আমাদের অবশ্যই একটি বিষয় সম্পর্কে ভালোভাবে অবগত হতে হবে তারপরে । সাধারণত হিমোগ্লোবিন একটি ধরন যেটাকে হিমোগ্লোবিন ই হিসাবে ধরা হয়। সাধারণত হিমোগ্লোবিন কি বুঝার জন্য আমাদের রক্ত সম্পর্কে আর একটু বুঝতে হবে এবং রক্ত এবং হিমোগ্লোবিনের যে সম্পর্ক আছে সেটা বুঝতে হবে। হিমোগ্লোবিন ই রোগ হলে একটি জেনেটিক অবস্থা যা ভিটা গ্লোবিন ও জিনের মিউটেশনের কারণে ঘটে থাকে এবং এটি সাধারণত কিছু সংখ্যক মানুষের ক্ষেত্রে বড় ধরনের সমস্যা তৈরি করতে পারে। হিমোগ্লোবিনের সমস্যা যে এত বড় ধরনের সমস্যা তৈরি করতে পারে সেটা হয়তো অনেকেই জানেন না কিন্তু এটা জানার বিশেষ প্রয়োজন রয়েছে আমাদের প্রত্যেকের।
আমরা হয়তো থ্যালাসেমিয়া রোগ সম্পর্কে সকলে অবগত আছি এটা সাধারণত বংশগত রক্তস্বল্পতা জনিত রোগ। থ্যালাসেমিয়া যদি কোন রোগীর শরীরে থেকে থাকে স্বাভাবিকভাবেই তার পরিবারের অন্য কারো সদস্যের মধ্যে এ থালাসেমিয়া থাকতে পারে। এটা রক্তের ক্যান্সারও নয় আবার রক্তের ছোঁয়াচে রোগ ও নয় তাই এটা নিয়ে জটিল চিকিৎসার প্রয়োজন পড়ে এবং চিকিৎসার মাধ্যমে রোগীকে পুরোপুরি সুস্থ করা যায় না। আজকে আমরা হিমোগ্লোবিন ই এবং থ্যালাসেমিয়া সম্পর্কে জানার চেষ্টা করব আশা করছি আপনার আমাদের এখান থেকে এই বিষয়গুলো সম্পর্কে জানবেন। হিমোগ্লোবিন ই ডিজিস বলতে সাধারণত যে বিষয়টি বোঝানো হয় সেটা হচ্ছে হালকা রক্তস্বল্পতা যেটা হালকা হিমোগ্লোবিনের সমস্যার কারণে হয়ে থাকে।
এটাকে সাধারণত টাইপ ওয়ান ডিজিজ নামে ধরা হয়ে থাকে এই অবস্থাতে চিকিৎসার মাধ্যমে পুরোপুরি সুস্থ হওয়া যায়। হিমোগ্লোবিন ই ডিজিজ প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়ার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে এর লক্ষণ গুলো চিহ্নিত করা যেটা আমরা অনেকেই করতে পারিনা।
হিমোগ্লোবেন ই রোগের চিকিৎসা
হিমোগ্লোবিন ই ডিজি সাধারণত রক্তস্বল্পতার প্রাথমিক একটি রোগের নাম যেটা চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ করা যায় এবং এটা খুব বেশি মারাত্মক নয়। তবে এটার সমাধান না করতে পারলে সাধারণত বড় ধরনের রোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে এবং সেই বড় ধরনের রোগ গুলো অত্যন্ত সাংঘাতিক এবং মারাত্মক যা একটি পরিবার ধ্বংস করতে পারে।
এর চিকিৎসার জন্য অবশ্যই আপনার আপনাকে ভালো চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে এবং দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসার মাধ্যমে নিশ্চিত হতে হবে আপনি পুরোপুরি সুস্থ হয়েছেন। আর হিমোগ্লোবিনের সমস্যার কারণে যাতে আপনার শরীরে এই ধরনের রোগ ফিরে না আসে তার প্রতিরোধে অবশ্যই আপনাকে গড়ে তুলতে হবে।
থ্যালাসেমিয়া কেন হয়
থ্যালাসেমিয়া রোগ কতটা সাংঘাতিক সেটা আমরা সকলেই জানি তাই এই রোগ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা উচিত আমাদের সকলের মাঝে। এক্ষেত্রে সবার প্রথমে যে বিষয়টি জানা উচিত সেটা হচ্ছে এই রোগের কারণ অর্থাৎ থ্যালাসেমিয়া রোগ কেন হয়। সাধারণত মা-বাবা দুজনের থ্যালাসেমিয়া রোগের বাহক হলে তার সন্তানের এই রোগ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
মানব দেহে রয়েছে প্রায় 23 জোড়া বা ৪৬ টি ক্রোমোজোম এবং প্রতি জোড়ার অর্ধেক মায়ের আর বাকি অর্ধেক বাবার কাছ থেকে আসে। যদি এর মধ্যে ১৬ নাম্বার ক্রোমোজোমে থাকে আলফা জিনা ১১ নম্বর ক্রোমোজোম থাকে ভিটাজিন। এই দুইটা সমন্বয়ে একটি প্রোটিন তৈরি হয় যেটাতে প্রচুর পরিমাণে অ্যামিনো এসিড থাকে। জন্মগতভাবে যদি এই প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্থ হয় তাহলে সেখানে যে সমস্যা তৈরি হয় অর্থাৎ সেই প্রোটিন সঠিকভাবে তৈরি হয় না যার কারণে ত্রুটিপূর্ণ প্রোটিন তৈরি হয়। এর ফলে মানব শরীরে রোহিত রক্ত কণিকার গড় আয়ু ১২০ দিন হলেও চুক্তি পূর্ণ রবিনের কারণে থ্যালাসেমিয়া রোগের লোহিত রক্ত কণিকার গড় আয়ু মাত্র ২০ থেকে ৬০ দিন। যার কারণে অল্প সময়ের মধ্যেই লোহিত রক্তকণিকা ভেঙ্গে যায় এবং রোগীর শরীরের রক্তস্বল্পতা দেখা যায়। এই বিষয়গুলো সম্পর্কে আমাদের অবশ্যই সচেতনতা গড়ে তোলা উচিত কারণ এটা বর্তমানে একটি সাংঘাতিক রোগে রূপান্তরিত হয়েছে।