আপনাদের সকলকে স্বাগতম জানাচ্ছি আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে যেখানে আপনারা জানতে পারবেন অমিডন ওষুধটি খাওয়ার ব্যবহারবিধি এবং ওষুধ খাওয়ার সম্পূর্ণ নিয়ম সম্পর্কে। আপনারা সকলে অবগত আছেন যে আমাদের এই ওয়েবসাইট সব সময় বিভিন্ন ঔষধ এবং বিভিন্ন চিকিৎসা রিলেটেড আর্টিকেল আপলোড করে। আজকেও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না।
আপনারা যারা আমাদের সঙ্গে আছেন তারা অবশ্যই সম্পূর্ণ আর্টিকেল জুড়ে আমাদের সঙ্গে থাকবেন। অমিডন গ্রুপের ঔষধ গুলো অত্যন্ত ভালো মানের হয়ে থাকে তাই অমিডন ঔষধটি নিয়মমাফিক খেলে অবশ্যই আপনি এর ফলাফল পাবেন। এই ওষুধ কতটুকু খেতে হবে এবং এই ওষুধ খেলে কি উপকার পাবেন এবং এই ঔষধের কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আছে কিনা তার বিস্তারিত তথ্য আমরা আজকে আপনাদের দেব।
অমিডন ঔষধ খাওয়ার নিয়ম
সাধারণত আহার গ্রহণের পূর্বে ১৫ থেকে ৩০ মিনিট পূর্বে দৈনিক তিন বেলা অমিডন ১০ ঔষধ খেতে হয় । এটা হচ্ছে ডমপিরিডন গ্রুপের একটি ঔষধ প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে এই নিয়ম মেনে ওষুধ খেতে হবে। এছাড়াও প্রাপ্তবয়স্করা দৈনিক এক অথবা দুইটি অমিডন ঔষধ খেতে পারে অথবা প্রতি 6 ঘন্টা অথবা প্রতি আট ঘণ্টা অন্তর অন্তর একটি করে অমিডন ঔষধ খেতে পারে।
তবে শিশুদের ক্ষেত্রে ১০ মিলিগ্রাম সাসপেনশন অথবা সিরাপ খেতে হতে পারে। এখানে ছয় থেকে আট ঘন্টা পর পর খেতে হবে। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী এই ওষুধটির সর্বোচ্চ ১২সপ্তাহ অর্থাৎ ৩ মাস আপনি কন্টিনিউ করতে পারেন এর বেশি আপনাকে এই ওষুধ কোন ডাক্তারি খেতে বলবে না। তবে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোনোভাবেই এই ওষুধ খাবেন না।
অমিডন কেন খায়
অমিডন ঔষধ হচ্ছে ডমপেরিডন গ্রুপের একটি ঔষধ। ডমপেরিডন ওষুধ কেন খায় বা এই ওষুধ খেলে কি কি উপকার আপনি পাবেন সেই সম্পর্কে এখন জানবো। মূলত গ্যাস্ট্রিক জনিত বিভিন্ন সমস্যা থেকে মুক্তি পাবার জন্য এই ওষুধটি আপনাকে সাহায্য করতে পারে। এছাড়াও যাদের বুক জ্বলার সমস্যা আছে এবং খাওয়ার অরুচি আছে এবং পেটে ব্যথা আছে এই ধরনের অসুখ প্রতিরোধ করতে ডাক্তার আপনাকে এই ওষুধ প্রেসক্রাইব করতে পারে।
এর পাশাপাশি যাদের বদহজম হয় অথবা হজমে সমস্যা আছে তাদের পরিপাক প্রক্রিয়া স্বাভাবিক রাখতে এই ঔষধ ব্যবহার করতে হবে। তবে প্রত্যেকটি ওষুধের মতো এই ওষুধের ও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে তাই ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোনভাবে আপনি এই ওষুধ সেবন করতে পারেন না।
অমিডন এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
ডমপেরিডন গ্রুপের ঔষধটি আপনি যদি অতিরিক্ত খেয়ে ফেলেন অথবা আপনি যদি কোন প্রয়োজন ছাড়া এই ওষুধটি নিয়মিত খান তাহলে হতে পারে এর পার্শ্ব প্রতিক্রি আপনার শরীরে দেখা দিতে পারে। এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হিসেবে বমি বমি ভাব কোষ্ঠকাঠিন্য এবং ক্ষুধামন্দা সহ বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে। এছাড়াও এর অতিরিক্ত ব্যবহারে বিভিন্ন স্থানে খতের সৃষ্টি হতে পারে তাই সবসময় সতর্ক থাকতে হবে এবং মাত্রা অতিরিক্ত এই ঔষধ কোনোভাবেই সেবন করা যাবে না।
অমিডন ঔষধ এর দাম কত
বর্তমান বাজারে আরও একবার ঔষধের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে সেটা আমরা সকলেই জানি। তাইতো সকলের মনে এই প্রশ্নটি থেকে যায় বর্তমানে বিভিন্ন ঔষধের দাম কত হয়েছে এবং আমরা সেই লক্ষ্যে আজকে এই অংশটুকু লিখতে চলেছে। অমিডন মূলত ইনসেপ্টা কোম্পানির একটি ঔষধ এবং ইনসেপটা ফার্মাসিটি কাজ অমিডন ১০ মিলিগ্রাম ট্যাবলেট বাজারজাতকরণ করে।
বর্তমানে এই ঔষধটির প্রতি পিসের মূল্য তিন টাকা। এর পাশাপাশি ২০ মিলিগ্রামের এই ঔষধ অ্যাভেলেবল রয়েছে যার বর্তমান বাজার মূল্য প্রতি পিস ৫ টাকা। সবসময় ওষুধ সম্পর্কে সতর্ক থাকবেন এবং ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোন ভাবে ওষুধ সেবন অথবা ওষুধ কেনা থেকে নিজেকে বিরত রাখবেন। আশা করছি আপনারা যে লক্ষ্য নিয়ে আমাদের এই আর্টিকেল পড়তে শুরু করেছিলেন সেই লক্ষ্য পূরণ হয়েছে।