ফেমিকন কি কাজ করে ফেমিকন, খাওয়ার সঠিক নিয়ম Femicon Tablet Medicine Review

সাধারণত সকলের মনে একটি ধারণা আছে ফেমিকন হচ্ছে একটি পিল। হ্যাঁ অবশ্যই এটি একটি পিল কিন্তু এই পিলের সঠিক কি কাজ আছে এবং শুধুমাত্র যে জন্ম বিরতিকরণ কাজে ব্যবহার হয় এই ধারণা সঠিক কিনা সে সম্পর্কে আজকে আলোচনা করব। সাধারণত বিবাহিত এবং অবিবাহিত মেয়েদের ক্ষেত্রে এই পিল ব্যবহার করা হয় কিন্তু যখন অবিবাহিত মেয়েরা এই পিল খান তখন অনেকেই অনেক ধরনের খারাপ মতামত দেন।

অতীতকালে এই ফেমিকন শুধুমাত্র জন্মবিরোধী করন হিসেবে ব্যবহার হলেও বর্তমানে এর রয়েছে বহু ব্যবহার এবং অনেক রোগের চিকিৎসার জন্য এই ফেমিকন ব্যবহার করা হচ্ছে। চলুন আজকে আমরা এই বিষয়ে জানার চেষ্টা করি এবং এই ওষুধের মূল কাজ কি এবং এই ঔষধ কি পরিমানে একজন মানুষ খেতে পারে সে সম্পর্কে। যেহেতু এটি ঔষধ তাই অবশ্যই এই ঔষধের রয়েছে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া এবং সেটা মানব শরীরে কি পরিমাণ ক্ষতি করতে পারে সেটাও আজকে জানবো।

ফেমিকন ঔষধ খাওয়ার সঠিক নিয়ম

ফেমিকন খাওয়ার সঠিক নিয়ম বলতে গেলে সবার প্রথমে আপনাকে একজন ভালো গাইনি ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ফেমিকন খেতে হবে। সাধারণত মাসিক শুরু হওয়ার দিন থেকেই ফেমিকনের এক নাম্বার বড়ি আপনাকে খাওয়া শুরু করতে হবে এবং একটানা 21 দিন সাদা রংয়ের বড়ি গুলো আপনাকে খেতে হবে। পাশে যে লাল রঙের ছাত্রী পরী আছে সেই বরি সাদা রঙের বরি শেষ হওয়ার পরের দিন থেকে খাওয়া শুরু করতে হবে এবং সেখান থেকেই আপনার মাসিক শুরু হবে।

এইভাবে প্রতি মাসে চক্রাকার ভাবে আপনাকে এই ওষুধ খেতে হবে যতদিন ডাক্তার আপনাকে খেতে বলবে। যেমন ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া এই ওষুধ খাওয়াও যাবে না তেমন ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া এই ওষুধ ছাড়াও যাবে না তাই সব সময় চোখ-কান খোলা রেখে ডাক্তারের কাছে গিয়ে যেকোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে।নিচের অংশে ফেমিকনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে আমরা জানবো এবং ফেমিকন মূলত কি কি কাজে আসে সে সম্পর্কে জানব।

ফেমিকন ঔষধ এর মূল কাজ কি

সাধারণত মাসিক নিয়ন্ত্রণে ফেমিকন ঔষধ মূল ভূমিকা পালন করে তবে শুধুমাত্র যে জন্মবিরোধী করনের ক্ষেত্রে মাসিক নিয়ন্ত্রণ করতে হয় এমন নয়। আধুনিক যুগে দেখা গেছে পরিবেশগত বিভিন্ন পরিবর্তনের কারণে মেয়েদের ঋতুস্রাব শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঋতুস্রাব অনিয়মিত হওয়ার প্রবণতা বেশি। তাদের ক্ষেত্রে এটা নিয়মিত করার জন্য এই ঔষধ অর্থাৎ ফেমিকন তিন মাসের ডোজ হিসেবে ডাক্তার দিতে পারেন।

এছাড়াও যারা বিয়ের পরে গর্ভবতী হতে পারছেন না যাদের মাসিকের সমস্যার কারণে গর্ভবতী হওয়ার সম্ভাবনা কমে যাচ্ছে তাদের সাধারণত মাসিকের সমস্যা দূর করতে ডাক্তার এই ওষুধ প্রেসক্রাইব করতে পারে। তার ফলে আপনি নিয়মিত এই ওষুধ খেলে আপনার মাসিক ভালো হবে এবং আপনি গর্ভবতী হতে পারবেন। এছাড়াও যেটা সকলে ব্যবহার করে অর্থাৎ জন্মবিরতিকরণ পিল হিসেবে সেটার জন্য অবশ্যই এই জিনিসটা কাজ করবে।

ফেমিকন এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

প্রত্যেকটি ঔষধ খেলে আপনার শরীরে উপকার হবে কিন্তু এর পাশাপাশি অল্প অল্প করে সেই ঔষধের ক্ষতি থেকে যায় আপনার শরীরে। আমরা উপরেই আলোচনা করেছি যে ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোনভাবেই ফেভিকল খাওয়া যাবেনা এবং ফেমিকন খাওয়া শুরু করলে সেটা ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ছাড়াও যাবে না। সব মিলিয়ে ডাক্তার আপনাকে সর্বোচ্চ তিন মাস থেকে ছয় মাস এই ওষুধটি খেতে বলবেন।

এছাড়াও আপনি যদি জন্ম বিরোধী করেন ফেমিকন হিসেবে এই ওষুধ নিয়মিত খেতে থাকেন এবং বছরের পর বছর ঠিক একই ওষুধ খান তাহলে অবশ্যই এটা রোগীর শরীরে অনেক ক্ষতি করবে। মেয়েদের শরীরে অতিরিক্ত মেয়েদের জামা হওয়া থেকে শুরু করে গর্ভবতী হওয়ার সম্ভাবনা কমে যাওয়া এবং অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধি।