Gavalic এর কাজ কি

সাধারণত আমরা যখন একটি ঔষধ খাই তখন শুরু থেকেই চেষ্টা করি সেই ওষুধ যেন আমাদের শরীরে সঠিকভাবে কাজ করে। কিন্তু ওষুধ খেতে যদি কোন ধরনের ভুল থাকে এবং সেটা যদি নিজের অজান্তেই হয় তাহলে অবশ্যই ওষুধের সঠিক কার্যকারিতা থেকে আমরা বঞ্চিত হব। আজকে যে সাসপেনশন এর কথা আমরা বলছি সেটা আমাদের জন্য কতটা উপকারী সেটা জানা নেই অনেকের। সহজ ভাষায় বললে এটা এক ধরনের সিরাপ এবং সেই সিরাপে তিন ধরনের উপাদান রয়েছে।

প্রথম উপাদানটি হচ্ছে সোডিয়াম এলজিনেট দ্বিতীয় উপাদান হচ্ছে সোডিয়াম বাই কার্বনেট এবং তৃতীয় উপাদান হচ্ছে ক্যালসিয়াম কার্বনেট। এই তিনটি উপাদানের সমন্বয়ে তৈরি করা হয়েছে এই সিরাপ যেখানে যথাক্রমে ৫০০ মিলিগ্রাম থেকে 213 মিলিগ্রাম এবং ৩২৫ মিলিগ্রাম যুক্ত করে এই কম্বিনেশন তৈরি করা হয়েছে। আপনি যদি বোতল ক্রয় করতে চান তাহলে এখানে ১০ এম এল এর একটি বোতল পাবেন বাজারে। এসিআই লিমিটেডের এই পণ্য বর্তমানে অত্যন্ত কার্য করে একটি ঔষধ আমাদের জন্য তাই আজকে আমরা এই ওষুধের খুঁটিনাটি অনেক তথ্য নিয়ে আপনাদের সামনে চলে আসলাম।

Gavalic সঠিক কার্যকারিতা কি

এটা এমন এক ধরনের সিরাপ যেটা খেলে সাধারণত গ্যাস্ট্রিক রিফ্লাক্স রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করা যায়। সাধারণত বিভিন্ন ধরনের গ্যাস্ট্রিকের কারণে বুকে ব্যথা বা বুকে জ্বলাপোড়া হতে পারে এর পাশাপাশি পেটেও জ্বালাপোড়া হতে পারে এই ধরনের জ্বালাপোড়া থেকে বেঁচে আসার জন্য অবশ্যই এই সিরাপ অত্যন্ত কার্য করে। গ্যাসের কারণে বুকে জলা বা বুকে ব্যথা হওয়াকে বৈজ্ঞানিক ভাষায় হার্ট বার্ন বলে। তাই এই সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসতে হলে অবশ্যই আপনাকে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়মিত এই সাসপেনশন খেতে হবে।

গর্ভাবস্থার জন্য এই ওষুধটি অত্যন্ত আদর্শতার কারণ হচ্ছে গর্ভাবস্থায় মায়েদের বিভিন্ন ধরনের ওষুধ সেবন বা বিভিন্ন ধরনের শারীরিক জটিলতার কারণে গ্যাসের উদয় হয়। তখন গ্যাসের কারণে বুকের ভেতরে জ্বালাপোড়ার সৃষ্টি হয় যাকে চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় হার্ট বার্ন বলে। তখন গর্ভবতী মায়েদের সুস্বাস্থ্য কামনা করার জন্য এই সাসপেন দেওয়া যেতে পারে। এছাড়াও গ্যাসের সমস্যার কারণে সৃষ্টি হওয়া আরো অন্যান্য জটিল সমস্যা সমাধানে নিয়মিত এই সাসপেনশন সেবন করুন ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী।

Gavalic মাত্রা ও সেবন বিধি

এটা সরাসরি মুখে সেবনযোগ্য একটি ঔষধ এবং এর জন্য অবশ্যই কিছু মাত্রা আছে যে মাত্রা মেনে আপনাকে নিয়মিত ওষুধ খেতে হবে। যাদের বয়স ১২ বছরের ওপরে এবং যারা প্রাপ্তবয়স্ক হয়েছেন তাদের জন্য যে নির্দেশনা আছে সেখানে ১০ থেকে ২০ এম এল প্রতিদিন চারবার পর্যন্ত খাওয়ার পরে এবং সবার সময় খেতে হবে। অর্থাৎ আপনি 6 ঘন্টা পর পর এই ওষুধ খেতে পারেন।

এরপরে 6 থেকে 12 বছরের শিশুদের জন্য 5 থেকে 10 মিনিট প্রতিদিন ৪ বার পর্যন্ত খাওয়ার পর এবং সবার সময় খাওয়া যেতে পারে। শিশুদের ক্ষেত্রে অবশ্য সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে এবং একজন ভালো শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ছাড়া কোনভাবে এটা খাওয়ানো যাবে না। যাদের বয়স ৬ বছরের নিচে তাদের ক্ষেত্রে এই ওষুধ নির্দেশিত নয় অর্থাৎ এই ওষুধ খাওয়ার কোন অনুমতি নেই। যারা বৃদ্ধ আছেন তাদের ক্ষেত্রে যদি এই ওষুধ দিতে হয় তাহলে অবশ্যই ওপরের উল্লেখিত একই পরিমাণে ডোজ দিতে হবে।

Gavalic দাম ও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

Gavalic এর কাজ কি
এ সাসপেনশন এর বর্তমান বাজার মূল্য হচ্ছে ৩০০ টাকা। অতিমাত্রায় ওষুধ খেলে অবশ্যই সমস্যা হয় তবে সাধারণভাবে ওষুধ খেলে কোন ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় না। যখনই অতিমাত্রায় এই ওষুধ খাবেন তখন কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দিতে পারে এছাড়াও পাকস্থলীতে বিভিন্ন ধরনের খিচুনি এবং ঢেকুরতলা সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। যাইহোক এগুলো খুবই সাধারণ ব্যাপার তারপরও একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে নিয়মিত এই ওষুধ খেলে আপনি বিভিন্ন ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।