শরীর এর বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যেতে শুরু করে। বিশেষ করে আমরা যখন অতি ব্যস্ত হয়ে যায় তখন আমাদের শরীরের প্রতি নজর রাখার সময় আমাদের থাকে না। ঠিক তখনই আমাদের বিভিন্ন ধরনের ঔষধ সেবনের প্রয়োজন পড়ে। আজকে যে ওষুধের কথা আমরা বলতে চলেছি সেটা হচ্ছে এক ধরনের এমন ওষুধ যেটা সাধারণত পেটের নানাবিধ সমস্যার জন্য বেশি কার্যকরী।
তবে যদি শুধু বলা হয় পেটের নানাবিধ সমস্যার জন্য বেশি কার্যকরী এই ঔষধ তাহলে হয়তো ভুল হবে তার কারণ হচ্ছে এই ঔষধ ১ এর অধিক কাজ করতে পারে। তাই অবশ্যই আপনাকে এই ওষুধের সঠিক গুনাগুন সম্পর্কে সঠিক তথ্য সংগ্রহ করতে হবে। চলুন আজকে জানার চেষ্টা করি এমোডিস ট্যাবলেট এর সঠিক কার্যকারিতা যেখানে উৎপাদনের জন্য ব্যবহার করা হয়েছে মেট্রোনিডাজল। আশা করছি আপনি সঠিক তথ্য সংগ্রহ করতে পেরেছেন।
এমোডিস ট্যাবলেট এর সঠিক কার্যকারিতা কি
স্কয়ার ফার্মাসিটিক্যালস লিমিটেড তৈরি করেছে এমোডিস ট্যাবলেট। মেট্রোনিডাজল গ্রুপের ঔষধের নাম তারা এমোডিস দিয়েছে। এমোডিস ট্যাবলেট শুধুমাত্র ট্যাবলেট ফর্মেশন এ পাওয়া যায় এমন নয় আমাদের স্ট্যাবলেট আইভি ফর্মেশনও পাওয়া যায়। এছাড়াও এই ট্যাবলেট ২০০ মিলিগ্রাম থেকে ৪০০ মিলিগ্রাম এবং ৫০০ মিলিগ্রাম পর্যন্ত হতে পারে। সব মিলিয়ে এই ট্যাবলেট মানবদেহে অত্যন্ত কার্যকরী একটি ঔষধ। বিভিন্নভাবে আমাদের ট্যাবলেট এর কার্যকর্তা সম্পর্কে জানা যায়।
সহজ ভাষায় যদি বলতে যায় তাহলে এনারবিক ব্যাকটেরিয়াজনিত অস্ত্র পাচারের পরবর্তী সংক্রমণ প্রতিরোধে এমোডিস ট্যাবলেট ব্যবহার করা হয়। এই ধরনের সমস্যার সমাধানের জন্য ডাক্তারের সাধারণত এমোডিস ট্যাবলেট রোগীকে নিয়মিত খেতে বলেন।সাধারণত এনরোপিক জীবাণু দ্বারা সংক্রমিত বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সমাধানের জন্য এমওডিস ট্যাবলেট ব্যবহার করা হয়।
শুধুমাত্র যে দেহের ভেতরে জীবাণু ধ্বংস করার জন্য এই ঔষধ ব্যবহার করা হয় এমন নয় দেহের বাইরেও বিভিন্ন জায়গায় ক্ষতস্থান সংক্রমণ কমাতে এই ঔষধ ব্যবহার করা হয়। এনারবিক জীবাণু জনিত দাঁতের তীব্র সংক্রমণ অর্থাৎ এই জীবাণুর কারণে দাঁতে যদি কোন ক্ষত তৈরি হয় বা দাঁতের গোড়ায় যদি কোন ধরনের ইনফেকশন হয় তাহলে আমাদের ট্যাবলেট রেফার করতে পারেন ডাক্তার। এছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারজনিত বিভিন্ন ধরনের সমস্যার কারণে সাধারণত এমোডিস ট্যাবলেট ব্যবহার করা হয়। যাদের অ্যান্টিবায়োটিকের সমস্যা আছে তাদের ক্ষেত্রে এই ওষুধ ব্যবহার করা হয়।
এর খাওয়ার পরিমাপ
সাধারণত ১০ বছরের ওপরে প্রাপ্তবয়স্ক রোগীদের ক্ষেত্রে যদি উপরের উল্লেখিত সমস্যাগুলো হয়ে থাকে অথবা উপরে উল্লেখিত সমস্যার লক্ষণগুলো শরীরে পাওয়া যায় তাহলে ২০০ মিলিগ্রাম করে ৩বার বা ৪০০ মিলিগ্রাম করে ২বার খাওয়া যেতে পারে। সর্বোচ্চ ৭দিন পর্যন্ত এইভাবে ঔষধ খাওয়া যাবে।
অনেকের ক্ষেত্রে দেখা যায় যে গুরুতর চিকিৎসার জন্য ৮০০ মিলিগ্রাম করে প্রতিদিন সকালে ও প্রতিদিন রাতে এই ওষুধ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এই চিকিৎসার সময় শুধুমাত্র ২দিন। এছাড়াও যাদের বয়স অনেক কম অর্থাৎ ৭ থেকে ১০ বছরের মধ্যে তাদের ১০০ মিলিগ্রাম করে দিনে ৩বার খাওয়ানো যাবে। যাদের বয়স ৩ থেকে ৭ বছরের মধ্যে আছে তাদের খাওয়ানো যাবে ১০০ মিলিগ্রাম করে দিনে ২বার। এছাড়াও যারা এর থেকে ছোট তাদের জন্য অর্থাৎ এক থেকে ৩ বছর বয়সী শিশুর রোগীদের জন্য ৫০ মিলিগ্রাম করে ৩বার। শিশুদের ক্ষেত্রে অবশ্যই ওষুধ ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে ।
এই ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে বলতে গেলে সাধারণত বড় কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা যায় না। সাধারণ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া গুলো যেমন বমি বমি ভাব অথবা বমি হওয়া এছাড়াও ডায়রিয়া মাঝেমধ্যে চুলকানি দেখা দিতে পারে তবে যেটাই হোক না কেন আপনি যদি এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া বুঝতে পারেন তাহলে ঔষধ খাওয়া বন্ধ করে দিবেন। এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।