বিভিন্ন বড় ধরনের রোগ নির্ণয় করার জন্য অবশ্যই আপনাকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হবে। সঠিকভাবে পরীক্ষা করার মাধ্যমে আপনি নিশ্চিত হতে পারবেন আপনার রোগ সম্পর্কে। যদি কারো হার্টের সমস্যা থেকে থাকে তাহলে কোন টেস্টের মাধ্যমে সে সমস্যা সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারবে সেগুলো জানা অত্যন্ত জরুরী একটি ব্যাপার। সাধারণত এই টেস্টগুলো সম্পর্কে জানতে পারাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং এই টেস্টের বিভিন্ন খুঁটিনাটি বিষয় গুলো জানতে পারাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আপনারা অবশ্যই ধারণা রাখেন যে হার্টের সমস্যার জন্য যে টেস্ট গুলো করা হয় সেগুলো অনেক বড় ধরনের টেস্ট এবং এগুলো অত্যন্ত ব্যয়বহুল একটি টেস্ট। তাই এইগুলো সম্পর্কে জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আজকে আমরা আপনাদের কিছু বড় ধরনের টেস্ট সম্পর্কে ধারণা দেবো যেই টেস্টগুলো হার্টের সমস্যার ক্ষেত্রে করা হয়ে থাকে।
ইলেকট্রো কার্ডিওগ্রাম যেটাকে আমরা ইসিজিও বলে থাকি। হার্টের সমস্যা ধরার প্রাথমিক পরীক্ষা হচ্ছে এটা। সাধারণত এর মাধ্যমে খুব সূক্ষ্মভাবে হার্টের বিভিন্ন সমস্যা ধরা পড়ে।করোনারি এনজিওগ্রাম যেটা অনেক বড় ধরনের একটি পরীক্ষা। হৃদপিন্ডে যে রক্তনালী আছে তার এক্স-রে ইমেজিং এর মাধ্যমে তৈরি করা হয় এবং এই টেস্ট করার ফলে বুকে কোন ধরনের ব্লকেজ আছে কিনা এবং হৃদপিন্ডে রক্ত চলাচল ঠিক আছে কিনা সেটা সম্পর্কে জানা যায়।ম্যাগনেটিক রেজনান্স ইমেজিং যেটাকে বলা হয়ে থাকে এমআরআই। হার্টের সমস্যা নির্ধারণের জন্য এই পরীক্ষাগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং বর্তমানে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা করা হচ্ছে শুধুমাত্র হার্টের ওপর নয় বিভিন্ন অঙ্গে।
ব্যায়াম স্ট্রেঞ্জ পরীক্ষা অর্থাৎ এই পরীক্ষার মাধ্যমে হৃদযন্ত্র টা কতটা ভালো আছে সেটা নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। এটাকে ট্রেডমিল পরীক্ষা বলা হয়ে থাকে এই অবস্থাতে রোগীকে একটি মেশিনের উপর হাঁটাহাঁটি করতে দেওয়া হয় এবং তার মাধ্যমে তার হার্টের অবস্থা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়।এছাড়াও আরো বড় কিছু টেস্ট যেমন করোনারি কম্পিউটার টোমোগ্রাফি এনজিওগ্রাম করা হয়ে থাকে থ্রিডি ইমেজিং পরীক্ষার মাধ্যমে কর নারীর ধমনী সংযত হয়ে গেছে কিনা তা পরীক্ষা করার জন্য। এখানে ব্যবহার করা হয় রঞ্জক শরীরে প্রবেশ করিয়ে এবং কম্পিউটারে টমোগ্রাফি ব্যবহার করা হয়।
ইকো কার্ডিওগ্রাম একটি বড় ধরনের পরীক্ষা এবং আমাদের কাছে অত্যন্ত পরিচিত একটি পরীক্ষা হার্টের বিভিন্ন সমস্যার সমাপ্ত করার জন্য এটা করানো যেতে পারে।এর পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের রক্ত পরীক্ষা এবং বিভিন্ন পজিশনে রোগীকে শোয়ানো পরে পরীক্ষা ও অন্যান্য বিভিন্ন উপসর্গমূলক পরীক্ষা করা হয়ে থাকে হার্টের বিভিন্ন সমস্যা বের করার জন্য।
হার্টের পরীক্ষার খরচ
হার্টের যে পরীক্ষাগুলো করা হয়ে থাকে সাধারণত সেই পরীক্ষাগুলো হয়ে থাকে অত্যন্ত ব্যয়বহুল পরীক্ষা এটা আমরা সকলেই জানি। তাই সবার প্রথমে নিজের হার্ট কে সুস্থ রাখার জন্য আপনাকে প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করতে হবে আপনি যদি সঠিকভাবে এই প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেন তাহলে অবশ্যই একটি সুস্থ হার্টের অধিকারী আপনি হবেন। এই পরীক্ষাগুলো করাতে ৪০০ টাকা থেকে শুরু করে ৬০০০-৭০০০ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে প্রত্যেকটি পরীক্ষার ক্ষেত্রে । বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান স্থান ভেদে এই পরীক্ষার খরচ আলাদা হতে পারে।
হার্টের সমস্যা হলে লক্ষণ গুলো কি কি
হার্টের সমস্যা হলে সাধারণত যে লক্ষণ গুলো দেখা যায় সেগুলো বুঝতে পারাটা অত্যন্ত জরুরি ব্যাপার। এ সমস্যাগুলো যদি কেউ চিহ্নিত না করতে পারে তাহলে বড় ধরনের রোগ হওয়ার পরে সেটা বড় সমস্যা তৈরি করতে পারে। সাধারণত বুকের বাম পাশে ব্যাথা সঙ্গে আরও কিছু সমস্যা যেমন শ্বাসকষ্টের মতন সমস্যা হতে পারে। হঠাৎ করে মাথা ঘোরা এবং অতিরিক্ত গরম লাগা তা ক্লান্তি অনুভব হতে পারে হার্টের সমস্যার লক্ষণ। এছাড়া অত্যাধিক হার্টবিট হার্টের সমস্যার একটি বড় লক্ষণ।