অমিডন সিরাপ কেন খায়, অমিডন সিরাপ খাওয়ার সঠিক নিয়ম Omidom

আপনি কি জানেন অমিডন নামক যেই সিরাপটি আপনি আপনার বাচ্চাকে খাওয়াচ্ছেন সেই সিরাপটি কোন কোম্পানি বাজারজাতকরণ করেছে। আপনি কি জানেন অমিডন সাসপেনশন নামক এই সিরাপটি আপনি কি কাজের জন্য আপনার বাচ্চাকে খাওয়াচ্ছেন? এছাড়াও এই ঔষধের মূল উপাদান কি এটাও তো হয়তো আপনি জানেন না? এ ধরনের অনেক প্রশ্ন আমাদের সকলের মাথায় ঘুরপাক খায় এবং এই প্রশ্নের উত্তরের জন্যই মূলত আজকে আপনারা হয়তো আমাদের এই আর্টিকেল পড়বেন ।

অমিডন অত্যন্ত পরিচিত একটি ঔষধের নাম এবং ডমপিরিডন ম্যালিয়েট নামক গ্রুপের ঔষধ। এই ওষুধটি মূলত ইনসেপ্টা ফার্মাসিটিক্যালস লিমিটেড বর্তমান বাংলাদেশের বাজারে বাজারজাতকরণ করছে। এই সিরাপটি আপনি আপনার বাচ্চাকে কেন খাওয়াবেন এবং কোন কোন সমস্যার কারণে এই সিরাপ বাচ্চাকে খাওয়াতে হয় এবং খাওয়ানোর ক্ষেত্রে তার মাত্রা ও সেবনবিধি কি তা সম্পর্কে জানতে আমাদের সঙ্গেই থাকুন শেষ পর্যন্ত।

অমিডন সিরাপ খাওয়ার সঠিক নিয়ম

অমিডন সিরাপ অবশ্যই বাচ্চাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য বড়দের ক্ষেত্রে অমিডনের ট্যাবলেট ভার্সন রয়েছে। আপনি আপনার বাচ্চাকে কতটুকু সিরাপ খাওয়াতে পারবেন সেটা নির্ভর করবে আপনি যে ডাক্তারকে দেখাচ্ছেন তার পরামর্শের উপর। তবে এখানে অবশ্যই ডাক্তারের কাছে যদি আপনি যেতেন না পারেন তাহলে আমরা আপনাদের পাশে আছি। এখানে অবশ্যই অমিডন খাবার গ্রহণের ১০ থেকে ১৫ মিনিট পূর্বে আপনাকে খেতে হবে।

বাচ্চাদের ক্ষেত্রে ২-৪ মিলি সিরাপ খাওয়াতে পারেন ১০ কেজি ওজনের বাচ্চাদের জন্য। অথবা 0.4 থেকে ০.৮ মিলিলিটার ড্রপস ১০ কেজির বাচ্চাদের জন্য প্রযোজ্য। অবশ্যই শরীরের ওজন অনুসারে প্রতি 6 ঘন্টা অথবা 8 ঘন্টা পর পর এটা আপনাকে খাওয়াতে হবে। এছাড়াও শিশুদের ক্ষেত্রে যদি তীব্র বমি বমি ভাব হয় এবং ভূমির প্রতিরোধের জন্য এই ওষুধটি আপনি ব্যবহার করতে চান তাহলে ০.৪ থেকে ০৮ মিলিগ্রাম ব্যবহার করতে হবে প্রতি ১০ কেজির জন্য। এছাড়াও যাদের সাপোজিটরের প্রয়োজন রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে ১০ থেকে ২০ কেজি ওজনের শিশুদের ক্ষেত্রে নিয়মিত সর্বাধিক দৈনিক ৩০ মিলিগ্রাম।

অমিডন সিরাপ কেন খায়

এখন বিষয় হচ্ছে আপনি কি খাচ্ছেন এবং কেন সেটা খাচ্ছেন তার উত্তর কেবলমাত্র আপনি দিতে পারবেন। তবে আপনি এতটাও পাগল নন যে কেউ আপনাকে কিছু খেতে বলল আপনি হুট করে সেটা খেয়ে ফেললেন কোন কারণ ছাড়া। ঔষধ এর ক্ষেত্রে তো আমরা আরো বেশি সতর্ক তাই ডাক্তার যখন আপনাকে অমিডন সিরাপ কাউকে খাওয়াতে বলবে বা আপনার সন্তানকে খাওয়াতে বলবে তখন অবশ্যই আপনার মনের প্রশ্ন জাগবে কি সমস্যা হয়েছে যে এই সিরাপ ডাক্তার আমার সন্তানকে দিল। তাহলে চলুন এই ধরনের প্রশ্নের উত্তর জানার চেষ্টা করি।

যে সকল বাচ্চাদের তীব্র বমি বমি ভাব দেখা দেয় অথবা অতিরিক্ত বমি হয় তাদের এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য মূলত অমিডন সিরাপ দেওয়া হতে পারে। এছাড়াও রেডিও লজিকাল পরীক্ষার জন্য মূলত এই ওষুধটি দেওয়া হয় প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য যাতে করে পেট একেবারেই পরিষ্কার হয়ে যায় এবং সেখানে পরীক্ষা নিরীক্ষা ভালোভাবে করা যায়। এছাড়াও পাকস্থলী থেকে খাদ্যের বিলম্বিত অপসারণ অথবা গ্যাস্ট্রিক অতিরিক্ত গ্যাস্ট্রিক পেট খোলা এই ধরনের বিভিন্ন জটিল সমস্যার কারণে মূলত ও মিলন ঔষধ বাচ্চাকে দেওয়া হতে পারে।

অমিডন সিরাপ এর দাম কত

মূলত জিস্কা ফার্মাসিটিক্যালস এই অমিডন সিরাপ বাজারজাতকরণ করছে এবং তাদের অমিডন সিরাপ এর ৬০ মিলিলিটার এর যে বোতল রয়েছে তার বর্তমান বাজার মূল্য হচ্ছে ৩৮ টাকা। এখানেই শেষ নয় তারা ১০০ মিলি এর একটি বোতল বাজারজাতকরণ করেছে যেই বোতলের বর্তমান মূল্য হচ্ছে 40 টাকা। আশা করছি আপনারা আপনার নিকটস্থ যে কোন ঔষধের দোকান থেকে এই ওষুধটি সংগ্রহ করতে পারবেন তবে কোনোভাবেই ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া আপনার শিশু বাচ্চাকে এই ঔষধ খাওয়াবেন না।