আজকে এমন একটি ট্যাবলেট নিয়ে কথা বলব যে ট্যাবলেটটি প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এর পাশাপাশি শিশুদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সবার প্রথমে আমরা ট্যাবলেট সম্পর্কে পরিচিতি গ্রহণ করি যেখানে এই ট্যাবলেট তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছে প্রোপানাল হাইড্রোক্লোরাইড। এই ট্যাবলেট এর দাম অনেক কম যেটা আমরা সবার শেষে জানতে পারবো। বিভিন্ন ধরনের মানসিক সমস্যা এবং বিভিন্ন ধরনের ব্রেনের সমস্যা বর্তমানে আস্তে আস্তে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এখানে আধুনিক সভ্যতা কিছুটা হলেও এর পেছনে কলকাঠি নাড়াচ্ছে।
কি মনে করুন মাইগ্রেনের সমস্যা এক দশক আগেও যে পরিমাণে ছিল তার প্রায় ডবল হয়ে গেছে এক দশক পরে। এই ধরনের জটিল ব্রেনের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সমাধানে এই ঔষধ অত্যন্ত কার্যকরী তাই আজকে আমরা এই ওষুধে সঠিক কার্যকারিতা এবং এর সঠিক সেবন মাত্রা সম্পর্কে জানব। আশা করছি শেষ পর্যন্ত থাকলে আপনারা এই ওষুধ সম্পর্কে ভালো একটি ধারণা সংগ্রহ করতে পারবেন এবং নিজে এই ওষুধের সঠিক ব্যবহার করা শিখবেন।
প্রোপানল ট্যাবলেট এর কার্যকারিতা
সাধারণত প্রত্যেকটি ট্যাবলেট রয়েছে আলাদা আলাদা কার্যকারিতা এবং এই ওষুধের আলাদা কিছু এমন রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করার সক্ষমতা আছে যেগুলো আমাদের জন্য অত্যন্ত সাংঘাতিক রোগ। উচ্চ রক্তচাপ অত্যন্ত গুরুতর সমস্যা এবং এই উচ্চ রক্তচাপের প্রাথমিক পর্যায়ে সবথেকে বেশি ব্যবহার করা হয় এই ঔষধ। এর পাশাপাশি যাদের হৃদ যন্ত্রের অস্বাভাবিক স্পন্দন রয়েছে সেই জিনিসটা যদি একজন ডাক্তার উপলব্ধি করতে পারে তাহলে দেরি না করে রোগীকে অবশ্যই প্রোপানল ট্যাবলেট খাওয়ার পরামর্শ দিবেন। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় বলতে গেলে এনজিনা পেক্টরিস নামক যে সমস্যা বা যে রোগ আছে সে রোগের নিরাময়ের জন্য এই ঔষধ ব্যবহার করা হয়।
এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের উদ্বিগ্নতা দূরীকরণ করতে বিভিন্ন ধরনের মানসিক সমস্যা সমাধানে এই ঔষধটি অত্যন্ত কার্য করে। আরেকটি বড় সমস্যা যেটা আস্তে আস্তে গণহারে হচ্ছে সেটা হচ্ছে মাইগ্রেনের সমস্যা এবং এই মাইগ্রেনের সমস্যা সমাধানে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এই ট্যাবলেট। আপনার যদি এরকম কোন ধরনের সমস্যা হয় তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের কাছে গিয়ে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সঠিক মাত্রায় নিয়মিত ওষুধ খেলে অবশ্যই সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকবে।
প্রোপানল ট্যাবলেট খাওয়ার সঠিক মাত্রা
এটা বিভিন্ন রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে এবং বিভিন্ন রোগের ক্ষেত্রে এটা বিভিন্ন মাথায় খাওয়ানো হয়। যদি আমরা মাইগ্রেনের সমস্যার কথা বলি তাহলে এখানে মাইক্রোনের সমস্যা প্রতিরোধে দিনে ৪০ মিলিগ্রাম করে দুইবার একজন রোগীকে এই ঔষধ প্রাথমিকভাবে খাওয়ানো হয়। যদি সমস্যা গুরুতর হয় তাহলে দিনে সর্বোচ্চ ১৬০ থেকে ১৮০ মিলিগ্রাম পর্যন্ত খাওয়ানো যেতে পারে
এনজিনা পেক্টরিস নামক সমস্যার জন্য যাদের এই ওষুধ খাওয়ানো হয় তাদের দিনে ৪০ মিলিগ্রাম করে দুই থেকে তিনবার খাওয়ানো যেতে পারে। এক্ষেত্রে প্রতিদিন এর সর্বোচ্চ মাত্রা হবে ১২০ মিলিগ্রাম থেকে 140 মিলিগ্রাম যেটা ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী আপনাকে নির্ধারণ করে নিতে হবে।
প্রোপানল এর দাম ও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
এই ট্যাবলেটের দাম খুবই কম অর্থাৎ আপনি যদি ১০ পিসের এক পাতা ক্রয় করতে চান তাহলে আপনাকে খরচ করতে হবে 5.10 টাকা। এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে এবং আপনি যদি সর্বোচ্চ পরিমাণে ওষুধ খান তাহলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা আপনার শরীরে দেখা দেবে। বমি বমি ভাব থেকে বমি হওয়া থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের অবসন্নতা এবং অনিদ্রায় ভুগতে পারেন। এছাড়া অনেকের ক্ষেত্রে পা ঠান্ডা হওয়ার মতন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে।
এছাড়াও আমরা যতটুকু জানতে পেরেছি একজন রোগীর ক্ষেত্রে প্রতিদিন ৮০ মিলিগ্রাম করে সর্বোচ্চ দিনে দুইবার এবং যাদের এই উচ্চ রক্তচাপ আছে তাদের সর্বোচ্চ ১২০ মিলিগ্রাম থেকে ১৪০ মিলিগ্রাম প্রতিদিন খাওয়ানো যেতে পারে। তবে সব ক্ষেত্রে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে এবং ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া এই ওষুধ খাওয়ার জন্য সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা যাবে না।শিশুদের ক্ষেত্রে অবশ্যই ডাক্তারের কাছে গিয়ে তারপর সমস্যা চিহ্নিত করার পরেই এই ওষুধ খাওয়ানো যাবে।