আসসালামু আলাইকুম আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে গর্ভবতী মায়েদেরকে জানাই স্বাগতম। আজকের আর্টিকেলটি আমরা মূলত গর্ভবতী মায়েদের জন্যই তৈরি করেছি। একটা মা যখন গর্ভবতী হন তখন সে মায়ের নানা রকমের চিন্তাভাবনা তার মাথায় চলে আসে তার গর্ভের শিশুর জন্য। কারণ প্রতিটি নারীর জন্য মাতৃত্ব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় একই সাথে খুশির একটি সময় এই গর্ভাবস্থা কালীন অবস্থায়। একটা মা যখন গর্ভবতী হয় তখন সে মা অনেক খুশি হন এর পাশাপাশি তার গর্ভের শিশুকে নিয়ে অনেক রকমের টেনশন যেন মাথায় চলে আসে।
গর্ভের বাচ্চা সঠিকভাবে বেড়ে উঠছে কিনা তার ওজন ঠিকমত রয়েছে কিনা সে দেখতে কেমন হবে সুস্থ আছে কিনা এরকম আরো নানান রকমের চিন্তাভাবনা যেন ঘিরে ফেলে। আর ঠিক তখনই মায়েরা অনেকটাই উত্তেজিত হয়ে যায় এবং ডক্টরের কাছে চলে যান এসব কিছু জানার জন্য। আমরা আজকে আর্টিকেলটি নিয়ে এসেছি গর্ভবতী মায়েদের জন্য এবং তাদের সুবিধার জন্য। আজকের আর্টিকেলের আলোচনার মূল বিষয় হলো গর্ভাবস্থায় বাচ্চার ওজন চ্যাট সম্পর্কে যাবতীয় সকল তথ্য। আপনারা যারা গর্ভবতী মায়েরা রয়েছেন আমাদের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়লে আপনার গর্ভের বাচ্চার ওজন চ্যাট সম্পর্কে সকল তথ্যগুলো খুব সহজেই জেনে নিতে পারবেন ঘরে বসেই। তো চলুন মূল আলোচনায় যাওয়া যাক।
শুক্রাণু এবং ডিম্বাণুর মিলন এর মাধ্যমে একটি ভ্রূণের জন্মানোর সূচনা ঘটে থাকে। শুক্রাণু এবং ডিম্বাণু মিলনের ফলে জাইগোট গঠন হয় সেখান থেকে কয়েকটি স্তরের কোষ বিভাজনের মাধ্যমে একটি ফোনে সৃষ্টি হয়ে থাকে গর্ভাবস্থার তিন সপ্তাহ জুড়ে চলে এই প্রক্রিয়াকার্য। এরপর থেকেই একটু একটু করে বাড়তে থাকে গর্ভের সন্তান। তবে ৬ সপ্তাহের মধ্যে গর্ভবতী মায়ের মধ্যে পরিবর্তন দেখা দিতে শুরু হয়ে যায় ঠিক সে সময়ে পরীক্ষা করলে প্রেগনেন্সির কনফার্ম করা সম্ভব হয়। তো চলুন আমরা জেনে আসি সপ্তাহ অনুযায়ী বাচ্চার ওজন ৪ ঠিক এরকম হতে পারে সে সম্পর্কে।
সপ্তাহ অনুযায়ী বাচ্চার ওজন চাট কেমন হবে
আপনারা যারা গর্ভবতী মায়েরা রয়েছেন এবং আপনারা যারা গর্ভের সন্তানের ওজন চাট সম্পর্কে চিন্তিত রয়েছেন তাদের জন্য আমাদের আর্টিকেলের এই অংশটুকু খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারন আমরা এখানে সপ্তাহ অনুযায়ী বাঁচার ওজন চার্ট সম্পর্কে যাবতীয় সকল তথ্যগুলো আলোচনা করতে যাচ্ছি আপনারা যারা জানতে চান তারা অবশ্যই লক্ষ্য করুন। গর্ভধারণের ২০ সপ্তাহ পর শিশুর পা পেটের সাথে ভাঁজ করা অবস্থায় থাকে। ঠিক সেই জন্যই তারা তখন শিশুর মাথা থেকে তার পশ্চাৎ দেশ পর্যন্ত পরিমাপ করে তার উচ্চতা মাপার মাধ্যমে একটি পর্যাপ্ত পরিমাণ বের করা হয়। এরপর যখন তিন সপ্তাহ হয়ে যায় 3 সপ্তাহের শিশুর উচ্চতা এবং ওজন পরিমাপ করা খুবই কঠিন। তিন সপ্তাহের শিশুর উচ্চতা এবং ওজন কোনভাবে পরিমাপ করা সম্ভব হয় না কিন্তু সেসময় আপনার শিশুটি আকারে একটি পোস্ত দানার সমান হয়ে থাকে।
এরপর যখন তার চার সপ্তাহ হয়ে যায় তখন শুন্য দশমিক দুই সেন্টিমিটার এবং ওজন হয় 0.2 গ্রাম মাত্র। অর্থাৎ এসময় শিশুটি দেখতে একটি তিলের সমান হয়ে থাকে।
এরপর যখন 6 থেকে সাত সপ্তাহ হয়ে যায় এ সময় শিশুর আকার ছোট্ট একটি গ্রামের সমান হয়ে থাকে। তবে এ সময় শিশুর হাত এবং পা বড় হতে থাকে এগুলো কিছুটা প্যাডেলের মতো দেখায়।
এরপর ৯ থেকে ১২ সপ্তাহের মধ্যে গর্ভের শিশুর উচ্চতা 2.13 ইঞ্চি অথবা ৫.৪ সেন্টিমিটার হতে পারে তখন সে শিশুর ওজন হতে পারে 0.49 আউন বা চৌদ্দগ্রামের মত। একটি শিশু এভাবেই ধীরে ধীরে বেড়ে ওঠে মায়ের গর্ভে। ঠিক এভাবেই বাড়তে বাড়তে যখন গড়পার্তা হিসেবে শিশুর ওজন থাকে প্রায় ২.৫ থেকে ৩ কেজি এবং উচ্চতা ৫১.৩। জন্মের পর প্রথম তিন মাস বাচ্চার ওজন জন্মের ওজন থেকে দ্বিগুণ হয় অর্থাৎ ছয় মাস পর্যন্ত এ বিষয়টি কন্টিনিউ থাকে।