ড্রাগ ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের Famotid 20 ট্যাবলেট সম্পর্কে আজকে আমরা জানার চেষ্টা করব। আমরা যখন একটি ঔষধের তথ্য লেখার চেষ্টা করি তখন অনেক আগে থেকেই প্রস্তুতি গ্রহণ করি তার কারণ হচ্ছে ঔষধ নিয়ে লেখালেখি করতে হলে অবশ্যই যথেষ্ট জ্ঞান থাকার প্রয়োজন রয়েছে। একটি ঔষধ নিয়ে ভুলভাল তথ্য যদি আমরা জনসাধারণের মাঝে ছেড়ে দেই তাহলে সেটা বিরূপ প্রভাব ফেলবে এবং সেটা আমাদের নিজেরই ক্ষতিকারক হিসেবে প্রমাণ হবে। আজকে Famotid 20 ট্যাবলেট এর কথা আমরা বলছি সেই ট্যাবলেট তৈরিতে উপাদান হিসেবে ব্যবহার হয়েছে ফ্যামোটিডিন।
এই গ্রুপের ঔষধ মানব শরীরে কিভাবে কাজ করে এবং কোন কোন রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে সেই সম্পর্কে জানার আগ্রহ আশা করছি সকলেরই আছে। আপনি যখন আপনার চোখের সামনে এই তথ্যগুলো পেয়ে যাবেন তখন অবশ্যই অনেক বেশি খুশি হবেন এবং আমরাই সেই কাজটি করছি। শুধুমাত্র যে ২০ মিলিগ্রামের ট্যাবলেট রয়েছে এমনটা নয় এর পাশাপাশি রয়েছে ৪০ মিলিগ্রামের ট্যাবলেট এবং আরো একটি সিরাপ ফর্মেশন রয়েছে। চলুন আলোচনা থেকে মূল তথ্য জানা যাক ।
Famotid 20 কি কাজ করে
সাধারণত গ্যাস্ট্রিক আলসার জাতীয় রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য এই ঔষধ ব্যবহার করা হয়। এখানেই শেষ নয় আমরা যতটুকু জানতে পেরেছি জিওডেনাল আলসার প্রতিরোধ এই ঔষধ ব্যবহার করা হয়। অন্ত্রের ওপরের অংশে রক্তক্ষরণ অর্থাৎ পেপটিক আলসারের কারণে যদি অন্তরের ওপরের অংশে রক্তক্ষরণের সৃষ্টি হয় এবং সেই রোগ যদি নির্ণয় করা যায় সঠিকভাবে তাহলে অবশ্যই ডাক্তারেরা অন্যান্য ঔষধের পাশাপাশি Famotid 20 ট্যাবলেট খাওয়ার পরামর্শ একজন রোগীকে দেবেন। ওপরে যে রোগের কথা আমরা উল্লেখ করলাম সেগুলো প্রাথমিক অবস্থার এক ধরনের রোগ যেগুলোকে সারিয়ে না তুলতে পারলে সেখান থেকে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে তাই অবশ্যই সতর্কতার সঙ্গে সঠিক নিয়মে আমাদের ঔষধ সেবন করতে হবে।
এর পাশাপাশি তীব্র স্ট্রেস আলসার ও জলেনযার ইলিসন সিনড্রোম এই ধরনের রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে এই ট্যাবলেট। তীব্র গেস্ট্রাইটিস তীব্র ক্ষয়ক্ষতির পর্যায়ে পুরাতন গ্যাস প্রাইটিস এই ধরনের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয় এই ঔষধ। সহজ ভাষায় কিছু কথা বলে যেখানে বোঝানো হয়েছে আমাদের যে পাকস্থলী রয়েছে সেই পাকস্থলীতে গ্যাসের কারণে এবং অন্যান্য বিষাক্ত পদার্থের কারণে যদি কোন ধরনের ক্ষতের সৃষ্টি হয় কোন ধরনের আলসার তৈরি হয় সেই সব ধরনের রোগের চিকিৎসা করতে পারে এই ট্যাবলেট। যাদের তীব্র আলসারের বা তীব্র গ্যাসের সমস্যা আছে তাদের জন্য এই ঔষধ ব্যবহার করা হয়।
Famotid 20 খাওয়ার নিয়ম এবং সঠিক মাত্রা
আপনারা যারা এই ঔষধ সঠিক মাত্রায় খেতে চাচ্ছেন তাদেরকে বলব সঠিক মাত্রা হলো ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে আগে সঠিক রোগ নির্ণয় করে তারপর মাত্রা নির্ধারণ করা। সাধারণত বয়স্কদের ক্ষেত্রে ২০ মিলিগ্রাম একটি করে ট্যাবলেট দিনে দুইবার সেবন করা যায় এটা সকালে নাস্তার পরে এবং রাতে খাবার পরে খেলে সব থেকে ভালো হয়। যদি ২০ মিলিগ্রাম করে দুইবার খাওয়া সম্ভব না হয় তাহলে 40 মিলিগ্রাম একবার রাতে খাবার পরে সবার আগে খেয়ে ঘুমিয়ে পড়তে হবে।
এছাড়াও যাদের পুরাতন গেস্টরাইটিস এবং তীব্র গ্যাস্ট্রাইটিস এর সমস্যা আছে তাদের জন্য Famotid 20 ট্যাবলেট ২০ মিলিগ্রাম করে দিনে দুইবার খেতে হবে একই নিয়মে। এখানেও একইভাবে আপনি চাইলে একেবারে ৪০ মিলিগ্রাম ওষুধ খেতে পারেন। তবে কোনভাবেই এই ঔষধ 40 মিলিগ্রামের বেশি খাওয়া যাবেনা এবং সব সময় ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চলতে হবে ।
Famotid 20 দাম ও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের ডায়রিয়া অনেক সময় বমি বমি ভাবের সৃষ্টি হতে পারে। ঝিনঝিন ভাব অথবা মুখ শুষ্ক হয়ে যাওয়া মাথা ব্যথা করা এই ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে এর পাশাপাশি ক্ষুধা মন্দার সৃষ্টি হতে পারে। দামের কথা বলতে গেলে এই ট্যাবলেট Famotid 20 দাম বর্তমানে ২.৫০ টাকা।