল কি হতে পারে সে সম্পর্কে জানতে পারবে।
হার্টবিট বিভিন্ন কারণে হতে পারে। হঠাৎ করেও আপনি যদি কোন চিন্তা বা কোন টেনশনে পড়ে যান অথবা কোন কাজ করেন যেটাতে খুব বেশি পরিশ্রম করা লাগছে তাহলে সে ক্ষেত্রে আপনার হার্টবিট বেড়ে যেতে পারে। মনে করুন আপনি বাড়ির রাস্তা দিয়ে হাঁটছেন হঠাৎ করে আপনাকে একটা পাগলা কুকুর তাড়া দিল স্বাভাবিকভাবে আপনি তখন দৌড় দিবেন। এ অবস্থাতে আপনার হার্টবিট এমনিতেই বেড়ে যেতে পারে। এগুলো হার্টবিট বাড়ার স্বাভাবিক কারণ তবে হার্টবিট বাড়ার যে অস্বাভাবিক কারণগুলো রয়েছে সেগুলো সম্পর্কে আমরা জানব।
হার্টবিট বাড়ার সবথেকে বড় কারণ হচ্ছে হৃদরোগ। এছাড়াও বয়স জনিত কারণে অনেকের ক্ষেত্রে এই সমস্যা দেখা দিতে পারে বা শ্বাসকষ্টের কারণেও অনেক সময় এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। অস্বাভাবিক চিন্তাভাবনা এবং ঘুমের পরিমাণ কমে যাওয়ার কারণে ও সাধারণত এই সমস্যা দেখা দিতে পারে এ ছাড়াও রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেশি হওয়ার কারণে ও সাধারণত এই পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে।
পালস রেট বেশি হলে করণীয়
হঠাৎ করে যদি কেউ বুঝতে পারেন তার নিজের পালস রেট কমে গেছে তাহলে অবশ্যই সেটা ভালো বিষয় নয় এবং হঠাৎ করে যদি সেটা বেড়েও যায় তাহলেও সেটা খুব ভালো বিষয় নয়। এই পালসেট বাড়ার পেছনে যদি উপযুক্ত কারণ না থাকে তাহলে সেটা বড় কোন অসুখের লক্ষণ তাই আপনাকে সবার প্রথমে এটার কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে। আপনি যদি দুশ্চিন্তা করেন বা কোন কারণে হঠাৎ যদি আপনার ভয় লাগে অথবা আপনি যদি কোন কারনে বেশি খাটাখাটনি করেন তাহলে আপনার হার্টবিট বাড়তে পারে। তবে এটা যদি নিয়মিত হতে থাকে এবং কোন ধরনের কারণ ছাড়াই হতে থাকে তাহলে সেটা বড় ধরনের সমস্যা বা বড় ধরনের অসুখের লক্ষণ যেটাকে আপনাকে খুঁজে বের করতে হবে প্রয়োজন পড়লে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
হার্টবিট কমানোর ঘরোয়া উপায়
সাধারণত সাধারণ নিয়মে যে হার্টবিট বৃদ্ধি পায় সেটা কমানোর জন্য আপনাকে কিছুই করতে হবে না আপনি বিশ্রামে গেলে সেটা স্বাভাবিক অবস্থায় চলে আসবে। তবে আপনি যদি বিশ্রামের না যান তাহলে সেটা আপনার ক্ষতি করতে পারে আর বড় কোন অসুখের জন্য এটা হলে অবশ্যই আপনাকে চিকিৎসা নিতে হবে। আমি এটা বোঝাতে চাচ্ছি যে এই সমস্যার কারণ খুঁজে বের করতে পারলেই এমনিতেই আপনি তার সমাধান করতে পারবেন এর জন্য আলাদাভাবে আপনাকে কোন টোটকা ব্যবহার করতে হবে না। এখানে আপনি চাইলে একজন হার্ট বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন এবং তিনি কি বলছেন সেই অনুযায়ী চলতে পারেন।
হার্টবিট কমানোর ঔষধ
হার্টবিট কমানোর ঔষধ সম্পর্কে এখন জানানোর চেষ্টা করব। আপনার এই সমস্যা কেন হচ্ছে সেটা কি আপনি জানেন অবশ্যই আপনাকে সেটা সবার প্রথমে জানতে হবে। আপনার হাইপ্রেশার আছে যার কারণে এই সমস্যা হচ্ছে তাহলে স্বাভাবিকভাবে আপনাকে যে কাজটি করতে হবে সেটা হচ্ছে আপনার হাই প্রেসার কে নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। এর জন্য যে ঔষধ খাওয়ার প্রয়োজন সেই ওষুধ আপনাকে খেতে হবে। যদি সঠিকভাবে ওষুধ সেবন করেন তাহলে পুরোপুরি সুস্থ হতে পারবেন।