আপনি যদি গর্ববতী গাভীর খাদ্য তালিকা নিয়ে চিন্তিত থাকেন তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য। গাভীর সুস্থতা এবং সুন্দর্য নির্ভর করে খাদ্যের উপর। তাই একটি গর্ভবতী গাভীকে ভালো খাবার দিতে হবে। কারণ খাবার ভালো হলে গাভীর পেটের বাছুরও ভালো হবে।
একটি গর্ভবতী গাভীকে প্রতিদিন ১৪ থেকে ১৫ কেজি সবুজ ঘাস তিন থেকে চার কেজি খর ২ থেকে ৩ কেজি দানাদার খাদ্য একসঙ্গে মিশিয়ে খাওয়াতে হবে। এতে করে গাভীতে যেমন সুস্থ ও স্বাভাবিক থাকবে ঠিক তেমনি গাভীটি একটি সুস্থ সুন্দর স্বাভাবিক বাছুর জন্ম দিতে সক্ষম হবে। তাই একটি গাভী যখন গর্ভবতী হবে তখন থেকেই তার মালিকের উচিত তাকে সময়মতো রুটিন করে খাবার খাওয়ানো।
আমরা আজকে আমাদের আর্টিকেলে আলোচনা করব গর্ভবতী গাভীর খাদ্য তালিকা সম্পর্কে। আমাদের আর্টিকেল আজকে পড়লে আপনারা জেনে নিতে পারবেন গর্ভবতী গাভীর কি কি খাবার খাওয়ানো উচিত এরকম অবস্থায় সে সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্যগুলো। তো চলুন জেনে নেওয়া যাক একটি গর্ভবতী গাভীর খাদ্য তালিকা কি হতে পারে সে সম্পর্কে।
গর্ভবতী গাভীকে খাদ্য প্রদানের নিয়ম আমাদের অনেকেরই জানা নেই। গাভীর সুস্থতা এবং সৌন্দর্য নির্ভর করে খাদ্যের উপর। তাই গাভী গর্ভবতী হলে নিয়ম অনুযায়ী খাবার দিতে হয়। এর কারণ একটাই আর সেটি হল ভাল খাবার খাওয়ালে গাভীর পেটের বাছুর সুস্থ ও ভালো হয়। তাই চলুন আমরা জেনে আসি গর্ভবতী গাভীকে খাদ্য প্রদানের কিছু নিয়ম সম্পর্কে।
গর্ভবতী গাভীর খাদ্য
গর্ভাবস্থায় গাভীর মধ্যে এক নতুন প্রাণের সঞ্চার ঘটে।তাই এ সময় বাঁচার সঠিক পুষ্টির জন্য কিছু বাড়তি খাবারের দরকার পরে যাতে গাভীর পুষ্টি চাহিদায় ঘাটতি না হয়। কারণ বাসর যদি সুস্থ সবল না হয় তাহলে বিভিন্ন রোগবালায় দেখা দেবে এবং চিকিৎসা পত্র কিনতে গেলে আরো লোকসান হতে পারে। তাই গর্ভবতী গাভীর খাদ্য তালিকা, কেমন হওয়া প্রয়োজন তা বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো।
যেরকম ফিট সরবরাহ করা উচিত
সহজ পাচ্চো এবং পুষ্টিকর ফিড সরবরাহ করতে হবে এতে করে গাভি সহজে হজম করতে পারবে এবং সেই সাথে পুষ্টি চাহিদাও পূরণ করতে পারবে।
গর্ভবতী গাভীর উপযুক্ত ফিডস
একটি গাভী যখন গর্ভবতী হবে এমনথা অবস্থায় সব ধরনের ফিট গাভীর জন্য উপযুক্ত নয় সেটা অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে। কিছু সহজ পাচ্ছো এবং মানেও পুষ্টিকর এমন ফিট উপযুক্ত হিসেবে গণ্য হয়। যেমন গমের ভুষি এবং কৃষির তেল বীজ এরকম অবস্থায় গাভীকে খাওয়ানো সবথেকে ভালো।
রেশনের পরিমাণ
রেশন গাভীর পর্যাপ্ত পুষ্টি সরবরাহে অত্যন্ত সহায়ক। তবে রেশনের একটি সঠিক পরিমাণও রয়েছে যে পরিমাণ অনুযায়ী গাভীকে খাওয়ানো প্রয়োজন। রেশনের ডিসিপি এবং টিডিএন এর পরিমাণ যথাক্রমে 16 থেকে 18% এবং ৭০ শতাংশ হতে হবে।
৪০ থেকে ৬০ গ্রাম মিট এন্ড বিন ৪০ গ্রাম সাধারণ লবণ শস্য গুলিতে সংযোগ করা যেতে পারে এতে করে গাভীর অনেক তৃপ্তি সহকারে খাবারটি খেতে পারবে।
ঘাস শরবরাহ
গাভীর পুষ্টি চাহিদা পূরণে কাঁচা ঘাসের কোন বিকল্প নেই। তাই এ সময়ে ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ লেগিঅন যুক্ত সবুজ নমনীয় ঘাসের পরিমাণ জন্মদানের আগে শেষ তিন সপ্তাহের মধ্যে ধীরে ধীরে গাভীর খাদ্য তালিকা বারানো উচিত।
জন্ম দেওয়ার পর পরই খাদ্য সরবরাহ
বাচ্চার জন্মের পরপরই একটি বালতিতে কুসুম গরম পানির সাথে দেড় কেজি গমের ভুসি আধা কেজি চিটাগোর ৫০ গ্রাম লবণ মিশিয়ে গাভীকে খেতে দিতে হবে। এভাবে খাদ্য খাওয়ালে গাভীর গর্ভ ফুল তাড়াতাড়ি পড়ে যেতে সহায়তা করবে।
তাছাড়া কুসুম গরম পানিতে শুধু ঝোলা গুড় মিশিয়েও গাভীকে খাওয়ানো যেতে পারে এ সময় গাভীকে তার বাচ্চার জন্য অনেক সতর্ক থাকতে হয় এবং বাচ্চা জন্মানোর ঘন্টা দুয়েক পর পরে খাবার গ্রহণ করা শুরু করে দিতে হবে।