সাধারণত এমন কিছু সমস্যা বর্তমানে দেখা যাচ্ছে যে সমস্যাগুলো সমাধান করা চিকিৎসা বিজ্ঞানের পক্ষে অনেক কষ্টসাধ্য ব্যাপার হয়ে যাচ্ছে। আপনি যদি ২০ থেকে ৩০ বছর আগের কথা চিন্তা করেন সেই সময়কার মহিলাদের মধ্যে এই ধরনের রোগ ছিল অনেক কম কিন্তু বর্তমানে পরিবেশের পরিবর্তন এবং বিভিন্ন পরিবর্তনের কারণে মহিলাদের মধ্যে এই ধরনের সমস্যা বেশি হচ্ছে। আজকে আমরা কথা বলব সিস্ট জাতীয় রোগে যারা আক্রান্ত হয়েছেন বাচ্চা নেওয়ার ক্ষেত্রে তাদের কি কি সমস্যা হতে পারে বা তারা বাচ্চা নিতে পারবেন কিনা।
অবশ্যই সিস্ট থাকলে বাচ্চা নেওয়া যায় এটা একেবারেই সত্য ঘটনা। তবে এই বাচ্চা নেওয়ার পথে সিস্ট হচ্ছে সবথেকে বড় বাঁধা তাই আপনাকে এই সিস্টকে জয় করে বাচ্চা নিতে হবে এবং এই সিস্ট এর এমন কিছু চিকিৎসা আছে যার সমাধান কেবলমাত্র বাচ্চা নেওয়ার মাধ্যমেই হয়ে থাকে। আমরা বিষয়টি আপনাদের বিস্তারিত ভাবে বোঝাতে চাচ্ছি যেমন মনে করুন কোন একটি মেয়ের হঠাৎ করে জরায়ুতে সিস্ট অথবা ওভারিতে সিস্ট হয়েছে।
এটা এমন সময় ধরা পড়েছে যে সেই সময় সেই মেয়েটি বাচ্চা নেওয়ার জন্য প্রস্তুত ছিল না বা তার পরিকল্পনাতে সেই সময় বাচ্চা নেওয়ার কোন পরিকল্পনা ছিল না। কিন্তু এই পর্যায়ে এমন অবস্থাতে গিয়েছে যেখানে অপারেশনের প্রয়োজন রয়েছে। তখন একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসক কি বলবেন জানেন?? তিনি অবশ্যই সেই রোগীকে বাচ্চা নেওয়ার পরামর্শ নেবেন যদি অবশ্যই সেই রোগী বিবাহিত হয় তাহলে । যদিও এই সময় বাচ্চা নেওয়া অনেক অনিশ্চিত হয়ে যায় তারপরেও চেষ্টা করলে বেশিরভাগ মেয়েদের ক্ষেত্রেই বাচ্চা ধারণ সম্ভব।
এই জিনিসটার ভালো দিক হচ্ছে এই সময় যদি কেউ গর্ভবতী হতে পারে তাহলে বাচ্চা প্রসব হবার সময়ে অনেক ক্ষেত্রে সিস্ট এমনিতেই গলে যেতে পারে। অনেকের ক্ষেত্রে এই অপারেশন যেটা করার প্রয়োজন ছিল সেই অপারেশন বাচ্চা হওয়ার সিজারিয়ান অপারেশনের সঙ্গেই করা হয়ে যায় তাই আলাদাভাবে কোন অপারেশন করার প্রয়োজন পড়ে না। কিন্তু এই অপারেশন যদি প্রথম দিকে করা হতো তাহলে এমনিতে তার একটি এক্সট্রা অপারেশন হতো এর পাশাপাশি পরবর্তীতে গর্ভধারণ হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কমে যেত। এ সকল দিক বিবেচনা করেই মূলত একজন ভালো চিকিৎসক তাকে এই পরামর্শ দিতে পারেন।
ওভারি সিস্ট দূর করার ঘরোয়া উপায়
ওভারিয়ান সিস্ট অত্যন্ত সাংঘাতিক একটি সৃষ্টি তবে ওভারিয়ান সৃষ্ট দূর করার কিছু নিয়ম আছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ওভারিয়ান সিস্ট হয়ে থাকে মাল্টিপল সিস্ট এই সৃষ্টিগুলো সাধারণত কিছু ঘরোয়া নিয়ম মানলেই দূর হয়ে যায়। যাদের এই সিস্ট এর কারণে মাসিকের সমস্যা হচ্ছে তাদের ক্ষেত্রে কিছু পিল নিয়মিত খাওয়ার ফলে যখন মাসিক একেবারে ক্লিয়ার হয়ে যায় তখন দেখবেন এই সিস্ট একেবারেই ভালো হয়ে গেছে। এছাড়াও আপনারা চাইলে কিছু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন।
যারা বিবাহিত আছেন তাদের ক্ষেত্রে যদি ওষুধ সেবনের মাধ্যমে সৃষ্টি ভালো না হয় তাহলে এই সিস্টেম ভালো করার শেষ উপায় হচ্ছে বাচ্চা গ্রহণ করা। এ অবস্থাতে যদি সে গর্ভবতী হতে পারে এবং সুস্থ ভাবে যদি তার সন্তান প্রসব হয় তাহলে সেই সন্তান প্রসব হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সেই সিস্ট অপসারণ বা এমনি এমনি বেরিয়ে যেতে পারে।
সিস্ট হলে কি খাওয়া উচিত
একজন মেয়ের যদি সিস্ট হয় তাহলে কোন খাবার বেধিনিষেধ আছে কিনা এটা অনেকে জানতে চান। আমি যতটুকু জানি এই অবস্থাতে কোন ধরনের খাবার এর প্রতি বিধি নিষেধ নেই তবে তেল চর্বি জাতীয় খাবার একটু খেয়ে কম খেতে বলা হয়। এ জাতীয় খাবার এমনিতেই সবার পক্ষেই খারাপ জিনিস তাই নরমালি এটা না খেলেই ভাল হয় এই অবস্থাতে। এছাড়া অন্য কোন বিধির নিষেধ নেই বলে আমি মনে করি।