শ্বেত রক্তকণিকা বেশি হলে কি হয়

আমাদের শরীর খুব সুন্দর একটি নিয়মের মধ্য দিয়ে চলে সেই নিয়মের যদি কোন ধরনের ব্যাঘাত ঘটে তাহলে অবশ্যই আমরা অসুস্থ হব। কিছু কিছু রোগ আছে যেটা অত্যন্ত সাংঘাতিক রোগ আবার কিছু কিছু রোগ আছে যেগুলো একেবারেই সাধারণ রোগ। তবে আপনাদের জানিয়ে রাখি আমাদের ক্ষেত্রে বেশিরভাগ সময় ঘটনাটি এমন ঘটে সাধারণ রোগে আক্রান্ত হওয়ার পরে সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসা না নেওয়ার কারণে সেটা হয়ে যায় বড় ধরনের রোগ। শ্বেত রক্তকণিকা আমাদের রক্তের অন্যতম একটি উপাদান সেই রক্ত কণিকা যদি বেড়ে যায় তাহলে অবশ্যই সেটা আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকারক দিক।

তবে এটা খুব সহজে বোঝা যায় না যদি বোঝা যায় তাহলে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত তার কারণ হচ্ছে এই শ্বেত রক্তকণিকা গেলে অবশ্যই শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা তৈরি হতে পারে। আজকের এই আর্টিকেলে আমরা মূলত আলোচনা করব সে তো রক্ত কণিকা বেড়ে যাওয়ার কারণ এবং এটা থেকে বাঁচার উপায় এবং এই রক্তকণিকা যখন বেড়ে যাবে তখন কোন কোন সমস্যা তৈরি হবে সেই সম্পর্কে। অবশ্যই এগুলো অত্যন্ত জরুরী যে আপনি সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন এবং সুস্থ হতে পারবেন।

সাধারণত শ্বেত রক্তকণিকা যদি আমাদের শরীরে বেড়ে যায় তাহলে এগুলো কিছু বড় বড় রোগের নির্দেশ করতে পারে যেমন মনে করুন রক্তে সংক্রমণ।রক্তে বিভিন্ন সংক্রমণের আক্রমণের কারণে সাধারণত শ্বেত রক্তকণিকার সংখ্যা বেড়ে যেতে পারে। এই সংক্রমণের সংখ্যা আস্তে আস্তে তীব্রতর হয় এবং তীব্রতর হতে হতে সেটা ব্লাড ক্যান্সার পর্যন্ত নিয়ে যেতে পারে তাই যদি প্রাথমিক পর্যায়ে টা ধরা পড়ে অবশ্যই চেষ্টা করতে হবে সেটা নিয়ন্ত্রণ করার।

শ্বেত রক্তকণিকা সাধারণত আরো বড় বড় কোন সমস্যার কারণে হতে পারে যেমন ক্যান্সার অথবা আরো অন্যান্য বড় রোগের কারণে। অস্থিমজ্জার প্রদাহ বা বড় ধরনের এইরকম সমস্যার কারণে মূলত রক্তের শ্বেত রক্তকণিকা বৃদ্ধি পেতে পারে। এই সমস্যা গুলো যখন হয় তখন অবশ্যই রোগী প্রচুর পরিমাণে অসুস্থ হয়ে যায় তাই বলায় চলে সে রক্ত কণিকার কারণে রোগী প্রচুর পরিমাণে অসুস্থ এবং মৃত্যুর গ্রহণ করতে পারে।

শ্বেত রক্তকণিকা কমানোর উপায়

কিছু ভালো অভ্যাস আমাদের এই সমস্যা সমাধান করতে পারে তাই আশা করছি আপনারা আমাদের এখান থেকেই ভালো অভ্যাসগুলো সম্পর্কে অবগত হবেন। আপনাকে আলাদাভাবে কিছুই করতে হবে না আপনি স্বাভাবিক যে জীবন যাপন করছেন সেই স্বাভাবিক জীবন যাপনের মধ্যে কিছু পরিবর্তন করুন দেখবেন এমনিতেই আপনি শারীরিক দিক দিয়ে সুস্থ হয়েছেন এবং আপনার রক্তের শ্বেত রক্তকণিকা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। সবার প্রথমে আমি যে জিনিসটার ওপর গুরুত্ব দেওয়ার চেষ্টা করছি সেটা হচ্ছে শারীরিক ব্যায়াম।

আপনি যদি এই শ্বেত রক্তকণিকাকে নিয়ন্ত্রণ করতে চান তাহলে স্বাভাবিকভাবে প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট শারীরিক ব্যায়াম আপনার অত্যন্ত জরুরি একটা জিনিস। আমার মনে হয় না প্রতিদিনের সকল কাজ বাদে আপনি ৩০ টা মিনিট বের করতে পারবেন না নিজের শরীরকে ভালো রাখার জন্য অবশ্যই পারবেন এবং নিয়মিত এই ৩০ মিনিট শারীরিক ব্যায়াম এবং শারীরিক পরিশ্রম আপনাকে আপনার রক্তের শ্বেত রক্তকণিকা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য অনেক বড় সাহায্য করবে।

যারা সাধারণত ধূমপান সেবন করেন এবং অ্যালকোহল সেবন করে তাদের ক্ষেত্রে এই কাজটা সম্পূর্ণ বন্ধ করে দিলে এমনিতেই রক্তের শ্বেত রক্তকণিকা নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। তাই বলা যেতে পারে শ্বেত রক্ত কণিকা বৃদ্ধির জন্য এই জিনিসগুলো দায়। এছাড়াও সুষম খাবার যেটা আপনি খাচ্ছেন সেটা যেন সুষম হয় এবং পুষ্টিগুণে ভরপুর খাবার হয় যা আপনার শরীরের জন্য কম ক্ষতিকারক এরকম খাবার খাওয়ার অভ্যাস নিয়মিত করতে পারলে সেটা আপনার শরীরের শ্বেত রক্ত কণিকাকে নিয়ন্ত্রণ করবে।