আমাদের রক্তে বিভিন্ন ধরনের উপাদান থাকে সেই উপাদান গুলো প্রত্যেকেই আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে থাকে। এই উপাদানের কোন একটি যদি একটু কম বেশি হয় তাহলে সেটা স্বাভাবিকভাবেই আমাদের শরীরের জন্য অনেক ক্ষতিকারক। এখানে শ্বেত রক্তকণিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান যেটাকে অনেকেই সাদা কোষ বলে থাকে বা রক্তের কোষ বলে থাকে। আজকের এই আর্টিকেল থেকে আমরা জানার চেষ্টা করব সে রক্তকণিকা স্বাভাবিকভাবে মানুষের শরীরে কি পরিমানে থাকতে পারে এবং সেটা বাড়লে অথবা কমলে আমাদের জন্য কি ক্ষতি হতে পারে সে সম্পর্কে।
সাধারণত মেডিকেল রিলেটেড বিভিন্ন ধরনের তথ্য নিয়ে আমরা হাজির হয় তাই আজকের এই আর্টিকেলেও তার ব্যাতিক্রম হবে না। সাধারণত মানুষের রক্তে লোহিত রক্ত কণিকা ও শ্বেত রক্তকণিকার অনুপাত হতে হবে ৭০০:১ । এর পরিমাণ যদি কোনভাবে ওঠানামা করে তাহলে সেটা শরীরের জন্য ক্ষতিকারক এবং যেকোনো সময় এর জন্য যেকোনো ধরনের রোগ হতে পারে। তবে আপনারা যারা জানতে চাচ্ছেন এই রক্তকণিকা যদি কমে যায় তাহলে কি কি ক্ষতি হতে পারে বা কোন ধরনের সমস্যা তৈরি হতে পারে অবশ্যই আমরা সেটা আপনাদের জানাবো।
সাধারণত মানুষ দেহের শ্বেত রক্ত কণিকার পরিমাণ যদি ৪ হাজার ডিআই এর চেয়ে কমে যায় তাহলে সেই অবস্থাকে বলা হয় লিউকোপেনিয়া। এই অবস্থাতে সাধারণত স্বাভাবিকের চেয়ে কম শ্বেত রক্ত কণিকার কারণে হয়ে থাকে। সাধারণত এই অবস্থাতে অনেক ধরনের সমস্যা তৈরি হতে পারে মানব শরীরে। এ অবস্থাতে বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণের সম্ভাবনা বেশি থাকে তাই সবসময় সতর্ক অবস্থানে থাকতে হবে যাতে করে এই সমস্যা আর বেশি না হয়। আপনার অবশ্য অবগত আছেন এই শ্বেত রক্তকণিকা কিছু কিছু ক্ষেত্রে কমে আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে বৃদ্ধি পায় যেটা আমাদের শরীরের জন্য মোটেও ভালো দিক নয়। শ্বেত রক্তকণিকার গুরুত্ব অবশ্যই অত্যন্ত ভালোভাবে আপনাকে পর্যবেক্ষণ করতে হবে তা না হলে যে কোন সময় বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণে আপনি আক্রান্ত হতে পারেন।
শ্বেত রক্তকণিকা কমে যাওয়ার কারণ কি
এখন আমরা জানার চেষ্টা করব মূলত শ্বেত রক্তকণিকা কমে যাওয়ার যে কারণগুলো রয়েছে সেগুলো সম্পর্কে। সাধারণত বিভিন্ন ধরনের বড় রোগের কারণ হিসেবে শ্বেত রক্তকণিকাকে কমে যাওয়ার বিশেষ দিক বিবেচনা করা হয়েছে। হঠাৎ করে যদি কেউ এই সকল রোগে আক্রান্ত হয় তাহলে অবশ্যই তার শরীরে শ্বেত রক্তকণিকা কমে যাবে এবং এটা একেবারে অস্বাভাবিক ব্যাপার এবং এই অবস্থাতে কখনোই বসে থাকা যাবে না। বিভিন্ন ধরনের বড় বড় সংক্রমণ অথবা ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হলে রোগীদের সাধারণত এই ধরনের সমস্যা দেখা যেতে পারে।
এছাড়াও রক্তের বিভিন্ন ধরনের ইনফেকশন অথবা দীর্ঘকাল ধরে শরীরের অপুষ্টিজনিত সমস্যা থাকলে সাধারণত শ্বেত রক্তকণিকা কমতে পারে। তাই অবশ্যই আপনাকে এই বিষয়গুলো সম্পর্কে আগে থেকে সচেতন থাকতে হবে এবং এমন একটি শরীর গঠন করতে হবে যেখানে শ্বেত রক্তকণিকা কমে যাওয়ার কোন সম্ভাবনাই থাকে না। আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন এবং আপনারা নিজে নিজেই সচেতন হবেন।
শ্বেত রক্তকণিকার কমানোর উপায়
শ্বেত রক্তকণিকা কমানোর ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে ভালো অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে এই ভালো অভ্যাস গুলোই মূলত আপনাকে সে তো রক্ত কণিকা কমাতে সাহায্য করবে। এর জন্য অবশ্যই আপনাকে একটি সুষম খাবার খেতে হবে যে সুষমা খাবারের পুষ্টিগুণগুলো সঠিকভাবে রক্তে কাজ করতে পারে এবং রক্তের প্রত্যেকটি উপাদানকে সঠিকভাবে বজায় রাখতে সাহায্য করে।
এর পাশাপাশি যারা তামাক সেবন করেন তাদের তামাম সেবনের কারণে সে প্রত্যক্ষ কণিকার পরিমাণ উঠানামা করতে পারে এই অবস্থাতে আপনাকে এই জিনিসটা বর্জন করতে হবে এটাকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য। প্রতিদিন অন্তত শারীরিক ব্যায়াম ৩০ মিনিট করতে হবে যাতে আপনি শ্বেত রক্তকণিকাকে কমাতে পারেন এবং নিয়ন্ত্রনে আনতে পারেন।