শরীর গরম থাকা কিসের লক্ষণ

শরীর গরম থাকার জন্য বেশ কিছু জিনিস হতে পারে। তবে শরীর গরম এবং শরীরের তাপমাত্রা গরম এই দুইটি জিনিসের মধ্যে পার্থক্য আছে। আপনি নিজেও এই পরীক্ষা করে নিতে পারেন যদি আপনার বাড়িতে একটু থার্মোমিটার থাকে তাহলে। সাধারণত গরমের দিনে যখন আমরা অতিরিক্ত গরমে ঘেমে যাই তখন যদি আপনার শরীরে তাপমাত্রা আপনি পরিমাপ করেন একটি থার্মোমিটারের মাধ্যমে দেখবেন সেখানে স্বাভাবিক তাপমাত্রায় দেখাচ্ছে। কিন্তু আবার যারা জ্বরে আক্রান্ত হয় তাদের ক্ষেত্রে জিনিসটা ব্যতিক্রম হয়।

এই অবস্থাতে শরীরে অনেক সময় ঠান্ডা ভাব দেখা যায় কিন্তু যখন তাপমাত্রা পরিমাপ করা যায় তখন দেখা যায় যে তাপমাত্রা অনেক বেশি। তা এখানে আগে বুঝতে হবে শরীর গরম বলতে কী বোঝানো হয়েছে স্বাভাবিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি না শারীরিক গরম বৃদ্ধি। এ দুইটা জিনিস অনেকের কাছে গোল মেলে হয়ে ওঠে যার কারণে অনেকেই এই জিনিসগুলো বুঝতে পারেন এবং বুঝতে চাইও না। আজকের এই আর্টিকেল থেকে আমরা শরীর গরম থাকার বিভিন্ন কারণ সম্পর্কে আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করব এবং আশা করছি আপনারা আমাদের সঙ্গে থেকে এই বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে পারবেন।

সাধারণত শরীর গরম থাকার পেছনে যে দুইটি কারণ আছে সেই দুইটি কারণের মধ্যে একটি হচ্ছে জ্বর এবং আরেকটি হচ্ছে হাই প্রেশার। এ দুটি কারণ বুঝতে গেলে আপনাকে পরিষ্কারভাবে বিষয়টি বুঝতে হবে চলুন আজকের আরবিকেল থেকে আমরা সেই বিষয়গুলো সম্পর্কে অবগত হই। সাধারণত শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে সেটাকে বলা হয় জ্বর এবং এটা নিশ্চিত করতে হলে আপনাকে যে কাজটি করতে হবে সেটা হচ্ছে একটি থার্মোমিটার এর মাধ্যমে জ্বর পরিমাপ করতে হবে।

যদি শরীর অত্যাধিক গরম হয় এবং এই অবস্থাতে মাথা ব্যথায় এবং চোখ ব্যথা অনুভূত হয় এবং কাবুনি আসতে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনি জ্বর মাপবেন দেখবেন সেখানে শরীরে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে এটাকে বলা হয় এক ধরনের সমস্যা। আর হঠাৎ করেই গরম লাগা এই অবস্থাতে শরীর হঠাৎ করে ঘেমে ওঠা এবং মাথায় যন্ত্রণা এরকম কোন জিনিস অনুভূত হলে সেটা হচ্ছে হাই প্রেসার জনিত শরীর গরম হওয়া এটা অনেক বড় ধরনের দুর্ঘটনা।

শরীর গরম হলে করণীয়

শরীর গরম হলে সবার প্রথমে যে কাজটি আপনাকে করতে হবে সেটা হচ্ছে নিশ্চিত হওয়া কেন হচ্ছে এটা। যদি জ্বরের কারণে শরীর গরম হয় তাহলে অবশ্যই চেষ্টা করতে হবে যত দ্রুত সম্ভব জ্বরের ঔষধ খেতে এবং বিশ্রাম গ্রহণ করতে। অতিরিক্ত জ্বর হলে অবশ্যই জলপট্টি দিয়ে সেটা কমানোর চেষ্টা করতে হবে তবেও সম্ভব না হলে গা পানি দিয়ে মুছে দিতে হবে এবং সাপোজিটরি ব্যবহার করে জ্বরকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করতে হবে।

তবে যদি শরীরে অনেক বেশি গরম অনুভূত হয় এবং সেটার কারণ হয় হাই প্রেসার তাহলে আপনাকে সবার প্রথমে যে কাজটি করতে হবে সেটা হচ্ছে বিশ্রাম। বিশ্রাম নেওয়ার পরে প্রেসারে একটি ওষুধ খেয়ে আপনাকে আরো কিছু সময় বিশ্রাম করে দেখতে হবে সেটা কমছে কিনা তা না হলে ঠান্ডা পানি মাথায় ঢালতে পারেন এবং যত দ্রুত সম্ভব হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে সেই রোগীকে।

শরীর গরম হলে কি খাওয়া উচিত

শরীর গরম হলে সাধারণত চেষ্টা করা উচিত ঠান্ডা পানি খাওয়া বা ঠান্ডা জাতীয় তরল কিছু খাওয়া। তার মাধ্যমে আপনার শরীরে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে আসতে পারে যদি জলের কারণে হয় তারপরেও কোন সমস্যা হবে না ঠান্ডা জিনিস খেলে এবং হাই প্রেসারের কারণে হলেও এটা স্বাভাবিক বিষয়। তবে চেষ্টা করতে হবে অতিরিক্ত ঠান্ডা না খেতে এবং হাই প্রেসার আরো বাড়িয়ে দেয় এমন কিছু না খেতে।