রক্তে এলার্জি কেন হয়

সাধারণত রক্তে এলার্জি হওয়ার পেছনে কিছু কারণ আছে। বর্তমানে গবেষণা থেকে দেখা যাচ্ছে যে রক্তে এলার্জি হওয়ার পেছনে সবথেকে বড় কারণ হচ্ছে রক্ত দূষিত হওয়া। আমরা যতই ভেজাল খাবার খাব তত সেটা আমাদের শরীরের উপর খারাপ প্রভাব ফেলবে। আমারা খাবারের সঙ্গে যে ভেজাল খাবারগুলো খাই সেই খাবারের সঙ্গে যে ক্ষতিকারক পদার্থ গুলো আমাদের শরীরে প্রবেশ করে সেগুলো রক্তের মধ্যে ঢুকে যায় যার কারণে রক্ত আস্তে আস্তে দূষিত হয়ে যায়।

তাই আপনি যদি বলেন রক্তে এলার্জি হওয়ার কি কারণ আছে তাহলে সবার প্রথমে যে কারণ আছে সেটা হচ্ছে রক্ত দূষণ। তবে রক্ত দূষণের জন্য শুধুমাত্র খাবার কে দায়ী করলে হবে না এর জন্য রয়েছে কিছু বদ অভ্যাস এবং প্রাকৃতিক কারণ। যারা সাধারণত অতিরিক্ত ধূমপান করেন বা ধূমপান করেন এবং যারা নিয়মিত অ্যালকোহল সেবন করেন তাদের স্বাভাবিকভাবে রক্ত দূষিত পর্যায়ে থাকে।

প্রাকৃতিক পর্যায় গুলো যদি আমরা খেয়াল করি তাহলে প্রাকৃতিক পর্যায়ে যাদের রক্তের দূষণ সমস্যা আছে তারা দেখবেন অবশ্যই এমন জায়গার আশেপাশে বেশি থাকেন যেখানে প্রাকৃতিক দূষণ বেশি। বাতাসের মাধ্যমে অথবা পানির মাধ্যমে রক্ত দূষিত হতে পারে। সাধারণত এই কারণেই রক্ত দূষিত হয় এবং রক্ত দূষণ হওয়ার কারণে রক্তে অ্যালার্জি হয়।

রক্তে এলার্জির লক্ষণ

রক্তে এলার্জি হওয়ার প্রাথমিক যে লক্ষণ গুলো রয়েছে সেগুলোর মধ্যে হচ্ছে হঠাৎ করে চুলকানি। এগুলো বিশেষ করে এমন কিছু পরিবেশ বা এমন কিছু খাবার খাওয়ার পরে হয় যেগুলো আমরা একটু খেয়াল করলে বুঝতে পারবো। আপনি একটি খাবার খাচ্ছেন নিয়মিত এবং খেয়াল করছেন সেই খাবার খাওয়ার পরেই আপনার শরীরে চুলকানি তৈরি হচ্ছে তাহলে আপনি ধরে নিতে পারেন এটা এলার্জির প্রাথমিক লক্ষণ এবং সেই খাবার খাবার পরে আপনার এই লক্ষণ চালু হচ্ছে এবং এই খাবার আপনাকে খাওয়া যাবেনা।

এছাড়া বেশি ধুলাবালিযুক্ত জায়গাতে যখন আপনি যাচ্ছেন তখন দেখছেন আপনার শরীরের বিভিন্ন চুলকানি তৈরি হচ্ছে অথবা আপনার হঠাৎ করে হাঁচি বা শ্বাসকষ্ট তৈরি হচ্ছে এটাও হতে পারে এলার্জির একটি লক্ষণ। এ অবস্থাতে আপনি যখন ওই স্থান ত্যাগ করছেন তখন দেখছেন সবকিছু নরমালে চলে এসেছে তাই এগুলো হতে পারে এলার্জির আরো কিছু লক্ষণ।

আরেকটি বড় ধরনের সমস্যা যেটা অত্যন্ত জটিল সমস্যা হঠাৎ করে গোটা শরীরে চাকার মতো বের হয় এটা এলার্জির চরম একটি পর্যায়ে। এ অবস্থাতে বাড়িতে না থেকে দ্রুত হাসপাতালে যাওয়া উচিত এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী দ্রুত প্রাথমিক চিকিৎসা নেওয়া উচিত এটা অত্যন্ত জরুরি একটি বিষয়।

রক্তে এলার্জি হলে করণীয়

রাতে এলার্জি হলে সবার প্রথমে আপনাকে প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে সেটা কমানোর জন্য। প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহণ করার পরে আপনি যখন সুস্থ হবেন তখন একজন অ্যালার্জি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে আপনাকে যেতে হবে অথবা রক্ত রোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। আপনি যখন এই চিকিৎসকের কাছে যাবেন তখন অবশ্যই চিকিৎসকরা আপনাকে ভালো কিছু পরামর্শ দেবে বিশেষ করে ওষুধ খাওয়ার ক্ষেত্রে।

এর পাশাপাশি অবশ্যই আপনাকে আপনার খাদ্য তালিকা পরিবর্তন করতে হবে। আপনাকে এমন কিছু খাবার আপনার খাদ্য তালিকাতে রাখতে হবে যে খাবারগুলো খাবার পরে রক্ত দূষণ হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে যেমন সবুজ শাকসবজি এবং রঙিন ফলমূল। এর পাশাপাশি প্রোটিন এবং আমিষের দিকে গুরুত্ব দিতে হবে চর্বি বাদে যে প্রোটিন গুলো রয়েছে সেগুলো যদি আপনি নিয়মিত খেতে পারেন তাহলে অবশ্যই সেটা আপনার অ্যালার্জি নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখবে।

কিছু কিছু ভালো অভ্যাসে যেমন নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম এবং ব্যায়াম করা এবং নিয়মিত নিজের শরীরকে দূষণমুক্ত রাখতে অন্তত সকালে ৩০ মিনিট থেকে এক ঘন্টা শীতল বাতাসে থাকা। এছাড়াও অ্যালকোহল সেবনকারী এবং ধূমপান সেবনকারী ব্যক্তিদের এই অভ্যাস সম্পূর্ণ ত্যাগ করা।