প্রকৃতিতে সব ওষুধের উৎস থাকে এবং সব ওষুধের উৎসব প্রকৃতিতে এমনভাবে বিদ্যমান থাকে যেখান থেকে আমাদের সবকিছু খুঁজে বের করতে হয়। আদি যুগের কথাই মনে করুন যেখানে মানুষ চিকিৎসার জন্য গাছ গাছরা ব্যবহার করত এবং সেই গাছ গাছরা মানুষকে চিকিৎসা থেকে বাঁচতে সাহায্য করত। চিকিৎসা বিজ্ঞান যত উন্নত হয়েছে মানুষ ততই আধুনিক প্রযুক্তি যুক্ত করতে পেরেছে এর সঙ্গে যার ফলে বর্তমানে প্রতিদিনই অনেক নতুন নতুন ঔষধ উৎপন্ন হচ্ছে।
এমিলিন ওষুধ কি কাজে আসে এবং এমএলএম ঔষধ এর মূল উপাদান কি সে সম্পর্কে জানতে আজকে আমরা বিস্তার আলোচনা করতে যাচ্ছি। আরেকটা বিষয় যেটা আমরা কোন ধরনের চিন্তা-ভাবনা ছাড়া যেকোনো ধরনের ওষুধ সেবন করি এবং সঠিক পরিমাপে ঔষধ সেবন করি না সেই সকল ভুল ধারণা থেকে বেরিয়ে আসার জন্যই আমরা আপনাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেল নিয়ে আসলাম। চলুন জানা যাক মূল তথ্য।
এমিলিন ট্যাবলেট এর মূল কাজ কি
অ্যামিট্রিপটাইলিং হাইড্রোক্লোরাইড উপাদান দ্বারা তৈরি করা হয়েছে এই ঔষধ যেখানে ১০ মিলিগ্রাম ঔষধ দিয়ে তৈরি করে নামকরণ করেছে এমিলিন। আজকে আমরা এই ওষুধের কার্যকারিতা নিয়ে বিস্তার আলোচনা করব এবং পরিশেষে জানার চেষ্টা করব এই ঔষধ এর সঠিক পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া। আপনাদের কাছে অনুরোধ থাকছে আপনারা আমাদের এখান থেকে সঠিক তথ্য জেনে নিন।
বিষন্নতা মানুষকে গ্রাস করে ফেলে এবং বিষন্নতা এমন একটি জিনিস যেটা কেউ কারো সামনে বলতেও পারেনা এবং বাইরে থেকে বোঝা যায় না। কোন কারনে কোন রোগী যদি দীর্ঘদিন ধরে কোন ধরনের বিষণ্ণতায় ভোগে তাহলে সেই রোগীর অবশ্যই ঘুমের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। বিষন্নতার কারণে সাধারণত যে রোগীগুলোর ঘুমের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে এমিলিন ১০ মিলিগ্রাম ট্যাবলেট ব্যবহার করা হয়।
যে সকল শিশুদের রাত্রিতে মুত্র ত্যাগের আশঙ্কা আছে বা মূত্রত্যাগ রোগ আছে এবং দীর্ঘদিন ধরে এই রোগের সমাধান হচ্ছে না তারা মূলত এই ঔষধ ব্যবহার করতে পারেন। তবে এখানে শিশুদের শরীরের অবস্থার উপর নির্ভর করে মূলত ঔষধ দেওয়া হয় তাই একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার অথবা একজন শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ছাড়া কোনভাবেই এই ঔষধ দেওয়া ঠিক হবে না।
আধুনিক যুগে আমরা ডিজিটাল ডিভাইসের সঙ্গে বেশি সংযুক্ত হচ্ছে যার ফলে যারা ইয়ং জেনারেশন আছে তাদের প্রচুর পরিমাণে মাইগ্রেনের সমস্যা হচ্ছে। এই মাইগ্রেনের সমস্যার সমাধানের মূল ঔষধ হচ্ছে এমিলিন। তবে মাইক্রোনের সমস্যার সমাধানের জন্য এমিলিন ট্যাবলেট দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার করতে হয় তাই এখানে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সঠিক ব্যবহারের নিয়ম আপনাকে জানতে হবে।
সাধারণত যাদের দুশ্চিন্তা জনিত মাথাব্যথা আছে তারা দীর্ঘদিন ধরে এই মাথা ব্যথায় ভোগেন এবং কষ্ট করেন। দুশ্চিন্তা জনিত এই মাথাব্যথা থেকে রেহাই পেতে সবার প্রথমে আপনি ব্যবহার করতে পারেন এমিলিন ১০ মিলিগ্রাম ট্যাবলেট। এছাড়াও দীর্ঘদিন শরীরের বিভিন্ন অংশের ছোটখাটো ব্যথার বিরুধে লড়াই করতে পারে ডাক্তার যদি এমিলিন মিলিগ্রাম ট্যাবলেট নির্দেশ করে তাহলে সেটা রোগের পক্ষে ভালো একটি জিনিস।
এমিলিন ১০ মিলিগ্রাম ট্যাবলেট খাওয়ার সঠিক নিয়ম
প্রাপ্তবয়স্ক রোগীদের ক্ষেত্রে যদি মানসিক সমস্যা অথবা বিষন্নতার কারণে এই এমিলিন মিলিগ্রাম ট্যাবলেট ব্যবহার করা হয় তাহলে সর্বোচ্চ দিনে ৭৫ মিলিগ্রাম পর্যন্ত দেওয়া যেতে পারে একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের ক্ষেত্রে। তবে সেটা বৃদ্ধি পেয়ে সর্বোচ্চ ১৫০ মিলিগ্রাম পর্যন্ত হতে পারে এই ক্ষেত্রে ডাক্তারের সঠিক তদারকির প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
শিশুদের বিছানায় মূত্রত্যাগের ঘটনায় যদি এমিলিন ট্যাবলেট দেওয়ার কথা কোন শিশু ডাক্তার রেফার করে তাহলে দেখবেন অবশ্যই সেখানে সর্বোচ্চ ১০ থেকে ২০ মিলিগ্রাম পর্যন্ত তিনি প্রতিদিনে অনুমোদন দেবেন বিভিন্ন ভাবে। আশা করছি আপনারা এমিলিন এর কাজ সম্পর্কে সঠিক ধারণা পেয়েছেন আমাদের আজকের এই ছোট্ট আর্টিকেল থেকে।