সন্তান প্রসব হওয়ার পরে একজন মাকে পৃথিবীর সবকিছুই দেখতে হয়। যেমন তার পুরো পৃথিবী সন্তানের মুখ দেখার পরে আনন্দের ভরে ওঠে ঠিক তেমনি কিছু কিছু সময় আছে যেগুলো এতটাই কষ্ট হয় যে তাকে সেই কষ্টের সীমানা দেখে শেষ করা যায় না। তবে সব কিছুর মধ্যেই সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ জিনিস হচ্ছে নিজের সন্তানের দেখভাল করা এবং একজন মা কখনোই চাইবে না যে তার সন্তানের কোন ক্ষতি হোক। একজন মা চাইবে নিজের যত যা হচ্ছে হয়ে যাক কিন্তু তার সন্তানদের সুস্থতা কিভাবে নিশ্চিত করা যায় সেই কাজটি যেন তিনি আগে করতে পারেন।
আজকে আমরা কথা বলব নবজাতক শিশুর মায়ের বুকের দুধ কমে যাওয়ার কারণ এবং এগুলো বৃদ্ধি করার খাবার সম্পর্কে। সাধারণত আমাদের শরীর সম্পূর্ণই নির্ভরশীল আমরা যে খাবারগুলো খাই সেগুলোর উপরে তাই আমাদের শরীরে যদি কোন ধরনের সমস্যা হয় সে সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য সেই খাবারের ভূমিকা থাকা উচিত সবার আগে। কিন্তু এই জিনিসটাই আমরা বারবার ভুল করি অর্থাৎ আমরা মনে করি ওষুধ সেবনের মাধ্যমে প্রত্যেকটি সমস্যার সমাধান করতে কিন্তু সেটা আমার মনে হয় ভুল রাস্তা অবলম্বন করা হয়। আপনি যদি আপনার খাবারের মাধ্যমে সেই সমস্যাকে বেশিরভাগ সমাধান করে দিতে পারেন তাহলে ওষুধ সেবনের কোন প্রয়োজন পড়বেই না।
বুকের দুধ কমে যাওয়ার কারণ
বুকের দুধ কমে যাওয়ার প্রধান কারণ হচ্ছে মায়ের শারীরিক দুর্বলতা। অল্প বয়সে বিবাহ এবং তার পরে সন্তান প্রসব এছাড়াও সিজারিয়ান সন্তান প্রসব এই ধরনের নানা সমস্যার কারণে এবং পুষ্টিহীনতা এই ধরনের সমস্যার কারণে মায়ের শারীরিক দুর্বলতা দেখা দেয়। সেই শারীরিক দুর্বলতার কারণে তার শরীরে রক্তস্বল্পতা এবং ভিটামিনের অভাব দেখা দেয় যার কারণে তার শরীর সঠিক এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে বুকের দুধ উৎপাদন করতে পারে না। আর এটাই হচ্ছে মূল সমস্যা আর এই সমস্যার সমাধানের সবথেকে বড় ভূমিকা পালন করতে পারে খাবার দাবার।কোন খাবার খেলে পর্যাপ্ত পরিমাণে বুকের দুধ আসার সম্ভাবনা সব থেকে বেশি সেই বিষয়ে আজকে আলোচনা করব চলুন মূল বিষয়ে আলোচনা করা যাক।
বুকের দুধ বাড়াতে যেসব খাবার খাবেন
সাধারণত বুকের দুধ বৃদ্ধি করার জন্য যে খাবারগুলো রয়েছে সেগুলোর প্রতি খেয়াল রাখতে হবে যাতে এই খাবারগুলো খেয়ে মায়ের আরও ক্ষতি না হয়। কোন ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়া যেই জিনিসগুলো খাওয়া যায় সেই জিনিসগুলো খেয়ে আপনাকে বুকের দুধ নিশ্চিত করাতে হবে এবং এই ক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করতে পারে আপনার প্রতিদিনের খাবার। ঔষধের উপর বেশি নির্ভরশীল না হয়ে আপনি চেষ্টা করুন যাতে সরাসরি এই খাবারগুলোর মাধ্যমে সবকিছুকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
পদার্থ পরিমাণে পানি সাধারণত একজন গর্ভবতী মায়ের জন্য অনেক উপকারী এর পাশাপাশি সন্তান প্রসব হওয়ার পরেও সেটা সেই পরিমাণ উপকারী। এই ক্ষেত্রে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নারীদের প্রচুর পরিমাণে পানি খেতে হবে যদি পর্যাপ্ত পরিমাণ ে সে বুকের দুধ তার সন্তানকে খাওয়াতে চায়। এ সময় যেন সেই গর্ভবতী মায়েরা যিনি যুক্ত শরবত এবং কোমল পানীয় পরিবর্তে শুধুমাত্র পানি দিয়ে তৃষ্ণা মেটায় এতে করে পর্যাপ্ত পরিমাণে বুকে দুধ উৎপাদন হতে এই পানি তাকে সাহায্য করবে।
এ পাশাপাশি বর্তমানে কিছু হারবাল চা বাজারে পাওয়া যাচ্ছে যে হারবাল চা কোন ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়া একদিকে মায়ের শরীরের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সমাধানে সাহায্য করে এবং পাশাপাশি মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধি করতেও সমান ভূমিকা পালন করে। অবশ্যই এই হারবাল চায়ের গুরুত্ব অনেক বেশি আর আপনারা যারা এই হারবাল চা সম্পর্কে কিছুই জানেন না তারা একটু জানার চেষ্টা করবেন অবশ্যই এটা অনেক উপকার বয়ে নিয়ে আসবে।
এর পাশাপাশি পুষ্টিকর খাবার থেকে শুরু করে আর অন্যান্য ফল শাকসবজি একজন মা খেতে পারে। ব্যতিক্রম ধর্মে কিছু উপাদান যেমন গরম মসলা থেকে শুরু করে মৌরি ও মেথি বীজ এই ধরনের উপকরণে সঠিক ব্যবহার মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধি করতে অনেক ভূমিকা পালন করে।