ইমোটিল কেন খায় , ইমোটিল ঔষধ খাওয়ার নিয়ম

সাধারণত আপনি যখন বেশি অসুস্থ হয়ে যান তখন অবশ্যই চিন্তার শেষ থাকে না। এমন কিছু ছোট ছোট অসুখ আছে যে অসুখগুলো আপনাকে আস্তে আস্তে শেষ করে ফেলবে আপনি বুঝতে পারবেন না। তাই শরীরে কোন সমস্যাকেই ছোট ভাবা উচিত নয়। সব সময় ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চলার চেষ্টা করবেন এতে করে ওষুধের সঠিক ব্যবহার আপনার শরীরে হবে।

আজকে আমরা ইমোটিল ঔষধ নিয়ে আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করব এবং এই ওষুধটি কেন খেতে হয় এবং এই ওষুধ খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে খুঁটিনাটি জানতে আপনারা একেবারেই সঠিক জায়গাতে এসেছেন। ইমোটিল ঔষধ খাওয়ার বিস্তারিত তথ্য রয়েছে আমাদের কাছে তাই আপনারা দেরি না করে আমাদের এই আর্টিকেল পড়ে ফেলতে পারেন এবং জানতে পারেন এর খুঁটিনাটি সব তথ্য।

ইমোটিল ঔষধ খাওয়ার নিয়ম

মূলত এই ঔষধটি মেট্রোনিডাজল গ্রুপের একটি ঔষধ যে ওষুধটি আপনাকে সাহায্য করবে বিভিন্ন ধরনের ডায়রিয়া ডিসেন্ট্রি থেকে শরীরকে মুক্ত রাখতে। আজকে আমরা এই ওষুধ খাওয়ার সেবন বেদি সম্পর্কে জানার চেষ্টা করব। মাত্রা সেবন বিধি সম্পর্কে জানতে আপনার একেবারে সঠিক জায়গাতে এসেছেন।

এখানে বলা হয়েছে যে ২০০ মিলিগ্রাম করে তিনবার বা 400 মিলিগ্রাম করে দুইবার ব্যবহার করতে পারেন যাদের বয়স ১০ বছরের উপরে। এছাড়াও যাদের বয়স ১০ বছরের নিচে তাদের ক্ষেত্রে ৭.৫ মিলিগ্রাম করে দিনে তিনবার এই ওষুধ খেতে বলা হয় তবে এখানে একটি বিষয় লক্ষ্যনীয় যে এই ওষুধটি সঠিক মাত্রায় আপনাকে অবশ্যই সেবন করতে হবে এবং এই মাথা সে বলে আপনাকে সাহায্য করতে পারে আপনার ডাক্তার।

ইমোটেল ৪০০ কেন খাব

সাধারণত এই গ্রুপের ঔষধ গুলো কেন খেতে হয় সে সম্পর্কে অনেকেই অনেক ধরনের ভুল ধারণা বহন করেন। আমরা কিছু গুরুত্বপূর্ণ সমস্যার কথা উল্লেখ করছি যেই সমস্যাগুলো হলে আপনি এই ওষুধগুলো খেতে পারবেন। ব্যাকটেরিয়াল ভেজিনোসিসের জন্য এই ওষুধ ব্যবহার করা হয় এবং এন্টিবায়োটিক ব্যবহারজনিত বিভিন্ন সমস্যার কারণে এই ওষুধ ব্যবহার করা হয়। যাদের ডায়রিয়া অথবা পাতলা পায়খানা অতিরিক্ত হারে হয় তাদের জন্য অ্যান্টিবায়োটিক হিসাবে এই ওষুধটি ব্যবহার করা হয়।

আপনার হয়তো এখন এই ওষুধটি খুব ভালোভাবে চিনতে পেরেছেন এবং বুঝতে পেরেছেন। তবে অবশ্যই এই ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে সে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করুন। গর্ভ অবস্থায় এই ওষুধটি খাওয়া থেকে নিজেকে বিরত রাখুন এবং সবসময় ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন ছাড়া অথবা ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া এই ঔষধ খাওয়া বিরত থাকুন।

ইমোটিল ঔষধ এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

মূলত ইমোটিল ঔষধ এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে অনেক। নির্দিষ্ট পরিমাণ ওষুধ না খেয়ে যদি আপনি অতিরিক্ত ওষুধ খেয়ে ফেলেন তাহলে আপনার ক্ষুধা মন্দা হতে পারে এবং বমি বমি ভাব হতে পারে। শরীর অতিরিক্ত দুর্বল হয়ে যেতে পারে এবং আপনার পরিপাকতন্ত্র সঠিকভাবে কাজ বন্ধ করে দিতে পারে। সব মিলে প্রত্যেকটি ওষুধে রয়েছে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া তাই কোনভাবেই নিজেকে এই সকল পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার মধ্যে ফেলা চলবেনা এবং সবসময় সতর্ক থেকে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করতে হবে। এটাই হচ্ছে সঠিক পদ্ধতি ঔষধ সেবন করার।

ডায়রিয়া হলে কি ঔষধ খাবেন

ডায়রিয়া একটি কমন সমস্যা এবং এই ডায়রিয়া হলে শরীর থেকে অতিরিক্ত পানি বেরিয়ে যাওয়ার কারণে মানুষ যে কোন সময় ডিহাইড্রেশনে পড়তে পারে। এমন অনেক পাওয়া গেছে যারা ডায়ড়িয়াকে অবহেলা করে অতিরিক্ত অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তাই ডায়রিয়া হলে ঘরে বসে থাকলে চলবে না অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী আপনাকে ওষুধ খেতে হবে।

তবে এরকম যদি হয় যে ওই মুহূর্তে আপনার এমন পরিস্থিতি নেই যে একজন ডাক্তারের কাছে যাওয়ার তাহলে আপনি ডায়রিয়া হলে সবার প্রথমে যে এই জিনিসটি খেতে পারে সেটা হচ্ছে খাবার স্যালাইন। খাবার স্যালাইন এর পাশাপাশি অতিরিক্ত ডায়রিয়ার কারণে আপনি মেট্রোনিডাজল গ্রুপের যেকোন ঔষধ ব্যবহার করতে পারেন।