প্রত্যেকটি ঔষধে রয়েছে আলাদা আলাদা কার্যকারিতা এবং সেই কার্যকারিতার ওপর নির্ভর করে মূলত ডাক্তারেরা বিভিন্ন রোগীকে বিভিন্ন ধরনের ঔষধ প্রদান করে। যাদের কোষ্ঠকাঠিন্যতা আছে বা যাদের বুক জ্বালাপোড়া করে এবং বুক ফুলে ওঠে তাদের কাছে সবথেকে পরিচিত নাম হচ্ছে ডমপেরিডন ১০ । ডমপেরিডন ১০ ওষুধের সঠিক কার্যকারিতা এবং সঠিক প্রয়োগ বিধি সম্পর্কে যারা জানেন না তাদেরকে বলব আমাদের এখান থেকে একেবারে সহজ ভাষায় সে বিষয়ে অবগত হন।
সবার প্রথমে আমরা ডমপেরিডন ১০ ঔষধ সম্পর্কে আপনাদের পরিচিতি দেবো এবং ডমপেরিডন ১০ মিলিগ্রাম ট্যাবলেট কিভাবে খাবেন এবং ১০ মিলিগ্রাম ট্যাবলেট এর কার্যকারিতা কি সেগুলো জানাবো। অতিরিক্ত ওষুধ খাওয়ার ফলে যদি পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয় তাহলে আপনি কি কি সমস্যা আপনার শরীরে উপলব্ধি করতে পারবেন সে সম্পর্কেও আমরা ধারণা দেবো। আমাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে জনসাধারণের মাঝে জনসচেতনতা করছে ঔষধ সম্পর্কে এবং ঔষধের খারাপ দিকগুলো সম্পর্কে। বিশেষ করে ওষুধ অতিরিক্ত খাবার ফলে আমাদের শরীরে যে খারাপ অবস্থা তৈরি হচ্ছে সেগুলো আস্তে আস্তে সচেতনতার মাধ্যমে সকলের মাঝে পৌঁছে দিতে হবে এতে করে আমরা ওষুধ থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করব। আমরা চেষ্টা করব যেন ওষুধ ছাড়া কিভাবে সুস্থ থাকা যায় সে বিষয়ে আর এইভাবে একটি সুস্থ জাতি গড়ে উঠবে।
ডমপেরিডন ১০ মিলিগ্রাম ঔষধ এর সঠিক কার্যকারিতা
সাধারণত এই ওষুধটি এমন কিছু রোগীদের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা হয় যে রোগীগুলো বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পেটের সমস্যায় কষ্ট পায়। পেটের সমস্যার ধারন আছে কিন্তু প্রায় প্রত্যেকটি পেটের সমস্যার বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে। ঠিক যেমন আপনি মনে করুন আপনার পেটে অতিরিক্ত গ্যাস মনে হচ্ছে অথবা পেট ফুলে আছে বা ফেপে আছে। অনেক রোগীদের ক্ষেত্রে প্রচুর ক্ষুধা অনুভব হয় কিন্তু সে যখন খেতে বসে তখন অল্প খেয়েই তার পেট পুড়ে যায় এমন সমস্যা ও সৃষ্টি হতে পারে। এছাড়াও খাবার পরে পেট ভারী ভারী ভাব অর্থাৎ হজম হতে দেরি হলে এই ধরনের রোগের ক্ষেত্রে ডাক্তার ডমপেরিডন ১০ মিলিগ্রাম নির্দেশন করতে পারে। এছাড়াও এর বাইরে আরো বহু কাজ আছে যেগুলো ডমপেরিডন ১০ করতে পারে।
আলসার বিহীন অঝির্নরোগ এর জন্য ডমপেরিডন ১০ নির্দেশক হতে পারে। বমি বমি ভাব এছাড়াও বমি প্রতিরোধেও ডমপেরিডন ১০ ওষুধটি ব্যবহার হয়। অনেকের ক্ষেত্রে পাকস্থলী থেকে খাবার উপরে উঠে আসার প্রবণতাও দেখা যায় তাদের ক্ষেত্রেও এই দম্পতি অনেকভাবে ব্যবহার করা যায়। আশা করছি আপনারা এই ওষুধটির কার্যকারিতা গুলো সম্পর্কে সঠিক ধারণা পেয়েছেন এখন অবশ্যই এই ওষুধের কার্যকারিতা নিয়ে কোন প্রশ্ন আপনাদের মনে থাকবে না এবং কোন ভুল সিদ্ধান্ত আপনারা গ্রহণ করবেন না।
ডমপেরিডন ১০ মিলিগ্রাম ঔষধ খাওয়ার নিয়ম
যদি প্রয়োগ মাত্রার কথা বলা হয় তাহলে প্রাপ্তবয়স্ক মানুষদের ক্ষেত্রে প্রতি ছয় থেকে আট ঘণ্টা পরপর ডমপেরিডন ১০ মিলিগ্রাম থেকে বিশ মিলিগ্রাম পর্যন্ত দেওয়া যেতে পারে। যদি সেই হিসাব করা হয় তাহলে ৪৫ ঘন্টা পর পর আপনি যদি ২০ মিলিগ্রাম করে একজন সুস্থ বয়স্ক মানুষকে ওষুধ খেতে বলেন তাহলে তারে দিনে সর্বোচ্চ মাত্রা হচ্ছে 80 মিলিগ্রাম। এর বেশি ওষুধ কোনভাবেই তাকে দেওয়া যাবে না এবং প্রত্যেক ক্ষেত্রেই ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোন ঔষধই তাকে দেওয়া যাবে না।
যে সকল শিশুদের বমি হয় অথবা খাবার পেটে যাওয়ার পরে সেটা হজম হতে দেরি হয় এছাড়াও খাবার খাওয়ার পরে পাকস্থলী থেকে অটোমেটিক্যালি খাবার উপরে উঠে আসে তাদের জন্য দম পেরিজন ব্যবহার করা যায়। দুই থেকে চার মিলি প্রতি 10 কিলোগ্রাম ওজনের উপর নির্ভর করে প্রত্যেকটি শিশুকে দেওয়া হয়। তাই অবশ্যই আপনারা একটু সতর্কতার সঙ্গে নিজের শিশুকে এই ঔষুধগুলো দেওয়ার চেষ্টা করবেন যাতে করে নিজের শিশুকে খারাপ ঔষধের পাল্লায় না করতে হয়।