আমরা এখানে আজকে কথা বলতে চাচ্ছি ঔষধ তৈরি যে মূল উপাদান সেটা নিয়ে। ডক্সিসাইক্লিন হাইড্রোক্লোরাইড এমন একটি উপাদান যার মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের ঔষধ তৈরি করা হয়। সাধারণত ডক্সিসাইক্লিন টেস্টোসাইক্লিন গোত্রের একটি অ্যান্টিবায়োটিক এবং এটা ওই গোত্রের উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন বিস্তৃত বর্ণালীর একটি এন্টিবায়োটিক। যেটা মানব শরীরের বিভিন্ন ধরনের রোগ নিরাময় এর ক্ষেত্রে অত্যন্ত কার্যকরী একটি ঔষধ।
ডক্সিসাইকেল মূলত গ্রাম পজেটিভ এবং গ্রাম নেগেটিভ এই ধরনের জিনিসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে অত্যন্ত কার্যকরী। এছাড়া অনেক ক্ষেত্রে গনোরিয়া ও সিফিলিস এর চিকিৎসার জন্য ডক্সিসাইক্লিন ব্যবহার করা হয়। ডক্সিসাইকে মূলত ব্যবহার করা হয় ক্রিয়ার মূল ধরন এবং ব্যাকটেরিয়ার কোষের ভিতরে প্রোটিন সিন্থেসিস বন্ধ করে দেয়ার কাজে যার মাধ্যমে অনেক রোগী সুস্থ হতে পারে। ডক্সিসাইক্লিন এর সঠিক কার্যকারিতা সম্পর্কে জানতে আমাদের সম্পূর্ণ আর্টিকেল এর সঙ্গে থাকুন।
ডক্সিসাইক্লিন ১০০ মিলিগ্রাম এর সঠিক কার্যকারিতা কি
যেই ক্যাপসুলগুলোতে সাধারণত ডক্সিসাইক্লিন হাইড্রোক্লোরাইড ১০০ মিলিগ্রাম ব্যবহার করা হয় সেগুলোই ডক্সিসাইক্লিন ঔষধ। বিভিন্ন কোম্পানি মোরগ পরিবর্তন করে এবং নাম পরিবর্তন করে ঠিক একই ঔষধকে বাজারজাতকরণ করছে তাই এই বিষয়টি বুঝে ওঠা আপনাদের পক্ষে অনেক কষ্টসাধ্য হয়ে যায়। তবে ঔষধের মূল নামের দিকে নজর না দিয়ে আপনারা যদি ওষুধের গ্রুপটার দিকে নজর দেন তাহলেই বুঝতে পারবেন কোনটা ডক্সিসাইক্লিন গ্রুপের ঔষধ। চলুন ডক্সিসাইক্লিন ১০০ মিলিগ্রাম ঔষধ এর সঠিক কার্যকারিতা জানি।
সাধারণত ডক্সিসাইক্লিন ১০০ হাইড্রোক্লোরাইড ব্যবহার করা হয় যে সকল রোগীদের ক্ষেত্রে তাদের শরীরে উপসর্গ বলতে নিউমোনিয়া উপসর্গ দেখা দিতে পারে। এর পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের ইনফ্লুএনজা এবং সাইনোসাইটিস এই ধরনের রোগ দেখা দিতে পারে তখন ডক্সিসাইক্লিন ১০০ ব্যবহার করা হয় রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য। এছাড়াও টনসিলাইটিস বা এই ধরনের রোগ সহজ ভাষায় বলতে গেলে ফুসফুস জনিত যে ধরনের সমস্যা একজন মানুষের শরীরে হতে পারে প্রত্যেকটি সমস্যার বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে ডক্সিসাইক্লিন ১০০ মিলিগ্রাম ক্যাপসুল।
এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের গ্যাস্ট্রো ইনফেকশনের কারণে যদি কোন সমস্যা হয় তাহলে তখন ব্যবহার করা হয় ডক্সিসাইক্লিন ১০০ মিলিগ্রাম ক্যাপসুল। সাধারণত কলেরা এছাড়াও ট্রাভেলার্স ডায়রিয়া সিজলা ডিসেন্ট্রি এই ধরনের সমস্যার বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য ডাক্তার একজন রোগীকে এই ওষুধটি নির্দেশ করে। সাধারণত রোগের শরীরে যদি এই ধরনের রোগের উপসর্গ দেখা দেয় তাহলে সেটা সম্ভব।
এছাড়াও সেক্সচুয়ালি ট্রান্সমিটেড ডিজিজের জন্য ব্যবহার করা হয় এই ঔষধ। এই ধরনের রোগ এর বর্তমানে প্রচুর ধরণ দেখা যাচ্ছে এবং প্রত্যেকটি ধরণের অত্যন্ত সাংঘাতিক। তাই এই ধরনের সমস্যার বিরুদ্ধে লড়াই করতে হলে যে কোন ডাক্তার যে কোন রোগীকে ডক্সিসাইক্লিন ১০০ মিলিগ্রাম ক্যাপসুল নির্দেশ করতে পারে। এছাড়াও আরো প্রায় ৫০ টি রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে ডক্সিসাইক্লিন ১০০ মিলিগ্রাম ক্যাপসুল ব্যবহার করা হয়।
ডক্সিসাইক্লেন ১০০ মিলিগ্রাম ক্যাপসুল এর সঠিক খাবার নিয়ম
এই রোগের সাধারণ ডোজ এর কথা বলতে গেলে সবার প্রথমে বলতে হয় প্রথম দিনে ২০০ মিলিগ্রাম একজন রোগী ব্যবহার করতে পারবে এরপরে প্রতিদিন ১০০ মিলিগ্রাম করে ব্যবহার করতে পারবে। এই ওষুধ সর্বোচ্চ ৭-১০ দিন পর্যন্ত ব্যবহার করা যেতে পারে। তাই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী 10 থেকে ৭ দিনের জন্য কি পরিমাণ ওষুধ খেতে হবে সেটা আপনি ঠিক করে রাখুন।
অনেকের ক্ষেত্রে গুরুতর সংক্রমণ হতে পারে এবং গুরুতর সংক্রমণের ক্ষেত্রে ১০ দিনের জন্য প্রতিদিন ২০০ মিলিগ্রাম করে ওষুধ খাওয়া যেতে পারে এছাড়াও যাদের ব্রণের সমস্যা আছে তাদের জন্য প্রতিদিন ১০০ মিলিগ্রাম করে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী এই ঔষধ খাওয়া যাবে। ঔষধ খাওয়ার ক্ষেত্রে আপনাদের সকলকেই যথেষ্ট সতর্ক হতে হবে এতে করে ওষুধ ছাড়া আপনার শরীর সুস্থ থাকার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারবে।