ফেনাডিন ১২০ ট্যাবলেট ফেক্সোফেনাডিন হাইড্রোক্লোরাইড ১২০ মিলিগ্রাম দিয়ে তৈরি। আপনারা যারা ফেনাডিন ১২০ গ্রাম ওষুধ খাচ্ছেন তাদের কাছে এই তথ্যটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। ফেনাডিন ট্যাবলেট মূলত ৬০ মিলিগ্রাম থেকে ১২০ মিলিগ্রাম এবং 180 মিলিগ্রাম এর এ তিনটি ধরনের পাওয়া যায়। এছাড়াও শিশুদের ব্যবহারের ক্ষেত্রে ৩০ মিলিগ্রাম এর একটি সিরাপ ফরমেট রয়েছে ফেনাডিন ঔষধ এর। মূলত রেনাটা লিমিটেড বাংলাদেশের ফেনাডিন ট্যাবলেট বাজারজাতকরণ করে।
আজকে আমরা ফেনাডিন ১২০ মিলিগ্রাম ট্যাবলেটের খুঁটিনাটি সকল তথ্য জানার চেষ্টা করব। মূলত অবশ্যই একটি ঔষধ খাওয়ার পূর্বে আপনাকে সেই ওষুধ সম্পর্কে যথেষ্ট ধারণা রাখতে হবে তানা হলে যে কোন সময় যেকোনো ধরনের খারাপ পরিস্থিতি আপনাকে দেখতে হতে পারে। ফেক্সোফেনাডিন ১২০ গ্রাম একজন রোগীকে ডাক্তার কেন দিবেন এবং ফেক্সোফেনাডিন ১২০ গ্রাম খাবার নির্ধারিত মাত্র কি সেই সম্পর্কে জানতে আজকে আমরা আপনাদের পাশে আছি। অনুরোধ থাকবে সম্পূর্ণ আর্টিকেল জুড়ে আমাদের সঙ্গেই থাকবেন।
ফেনাডিন ১২০ মিলিগ্রাম ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম
ফেনাডিন ১২০ মিলিগ্রাম ট্যাবলেটটি আপনি বিভিন্ন ধরনের সমস্যার জন্য খেতে পারেন তবে এখানে বয়সের ভেদ অনুযায়ী বিভিন্ন ধরন আছে। ২ থেকে ১১ বছরের নিচে যারা আছে তাদের জন্য সাসপেনশন হিসেবে ৩০ মিলিগ্রাম অথবা ৫ মিলিলিটার এক চা চামচ দৈনিক দুইবার খাওয়ানো যেতে পারে। এর পাশাপাশি বৃক্কীয় কার্যকারিতা কমে গেলে ৩০ মিলিগ্রাম অথবা ৫মিলিগ্রাম এক চা চামচ দৈনিক একবার খাওয়ানো যেতে পারে।
যাদের বয়স ৬ থেকে ১১ বছর বয়সের নিচে তাদের জন্য ট্যাবলেট ৩০ মিলিগ্রাম দৈনিক দুইবার অথবা ৬০ মিলিগ্রাম দৈনিক একবার খাওয়ানো যেতে পারে। এছাড়াও বৃত্তীয় কার্যকারিতা কমে গেলে ৩০ মিলিগ্রাম দৈনিক একবার খাওয়ানো যেতে পারে।
তবে যারা প্রাপ্তবয়স্ক আছেন তাদের ক্ষেত্রে অর্থাৎ ১২ বছরের বেশি বয়সের ক্ষেত্রে ট্যাবলেট ফরমেটে ৬০ মিলিগ্রাম দৈনিক দুইবার অথবা ১২০ মিলিগ্রাম দৈনিক একবার অথবা ১৮০ মিলিগ্রাম দৈনিক একবার খাওয়ানো যেতে পারে। এছাড়াও বৃত্ত কার্যকারিতা কমে গেলে ৬০ মিলিগ্রাম দৈনিক একবার যে কোন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষকে খাওয়ানো যেতে পারে। তবে সম্পূর্ণ জিনিসটা নির্ভর করবে ডাক্তারের পরামর্শের উপর তাই অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোন কিছু করাই ঠিক হবে না।
ফেনাডিন ১২০ মিলিগ্রাম ট্যাবলেট এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
মূলত আমাদের শরীর বিভিন্ন জনের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা থাকে। শরীরের গঠনের ওপর এবং শরীরে উপস্থিত উপাদানের উপর নির্ভর করে বিভিন্ন ঔষধ আমাদের শরীরে বিভিন্নভাবে কাজ করে। হতে পারে ফেনাডিন ১২০ কারো শরীরে এতটাই ভালো কাজ করে যে সেটা ধারণার বাইরে আবার কালো শরীরে এই ওষুধটি যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া শুরু হয়।। মনে করুন আপনি এলার্জির রিএকশন থেকে বাঁচতে এই ওষুধটি খেলেন কিন্তু হঠাৎ করে আপনার বমি ভাব শুরু হয়ে গেল এবং বমি হয়ে গেল।
অনেকের ক্ষেত্রে দেখা যায় যে পাতলা পায়খানা হতে পারে এবং আস্তে আস্তে এই পাতলা পায়খানা ডিসেন্ট্রিতে রূপ নিতে পারে। সব মিলিয়ে আপনার শরীরে জীবনী ভাব এবং ঘুম ঘুম ভাব হতে পারে এবং ক্ষুধা মন্দাও দেখা দিতে পারে। এই ধরনের উপসর্গ বা এই ধরনের পার্শ্ব প্রতীকে আপনি লক্ষ্য করতে পারেন ফেনাডিন ১২০ মিলিগ্রাম ট্যাবলেট এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হিসেবে।
ফেনাডিন 120 মিলিগ্রাম ট্যাবলেট কোন অসুখের জন্য খায়
সরাসরি বলতে গেলে ফেক্সোফেনাডিলা ১২০ মিলিগ্রাম হচ্ছে এন্টিহিস্টামিন জাতীয় ঔষধ। এই ওষুধগুলো আপনি শরীরের বিভিন্ন ধরনের অ্যালার্জি খুবই একশন যেমন চুলকানি, চোখ লাল হওয়া, ঘন ঘন হাঁচি হওয়া এই ধরনের রোগ প্রতিরোধে। অবশ্যই হেক্সোফেনাডিন ঔষধ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ঔষধ। এই ওষুধের সবথেকে ভালো দিক হলো যে হিস্টামিন ওষুধগুলো নিয়মিত খেলে ঘুমের পরিমাণ বৃদ্ধি পেতে পারে তবে এই এন্ড হিস্টামিন ওষুধ নিয়মিত খেলে আপনার ঘুম এর পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে না।