বিভিন্ন ধরনের ওষুধ বিভিন্ন ধরনের কাজ করে। একটি ঔষধের সঙ্গে অন্যে ওষুধের কাজকে আপনি কখনোই মিল করতে পারবেন না। সাধারণত এই পৃথিবীতে যে উপাদানগুলো পাওয়া যায় সেই উপাদানের মিশ্রণে মূলত ওষুধগুলো তৈরি করা হয়েছে। আদিমকালে মানুষ যেই উপাদানগুলো গাছগাছটা থেকে সংগ্রহ করত এবং প্রকৃতি থেকে সরাসরি সংগ্রহ করত।
কিন্তু প্রকৃতি থেকে সরাসরি এই ওষুধগুলো বা ওষুধের উপাদান গুলো সংগ্রহ করলে বিশেষ কিছু সমস্যা দেখা দেয়। প্রধানত সঠিক পরিমাণে এই উপাদানগুলো মানুষ সেবন করতে পারেনা এবং আলাদা আলাদা ভাবে উপাদানগুলো সেবন করতে পারেনা। এছাড়াও আরো অন্যান্য অনেক সমস্যা রয়েছে। তবে সৃষ্টিকর্তা আমাদের মাঝে এই বুদ্ধটুকু দিয়েছে যার মাধ্যমে আমরা ওষুধ তৈরি করতে পারি এবং রোগ নিরাময় চেষ্টা করতে পারি। আজকে আমরা তেমনি একটি ওষুধ নরিয়াম টেন এমজি নিয়ে আপনাদের সঙ্গে কথা বলব।
নরিয়াম খাওয়ার নিয়ম
মাত্রা সেবন বিধি সম্পর্কে বলতে গেলে সবার আগে আপনাদের একটি বিশেষ কথা বলতে চাই। প্রত্যেকটি ওষুধের রয়েছে পার্শ্ব প্রতিকরা এবং আপনি যদি কোন প্রয়োজন ছাড়া এই ওষুধগুলো অতিরিক্ত হাড়ে সেবন করেন তাহলে একদিন না একদিন এই পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আপনার শরীরে আরো বড় ক্ষতি করে বসবে। আর তার জন্য আপনাকে সঠিক মাত্রায় ওষুধ সেবন করতে হবে এবং এই কাজে সব থেকে বেশি সাহায্য করতে পারে আপনার ডাক্তার। তবে বয়স ভিত্তিক হারে কার কতটুকু ওষুধ খেতে হবে সে সম্পর্কে আমরা একটি দিকনির্দেশনা দিতে পারি।
শুরুর দিকে ৬৫ বছরের নিচে রোগীদের ক্ষেত্রে ১০ মিলিগ্রাম এবং ৬৫ বছরের উর্ধ্বে রোগীদের ক্ষেত্রে ৫ মিলিগ্রাম করে প্রতি রাতে দিতে হবে। যদি চিকিৎসক চলাকালীন এর কোন বার্ষিক প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় তাহলে অবশ্যই সেটা বন্ধ করে দিতে হবে। সর্বোচ্চ দুই মাস এই ওষুধ একজন রোগীকে খাওয়ানো যেতে পারে এবং সেটাতে কাজ না হলে এই ওষুধ বন্ধ করে দিতে হবে। এখানে উল্লেখযোগ্য যে যদি রোগীর সম্ভাবনা জনক প্রতিক্রিয়া দেখায় অর্থাৎ রোগীর সুস্থ হচ্ছে এমন মনে হয় তাহলে সর্বোচ্চ ছয় মাস পর্যন্ত এই চিকিৎসা আপনি চালাতে পারেন। যেখানে প্রতি ৫ দিন নির্ধারিত মাত্রা প্রয়োগের পর দুই দিন ওষুধ সেবন বন্ধ রাখতে হবে এবং পুনরায় এভাবে চালু করতে হবে এবং ৬ মাস অব্দি চলতে হবে।
নরিয়াম কেন খায়
মূলত এই ঔষধ মাথা ব্যথার কারণে আপনাকে দেওয়া হয় অর্থাৎ যেগুলো অতিরিক্ত মাইগ্রেনের সমস্যা সেই মাইগ্রেন প্রতিরোধে এই ঔষধ আপনাকে দেওয়া হয়ে থাকে। এছাড়াও যাদের ভ্রমণজনিত বিভিন্ন অসুস্থতা আছে অর্থাৎ এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় গেলে বমি বমি ভাব এবং মাথায় অতিরিক্ত ব্যথা ও শরীরে দুর্বলতা অনুভব হয় তাদের ক্ষেত্রে এই ওষুধ দেওয়া যেতে পারে। বিভিন্ন ধরনের পেরিফেরাল ভাসকুলার ডিজিজ এর জন্য ওষুধটি অত্যন্ত কার্যকরী।
নরিয়াম ঔষধ এর দাম
এটি এস কে এফ ফার্মাসিটিক্যালস কোম্পানির একটি ঔষধ। ফ্লুনারিজিন গ্রুপের এই ওষুধটি অত্যন্ত কার্যকরী। বর্তমানে বাজারে এই ওষুধের মূল্য ৭ টাকা অর্থাৎ আপনি যদি ১০ মিলিগ্রামের ঔষধ এক বক্স নিতে চান তাহলে সেখানে থাকবে ৬০ টি ঔষধ। ওই পুরো বক্সের দাম পড়বে ৪২০ টাকা। এছাড়াও শুধুমাত্র যে ১০ গ্রামের ঔষধ বাজারে অ্যাভেলেবল রয়েছে এমন নয় ৫ গ্রামের ওষুধটিও বাজারে এভেলেবল রয়েছে।
নরিয়াম এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
অবশ্যই প্রত্যেকটি ওষুধের যথেষ্ট পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে তবে এটা যদি আপনি সঠিক সময়ে সঠিকভাবে সেবন করেন তাহলে এই সমস্যা আপনাকে কোন ক্ষতি করতে পারবে না। পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার কথা বলতে গেলে বিষণ্নতা ক্লান্তি এবং ওজন হঠাৎ করে বেড়ে যাওয়া মুখের রুচি বৃদ্ধি পেতে পারে। এছাড়াও দেখা যায় যে অনেক সময় বুকে জ্বালাপোড়া করা বমি বমি ভাব ও ক্ষুধামান্দারও সৃষ্টি হতে পারে। এই ধরনের কারণগুলো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার কারণ হিসেবে আপনি নির্বাচন করতে পারেন।