এজিথ্রোমাইসিন ৫০০ এর কাজ কি Azithromycin 500 mg

সাধারণত আমরা অসুস্থ হলে যে ঔষধ গুলো খেয়ে থাকি সেগুলো একটি নির্দিষ্ট জায়গাতে খুব সতর্কতার সঙ্গে তৈরি করা হয়। বর্তমানে মানব শরীরে কার্যকরী ঔষধ গুলোর মধ্যে সবথেকে বেশি প্রয়োজনীয় ঔষধ হচ্ছে অ্যান্টিবায়োটিক। এন্টিবায়োটিক গুলোর মধ্যে আমাদের মাঝে সবথেকে পরিচিত নাম হচ্ছে এজিথ্রোমাইসিন। এজিথ্রোমাইসিন ট্যাবলেট যেখানে ব্যবহার করা হয়েছে এজিথ্রোমাইসিন ডাইহাইড্রেট 500 মিলিগ্রাম। এই ওষুধটি মূলত বেক্সিমকো ফার্মাসিটিক্যালস লিমিটেড বাংলাদেশে বাজারজাতকরণ করে।

এজিথ্রোমাইসিন ৫০০ মিলিগ্রাম ট্যাবলেটের বর্তমান বাজার মূল্য হচ্ছে ৩৫ টাকা। এর বাইরে আপনি এভেলেবল পাবেন ২৫০ মিলিগ্রাম ক্যাপসুল এছাড়াও এখানে ২৫০ মিলিগ্রাম ট্যাবলেট এর ব্যবস্থা রয়েছে। এর পাশাপাশি 200 মিলিগ্রামের একটি সিরাপ এভেলেবেল পাবেন এছাড়াও IV ফরমেশনে পাবেন 500 মিলিগ্রামের। যেহেতু এজিথ্রোমাইসিন অত্যন্ত কার্যকরী একটি ঔষধ তাই এখানে চেষ্টা করা হয়েছে প্রত্যেকটির ফরমেট যেন থাকে।

এজিথ্রোমাইসিন ৫০০ মিলিগ্রাম ট্যাবলেট কি কাজ করে

যারা এজিথ্রোমাইসিন ৫০০ মিলিগ্রাম ট্যাবলেট খেতে চলেছেন তাদের অবশ্যই দুশ্চিন্তা হবে কেন এই ওষুধটি খাওয়া হচ্ছে। আজকে আমরা জানার চেষ্টা করব এজিথ্রোমাইসিন কি কাজ করে এবং এই এজিথ্রোমাইসিন ডাক্তারদের কেন দিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়। মূলত এজিথ্রোমাইসিন এমন একটি ঔষধ যেটা সংবেদনশীল অনুযায়ীব সমূহের দ্বারা সৃষ্ট সংক্রমণ সমূহ যেমন নিউমোনিয়া সহ নিঃশ্বাস তন্ত্রের সংক্রমণ নয় বিভিন্ন কাজ করে।

এর পাশাপাশি তক ও কোমল কোষ কলার সংক্রমণ থেকে এছাড়াও মধ্য কর্নের প্রবাহ ও সাইনোসাইটিস জাতীয় রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করে এই ৫০০ মিলিগ্রাম ট্যাবলেট। এছাড়াও টনসিলাইটিস নামক অসুখ সম্পর্কে আমরা সকলে অবগত আছি। এই অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধটি মূলত এই ধরনের অসুখ থেকে আপনাকে মুক্তি দেবে। সহজ ভাষায় বলতে গেলে এই ওষুধটি অত্যন্ত কার্যকরী একটি ঔষধে তাই মহামারির সময় গোটা বিশ্বে এই ঔষধের ব্যাপক ব্যবহার আমরা দেখতে পেয়েছি।

এজিথ্রোমাইসিন ৫০০ মিলিগ্রাম ট্যাবলেট এর ব্যবহার মাত্রা

প্রত্যেকটি ঔষধে রয়েছে নির্ধারিত পরিমাপ এবং বয়স ভেদে এই পরিমাপ ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে। প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে ৫০০ মিলিগ্রাম দৈনিক একবার করে ৩ দিন অথবা প্রথম দিন 500 মিলিগ্রাম এবং পরবর্তীতে দ্বিতীয় থেকে পঞ্চম দিন পর্যন্ত দৈনিক ২৫০ মিলিগ্রাম করে ৪দিন খাওয়া যেতে পারে। এছাড়াও যদি যৌনতার বাহিত রোগে আক্রান্তের ক্ষেত্রে এই অ্যাজোটোমাইসিন ব্যবহার করা হয় তাহলে ৫০০ মিলিগ্রাম ও পরবর্তী দুদিন ২৫০ মিলিগ্রাম করে গ্রহণ করতে হবে।

অবশ্য এটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি ঔষধ তাই শিশুদের ক্ষেত্রেও এই ওষুধ বিভিন্ন সময় প্রয়োগের প্রয়োজন রয়েছে। মূলত ছয় মাসের অধিক বয়সের বাচ্চাদের ক্ষেত্রে যদি শরীরের ওজন ১৫ থেকে ২০ কেজি হয় তাহলে দৈনিক 10 মিলিগ্রাম প্রতি কেজিতে হিসেব করে ৩ দিন অথবা দৈনিক ২০০ মিলিগ্রাম মানে এক চা চামচ পূর্ণ করে ৩ দিন দিতে হবে সেই শিশুকে।

এছাড়াও যদি শারীরিক ওজন ২৬ থেকে ৩৬ কেজির মধ্যে হয় তাহলে দৈনিক 300 মিলিগ্রাম অর্থাৎ ডেইয়ের চা চামচ পূর্ণ করে ৩ দিন দিতে হবে। এছাড়াও যাদের ওজন ৩৬ কেজি থেকে ৪৬ কেজি হয় তাদের দৈনিক ৪০০ মিলিগ্রাম করে ২ চা চামচ পূর্ণ করে দিতে হবে ৩ দিন পর্যন্ত।টাইফয়েড জ্বরের ক্ষেত্রে এই ওষুধটি বেশি ব্যবহার করা হয় এবং টাইফয়েড এর ক্ষেত্রে দৈনিক 500 মিলে গ্রাম অর্থাৎ ২.৫ চা চামচ পূর্ণ করে ৭ থেকে ১০ দিন দেওয়া যেতে পারে।

এজিথ্রোমাইসিন ৫০০ মিলিগ্রাম সিরাপ প্রস্তুত প্রণালী

সবার প্রথমে যে কাজটি করতে হবে প্রথমে পাউডার আলগা করার জন্য বোতলটি ভালোভাবে ঝাঁকিয়ে নিতে হবে ঠিক যেমন আমরা পানির বোতল ঝাঁকিয়ে নেই। এরপর আমাদের ঠান্ডা করা ফোটানো পানি অর্থাৎ পানি ফুটিয়ে নিয়ে সেটা রেখে দিতে হবে ঠান্ডা হওয়া পর্যন্ত এবং যখন এটা ঠান্ডা হবে তখন সেই পাউডার যুক্ত ওষুধের বোতল পূর্ণ করতে হবে পানি দ্বারা। এরপর ভালোভাবে ঝাঁকিয়ে নিয়ে মিশ্রণটি খুব ভালোভাবে মেশাতে হবে এইভাবে এগুলো ব্যবহার করতে হবে।