ব্রেস্ট ক্যান্সার কি ভালো হয়

বর্তমান আধুনিক বিশ্বে মেয়েদের সব থেকে বড় ধরনের সমস্যা হচ্ছে ব্রেস্ট ক্যান্সার। এটা এতটাই দ্রুত বড় হচ্ছে যে এটাকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছে না। আমাদের দেশে এই সমস্যা নিয়ে গণসচেতনতার অভাব রয়েছে যার কারণে আমাদের দেশে এই সমস্যায় আক্রান্ত হওয়ার রোগীর সংখ্যা প্রচুর। আজকের আর্টিকেল থেকে আমরা জানতে চেষ্টা করব ব্রেস্ট ক্যান্সার সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য এবং প্রেস ক্যান্সার থেকে কিভাবে বেঁচে ফিরে আসা যায় সে সম্পর্কে।

একটি গবেষণায় দেখা গেছে বিশ্বের প্রতি আট জন নারীর মধ্যে একজন বেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছে। বাংলাদেশে প্রতিনিয়তই এই রোগের রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। সাধারণত আন্তর্জাতিক সংস্থা এর মতে বাংলাদেশের প্রতি ১৩ হাজারের বেশি নারী নতুন করে ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত হন এবং মারা যান 6783 জন। বাংলাদেশের জন্য আরেকটি ঝুঁকির বড় কারণ হচ্ছে বাংলাদেশের সে যে সকল ক্যান্সারের রোগী পাওয়া যায় তার মধ্যে সবথেকে বেশি হচ্ছে ব্রেস্ট ক্যান্সারের রোগী। এ রোগ থেকে পুরোপুরি সুস্থ হওয়ার জন্য একজন রোগী কি করতে পারে এবং এই রোগ কিভাবে চিকিৎসা করতে হয় সে সম্পর্কে আজকেরে আর্টিকেল আপনাকে দিক নির্দেশনা দেবে।

ব্রেস্ট ক্যান্সার নির্ণয়

যদি ব্রেস্ট ক্যান্সার থেকে মুক্তি পেতে চান তাহলে অবশ্যই জানতে হবে ব্রেস্ট ক্যান্সার কখন ধরতে হবে। একেবারেই শুরুর দিকে অবশ্যই একেবারে শুরুর দিকে আপনাকে এটা চিহ্নিত করতে হবে আপনি যদি একেবারে শুরুর দিকে এটা চিহিত না করতে পারেন তাহলে কোন লাভ নেই। এর জন্য বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা ব্যবস্থা আছে তবে যদি একেবারে প্রাথমিক পর্যায়ে ব্রেস্ট ক্যান্সার ধরা না পড়ে তাহলে সেই চিকিৎসা ব্যবস্থা গুলোর কোন কাজ নেই। তাই চেষ্টা করতে হবে সবার প্রথমে এই রোগ গুলো ধরতে।

আপনারা যখন সবার প্রথমে এই রোগ গুলো ধরতে পারবেন তখন অবশ্যই বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসার মাধ্যমে পুরোপুরি সুস্থ হওয়া সম্ভব। এর জন্য অবশ্যই অনেক চিকিৎসা এবং অনেক টাকা পয়সা খরচ করতে হয় তারপরও সম্ভাবনা আছে ব্রেস্ট ক্যান্সারের হাত থেকে পুরোপুরি সুস্থ হওয়ার। যারা এটা বলে থাকেন ব্রেস্ট ক্যান্সার হলে মৃত্যু অনিবার্য তাদেরকে বলছি এটা অবশ্যই ভুল কথা তার কারণ হচ্ছে এমন অনেক উদাহরণ পাওয়া যাবে যারা ব্রেস্ট ক্যান্সারের চিকিৎসা করে পুরোপুরি সুস্থ হয়েছেন।

ব্রেস্ট ক্যান্সার কেমোথেরাপি

ব্রেস্ট ক্যান্সারের কেমোথেরাপি নিয়ে যদি কথা বলতে হয় তাহলে বলতে হয় যে এই পদ্ধতিতে ক্যান্সারের কোষ ও ধ্বংস করার জন্য একটি নির্দিষ্ট ঔষধ ব্যবহার করা হয়। শুধুমাত্র যে এই ক্যান্সারের জন্য এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয় এমন নয় প্রত্যেকটি ক্যান্সারের ক্ষেত্রে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। এটা সাধারণত অস্ত্র পাচারের সঙ্গে সহযোগী চিকিৎসা যেখানে ক্যান্সারের কোষগুলোকে সংকুচিত করার জন্য অস্ত্র পাচারের আগে এই থেরাপি দেওয়া হয় এবং অস্ত্র পাচারের সময় সেই কোর্সগুলোকে নির্দিষ্ট জায়গা থেকে অপসারণ করা হয়।

অবশ্যই কেমোথেরাপে একটা ব্যয়বহুল চিকিৎসা তাই আপনাকে অবশ্যই সব দিক দিয়ে প্রস্তুত থাকতে হবে। প্রাথমিক পর্যায়ে ক্যান্সার ধরার পরেও অনেকেই সুস্থ হতে পারেননি তার একমাত্র কারণ হচ্ছে টাকা পয়সা। প্রচুর পরিমাণে টাকা খরচ হয় যাদের পক্ষে এই টাকা খরচ করার সম্ভব হয় না তারা চিকিৎসা করাতে না পেরে মারা যান।

ব্রেস্ট ক্যান্সার হলে করণীয়

এটা অনেক বড় একটি রোগ যার জন্য প্রয়োজন প্রচুর পরিমাণে মানসিক শক্তি। ক্যান্সারের চিকিৎসার জন্য অবশ্যই করণীয় পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করতে হবে এবং এই অবস্থাতে মানসিক শক্তিটা অনেক বড় জিনিস। চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী যতটুকু সম্ভব রোগী চেষ্টা করবে তা না হলে অবশ্যই চেষ্টা করতে হবে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়ে হলেও চিকিৎসা চালিয়ে যেতে। চিকিৎসা ছাড়া ব্রেস্ট ক্যান্সারের কোন উপায় নেই।