হাই প্রেসার সাধারণত অনেক বড় ধরনের একটি রোগ। কিন্তু অবাক করা ঘটনা হচ্ছে এই বড় ধরনের রোগকে আমরা অবহেলা করি যার কারণে আমাদের শরীরে বড় ধরনের সমস্যা তৈরি হয়। আজকে আমরা আপনাদের হাই পেশার সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করার জন্য কিছু ঔষধ সম্পর্কে জ্ঞান দেব। প্রেসারের ধরন এবং শারীরিক বিভিন্ন সক্ষমতা ও আরো বিভিন্ন সমস্যার উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন ধরনের রোগীদের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ঔষধ ব্যবহার করা হয়।
বিষয়টি এমন নয় যে অন্য ব্যক্তিকে যেই হাইপ্রেসারের ঔষধ দেওয়া হচ্ছে আপনাকেও ঠিক একই ওষুধ দেওয়া হবে। তার সঙ্গে যদি আপনার অন্যান্য সমস্যা মিলে যায় তাহলে হয়তো এক হতে পারে তবে যদি না মেলে তাহলে অবশ্যই অন্যান্য ওষুধ ব্যবহার করা হয়। হাই প্রেসার এর বেশ কয়েকটি ঔষধ আমাদের তালিকায় রয়েছে যে ঔষধ গুলোর বিভিন্নভাবে ব্যবহার করা হয় তবে আমরা শুধুমাত্র ওষুধের মূল গ্রুপের নাম আপনাদের সামনে তুলে ধরবো।
হাই প্রেসার হলে কোন কোন ঔষধ খেতে হয়
হাই প্রেসার হলে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে প্রাথমিক পর্যায়ে রোগীদের সবার প্রথম যে গ্রুপের ঔষধ দেওয়া হয় সেই ঔষধ বা গ্রুপের নাম হচ্ছে লোসার্টেন পটাশিয়াম। এই ওষুধটি অনেকের কাছেই পরিচিত এই ওষুধের বিভিন্ন মাত্রা বিভিন্ন রোগীদের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয় তাদের শারীরিক অবস্থা বিবেচনায়।
এর পাশাপাশি হাই প্রেসারের ক্ষেত্রে ম্যাটোপ্রোলন গ্রুপের ঔষধ ব্যবহার করা হয়। এটা এক ধরনের বিটা ব্লকের ঔষধ যা উচ্চ রক্তচাপের চিকিৎসায় সাহায্য করে এবং রোগীদের রিদ স্পন্দন কমাতে সাহায্য করে। মাথা ঘোরা কাশি ও ঘুমের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে এই ওষুধ তাই ওষুধ খাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্কতা এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অত্যন্ত জরুরি।
উচ্চ রক্তচাপের ক্ষেত্রে আরেকটি ঔষধ ব্যবহার করা হয় সেটা হচ্ছে লিসিনোপ্রিল। এই ঔষধ সাধারণত উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের জন্য ব্যবহার করা হয় তবে যাদের কিডনি ও লিভারের সমস্যা আছে তাদের ঔষধ গ্রহণ না করাই ভালো এবং চিকিৎসকেরা এই বিষয়টি অবশ্যই পর্যালোচনা করেন। এর পাশাপাশি এই ওষুধে যে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াগুলো রয়েছে যেমন মাথা ব্যথা এবং মাথা ঘোরানোর মতন সমস্যা হতে পারে।
ক্যালসিয়াম চ্যানেল ব্লোকার উপাদানের যে ওষুধগুলো ব্যবহার করা হয় সেই ওষুধগুলোর মধ্যে সাধারণত যে সমস্যা দেখা যায় সেটা হচ্ছে পায়ের পাতা ফুলে যাওয়া। নিম্ন পাপা পায়ের পাতা ফুলে যাওয়ার কারণে উচ্চ রক্তচাপে সৃষ্টি হলে ক্যালসিয়াম চ্যানেল ব্লকার ওষুধ ব্যবহার করা হয়। সাধারণত এটার মাধ্যমে সবকিছু নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
লো প্রেসারের ঔষধের নাম
লো প্রেসার স্বাভাবিকভাবে একটি বিরক্তি কর অভিজ্ঞতা। তবে এই লো প্রেসার কে যারা অবহেলা করেছেন তারা অনেক বড় বিপদে পড়েছেন এটা আপনি একটু খোঁজ নিয়ে দেখতে পারেন। লোকেশন নিয়ন্ত্রণ করার জন্য সবার প্রথমে যেটা প্রয়োজন সেটা হচ্ছে মানসিক শক্তি আপনি যদি সঠিকভাবে মানসিকভাবে প্রস্তুত না থাকেন তাহলে লো প্রেসার কে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না। লো প্রেসার এর ক্ষেত্রে সবথেকে বড় ঔষধ হচ্ছে পুষ্টিকর খাবার এবং প্রচুর পরিমাণে ফলমূল ও শাকসবজি খাওয়া।
আপনি আপনার খাদ্যের তালিকায় যত ভালো প্রোটিন এবং পুষ্টিকর শাকসবজি ও ফলমূল রাখতে পারবেন আপনার লো প্রেসার এমনিতেই নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। এছাড়াও লোকেশন নিয়ন্ত্রণ করার জন্য যে ওষুধগুলো ব্যবহার করা হয় সেই ওষুধগুলোর মধ্যে আয়রন এবং বিভিন্ন মাল্টিভিটামিন ওষুধ বেশি থাকে যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি শারীরিক গঠন ভালো রাখতে এবং শরীরের রক্তের ঘাটতি পূরণে ভূমিকা পালন করে। এই সমস্যাগুলোর সমাধান হলে এমনিতেই লো প্রেসার শরীর থেকে চলে যায় তবে ভালোভাবে চিকিৎসার জন্য একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে আপনাকে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে আপনি কি করতে চলেছেন।