অমিডন ট্যাবলেট সম্পর্কে আজকে আলোচনা করব। যে ট্যাবলেটটি আপনি নিয়মিত খাচ্ছেন সেই ট্যাবলেটের ভেতর কি আছে সেটা আপনি জানেন কি। অমিডন ট্যাবলেটটি মূলত বাজারজাতকরণ করে ইনসেপ্টা ফার্মাসিটিক্যালস লিমিটেড। আমাদের কাছে পরিচিত এই ফার্মাসিটিক্যালস কোম্পানি বরাবরই ঔষধের জগতে ভালো মানের ঔষধ তৈরি করে সেটা আমরা সকলেই জানি। তাই চোখ বুজেই এই অমিডন ট্যাবলেট আমরা খেতে পারি।
ডামপেরিডন মেলিয়েড দিয়ে তৈরি হয় এই অমিডন ট্যাবলেট। এখানে ১০ মিলিগ্রাম এর একটি ধরন রয়েছে এর পাশাপাশি আরো আপনি অন্যান্য ধরন পেয়ে যাবেন। এখানে সিরাপ ফরম্যাটেও আপনি অমিডন পেয়ে যাবেন এর পাশাপাশি আপনি ড্রপার হিসেবেও অমিডন পেতে পারেন।
আজকে আমরা অমিডন ট্যাবলেট এর সঠিক দিকনির্দেশনা সম্পর্কে জানার চেষ্টা করব। অমিডন ট্যাবলেট সম্পর্কে আপনারা যদি বেশি কিছু না জানেন তাহলে আমাদের আর্টিকেল পড়তে পারেন এবং এর সঙ্গে আপনি আরো জানবেন মাত্রা ও সেবন বিধি সম্পর্কে। অমিডন ট্যাবলেট যদি অতিমাত্রায় খাওয়া হয় তাহলে আপনার শরীরে কোন ক্ষতি হতে পারে কিনা সেটাও জানার চেষ্টা করব।
অমিডন ট্যাবলেট এর সঠিক নির্দেশনা
অমিডন ট্যাবলেট মূলত পেটের ওপরের ভাগে ফাঁপা বোধ অথবা পেট ভার হয়ে থাকা এই ধরনের লক্ষণ এর কাজে ব্যবহার করা হয়। অনেকের দেখা যায় পেটের উপরের অংশে ব্যথা ব্যথা অনুভব হয় তাদের ক্ষেত্রেও এই ওষুধটি ব্যবহার করা যেতে পারে। এর পাশাপাশি ঢেকুরতলা এবং পেট ফাঁপা এবং অল্প খাদ্যে তুষ্টি অর্থাৎ আপনার প্রচুর ক্ষুধা পেয়েছে কিন্তু যখন খেতে গেলেন দেখলেন অল্প খেয়ে আপনি আর খেতে পারছেন না।
এছাড়াও সব সময় বমি বমি ভাব এবং বমি হওয়া এই ধরনের লক্ষণ দেখা দিলে অবশ্যই অমিডন আপনি খেতে পারেন। এছাড়াও পাকস্থলী হতে খাদ্য উপরে উঠে আসা সহ বুক জ্বালাপোড়া অথবা শুধু বুক জ্বলা জড়িত কারণে আপনি যদি ডাক্তারের কাছে যান তাহলে অবশ্যই ডাক্তার আপনাকে অমিডন খেতে বলবে। এছাড়াও যাদের আলসার নেই কিন্তু অযুগ্ন রোগ আছে তাদের ক্ষেত্রেও এটা ব্যবহার করা যেতে পারে।
অমিডন ট্যাবলেট এর সঠিক মাত্রা বেধে
সাধারণত ডমপেরিডন খাদ্য গ্রহণের ১৫ থেকে ৩০ মিনিট পূর্বে প্রয়োজন বোধে রাতে ঘুমাতে যাবার পূর্বে খাওয়া হয়। তবে আলাদাভাবে মুখের খাবার অন্যান্য সাধারণ নির্দেশে মাত্রা অনুযায়ী প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য 10 থেকে 20 মিলিগ্রাম খেতে হবে প্রতি ৬ ঘন্টা অথবা ৮ ঘন্টা পর পর। এছাড়াও শিশুদের ক্ষেত্রে দুই ২-৪ মিলিলিটার সাসপেনশন খাওয়া যেতে পারে এক কেজির জন্য। শিশুর ওজন যত বৃদ্ধি পাবে ওষুধের পরিমাণ ততই বৃদ্ধি পাবে।
এছাড়াও ডিস্পেক্টিভ সিস্টেম এর জন্য প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে ১০ থেকে ২০ মিলিগ্রাম প্রতি ৬ ঘন্টা বা ৮ ঘণ্টা পর পর ব্যবহার করা যেতে পারে। এর পাশাপাশি শিশুদের ক্ষেত্রে ০.২ হতে ০.৪ মিলিগ্রাম প্রতি কেজি অনুযায়ী ব্যবহার করা যেতে পারে। এছাড়াও আপনার যদি কোন কনফিউশন থেকে থাকে তাহলে নিকটস্থ ডাক্তারের কাছে গিয়ে তার সমাধান চেয়ে নিতে পারেন।
অমিডন ট্যাবলেট খাওয়ার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া যদি আমরা লক্ষ্য করি তাহলে এখানে সাধারণত পিপাসা পাওয়া এবং মাথাব্যথা এই ঔষধ এর একটি পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া। এছাড়াও যে সকল রোগীদের জীবনে ভাব হয় এছাড়াও যাদের নার্ভাস সিস্টেম অতিরিক্ত বেড়ে যায় তারাও ধারণা করতে পারেন ঔষধ এর প্রতিক্রিয়া আপনার শরীরে চালু হয়েছে।
এ পাশাপাশি টকে লালচে ভাব বা বিভিন্ন জায়গাতে চুলকানি হতে পারে এই ঔষধ এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার কারণে। অনেকের ক্ষেত্রে পাতলা পায়খানাও হতে পারে এই ঔষধ এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার কারণে। গর্ভবতী মহিলাদের ক্ষেত্রে অবশ্যই এই ঔষধ ব্যবহার উপযোগী নয়। তাই যারা গর্ভবতী মায়েরা আছেন তারা সব সময় এই ওষুধটিকে নিজের কাছ থেকে দূরে রাখুন। সতর্ক থাকুন সুস্থ থাকুন।