ভিটামিন D-3 এর কাজ কি Vitamin D3

আমরা সকলে অবগত আছি যে আমাদের শরীরের শক্তির প্রধান উৎস হচ্ছে এই ভিটামিন। এখন যদি কেউ ভিটামিনের প্রকার সম্পর্কে জানতে চায় তাহলে সেই কথা এখানে আলোচনা করা যাবে না। তবে মানব শরীরের জন্য এমন কিছু ভিটামিন আছে যেগুলো সবথেকে অপরিহার্য উপাদান। সে ভিটামিনের মধ্য থেকে আজকে আমরা ভিটামিন D-3 নিয়ে আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করব। অবশ্যই কোন ভাবে আপনারা এই ভিটামিন কে অবহেলা করতে পারেন না তার কারণ হচ্ছে এই ভিটামিন মানব শরীরের জন্য অত্যন্ত কার্যকরী।

ভিটামিন ডিথ্রি মানব শরীরের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ সে সম্পর্কে আজকে আমরা আলোচনা করব। এবং আপনি কিভাবে এই ভিটামিন D-3 গ্রহণ করতে পারেন এবং গ্রহণ করার ক্ষেত্রে কতটুকু খাওয়া যাবে তার সঠিক দিক নির্দেশনা থাকবে আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে। তাই অবশ্যই আপনাদের অনুরোধ জানাচ্ছি সম্পূর্ণ আর্টিকেল জুড়ে আমাদের সঙ্গে থাকতে এবং জানার চেষ্টা করতে ভিটামিন D-3 এর সঠিক কাজ কি।

মানব শরীরের জন্য ভিটামিন D-3 কি কাজ করে

ভিটামিনের কার্যকারিতা বলে শেষ করা যাবে না আমরা তাহলে চলুন শুরু করি একেবারে মাতৃগর্ভে থাকা অবস্থা থেকে এটা মানুষের শরীরে কি উপকার করে সেটা নিয়ে। মাতৃগর্ভে যে সন্তান থাকে সেই সন্তান এর হাড়ের গঠন এবং হার মোটাতাজাকরণের ক্ষেত্রে ভিটামিন D-3 সব থেকে বড় ভূমিকা রাখে। শুধুমাত্র মাতৃগর্ভে থাকা অবস্থায় এটা আপনার হারের বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে এমন নয় আপনি যতদিন জীবিত থাকবেন ততদিন পর্যন্ত এটা নিয়মিত আপনার হারের বৃদ্ধিতে আপনাকে সাহায্য করবে।

মানবদেহের ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রমণ যেই সাহসের সৃষ্টি করে সেই সমস্যার বিরুদ্ধে লড়াই করতে ভিটামিন D-3 অত্যন্ত কার্য করে। ফুসফুসের যে কোন ধরনের সমস্যা হলে সেই সমস্যার বিরুদ্ধে লড়াই করতে ভিটামিন D-3 অত্যন্ত কার্যকরী। সবথেকে অবাক করা কথা হল যে কোন ধরনের ক্যান্সার হতে পারে সেটা মেয়েদের স্পাউন ক্যান্সার অথবা মানব শরীরের ব্রেইন ক্যান্সার সকল ধরনের ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে ভিটামিন D-3 অত্যন্ত কার্যকরী।

এছাড়াও টাইপ 2 ডায়াবেটিস এর ক্ষেত্রে ইনসুলিন এর মাত্রা বাড়াতে আপনার শরীরকে সবথেকে বেশি সাহায্য করবে ভিটামিন D-3। তাই আপনারা যারা ভিটামিন D-3 অন্যান্য উৎস থেকে সংগ্রহ করতে চাচ্ছেন তাদেরকে বলব সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ভিটামিন D-3 এর কার্যকারিতা এই ছোট্ট আর্টিকেলে বলে শেষ করা যাবে না তবে এক কথায় আমরা বলতে চাই যে মানব শরীরের সকল ধরনের রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে এই ভিটামিন D-3 এর জুড়ি নেই।

ভিটামিন D-3 খাওয়ার সঠিক নিয়ম

আপনি যদি বাইরের কোন উৎস থেকে ভিটামিন দিয়েছিলে আপনার শরীরে মজু রাখতে চান তাহলে অবশ্যই বাজারে অ্যাভেলেবল ভালো ফার্মাসিটিক্যালস কোম্পানিগুলো র ঔষধ আপনি সেবন করতে পারেন যার মাধ্যমে ভিটামিন ডি থেকে আপনার শরীরে মজুদ থাকতে পারে। এই ক্ষেত্রে প্রতি সপ্তাহে ৪০ হাজার আয়ু সেবন করতে পারবে একজন মানুষ। একজন প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে চল্লিশ হাজার আয়ু ভিটামিন D-3 খাওয়ার নিয়ম রয়েছে এবং এটা চলবে সাত সপ্তাহ পর্যন্ত।

এছাড়া বিভিন্ন ধরনের থেরাপির ক্ষেত্রে ১৪০০ আয়ু থেকে শুরু করে 4000 আইন প্রতিদিন খাওয়া যেতে পারে। ভাই এক্ষেত্রে কোন ধরনের সমস্যায় পড়লে আপনি চাইলে একজন ভালো বিশেষজ্ঞ মেডিসিন ডাক্তারকে দেখাতে পারেন। সরাসরি ভিটামিন D-3 এর ঘাটতি পূরণের ক্ষেত্রে প্রতি চার সপ্তাহ পর পর আপনি 20 হাজার আয়ু ভিটামিন D-3 এবং করতে পারেন।

শিশুদের ক্ষেত্রে আপনি যদি ভিটামিন D-3 এর ঘাটতি পোড়ানোর জন্য এর বাহ্যিক উৎস থেকে তার শরীরে ভিটামিন D-3 দিতে চান তাহলে বিভিন্ন ধরনের ওষুধের মধ্য থেকে প্রতি দুই সপ্তাহে সর্বোচ্চ 20000 আয়ু অথবা প্রতি ৬সপ্তাহে সর্বোচ্চ 20000 আয়ু দিতে পারেন।